সংক্ষিপ্ত
- ফের রাজ্য়ের ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে হাইকোর্টের জবাবদিহির মুখে রাজ্য সরকার
- আদালতের তৈরি করা গাইড লাইন কেন মানা হচ্ছে না নিয়েও উঠছে প্রশ্ন
- ২২ নভেম্বর ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে হাইকোর্টে রিপোর্ট জমা দিতে হবে রাজ্য সরকারকে
- জনস্বাার্থ মামলাকারীর আবেদনের ভিত্তিতেই এই নির্দেস দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ
ফের রাজ্য়ের ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে হাইকোর্টের জবাবদিহির মুখে রাজ্য সরকার। আদালতের তৈরি করা গাইড লাইন কেন মানা হচ্ছে না নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। যার জেরে ২২ নভেম্বর রাজ্যের ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে রিপোর্ট জমা দিতে হবে রাজ্য সরকারকে।
খাস কলকাতার বুকে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে ডেঙ্গুর মশা। নিত্যদিন ডেঙ্গু মোকাবিলায় কলকাতা পুরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে যাচ্ছেন ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ। কদিন আগেই বেহালায় কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্য়ায়ের ১৩১ নম্বর ওয়ার্ডে যান খোদ মেয়র ফিরহাদ হাকিম। পরিস্থিতি দেখে কপালে চোখ উঠে যায় তাঁর। প্রকাশ্য়ে তিনি বলেন, একা পুরসভা কাজ করে এই পরিস্থিতি সামাল দিতে পারবে না । এর জন্য সাধারণ মানুষকেও সচেতন হতে হবে। না হলে বেড়েই চলবে ডেঙ্গুর প্রকোপ।
খোদ কলকাতা পুরসভার বক্তব্য়ে পরিষ্কার, ডেঙ্গু মোকাবিলায় যথাসাধ্য চেষ্টা চালাচ্ছে কলকাতা পুরসভা। তা সত্ত্বেও তার সুফল মিলছে না। কলকাতা হাইকোর্টে একই অভিযোগ এনেছেন জনস্বার্থ মামলাকারী। যার ভিত্তিতে রাজ্যের ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্য সরকারের কাছে রিপোর্ট তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট। প্রধান বিচারপতি তোট্টাথিল ভাস্করন নায়ার রাধাকৃষ্ণন এবং বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে আগামী ২২ নভেম্বর রাজ্যকে রিপোর্ট দিতে বলেছে। ডেঙ্গি মোকাবিলায় সরকার কি কি পদক্ষেপ নিয়েছে তা জানাতে হবে রিপোর্টে।
ডেঙ্গু নিয়ে জনস্বার্থ মামলাকারীদের আইনজীবীরা এদিন কোর্টের কাছে তথ্য তুলে জানান, রাজ্য সরকার মশাবাহিত এই রোগ প্রতিরোধে পুরোপুরি ব্যর্থ। আদালত এর আগে যে গাইডলাইন তৈরি করে দিয়েছিল, তাও ঠিকভাবে পালন করেনি সরকার। ফলে তা এখন মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। যদিও রাজ্যের অতিরিক্ত অ্যাডভোকেট জেনারেল অভ্রতোষ মজুমদার এ নিয়ে কোর্টের কাছে হলফনামা দেওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেন।