সংক্ষিপ্ত

  • ভাটপাড়া পুরসভা সকালে পুনর্দখল করেছিল তৃণমূল
  • সন্ধ্যেতে সেই পুনর্দখল করা পুরসভাই ফের হাতছাড়া হল তৃণমূলের
  • আদালতে বৃহস্পতিবার জোর ধাক্কা খেল এদিন শাসক দল
  • তবে সিঙ্গল বেঞ্চের  রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যাচ্ছে তৃণমূল 

ভাটপাড়া পুরসভা সকালে পুনর্দখল করেছিল তৃণমূল। কিন্তু সন্ধ্যের মুখে কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে সেই পুনর্দখল করা পুরসভাই ফের হাতছাড়া হল তৃণমূলের। আদালতে বৃহস্পতিবার জোর ধাক্কা খেল এদিন শাসক দল। বিচারপতি অরিন্দম সিনহা রায় দেন, চেয়ারম্যানের প্রতি অনাস্থা দেখিয়ে এদিন তৃণমূলের ৩ কাউন্সিলরের ডাকা অনাস্থা প্রস্তাব এবং তার সপক্ষে হওয়া ভোটাভুটি খারিজ। আদালত এও জানিয়ে দেয়, অনাস্থা ভোট করাতে হবে পুর-আইন মেনেই। তবে সিঙ্গল বেঞ্চের  রায়কে চ্যালেঞ্জ করে আগামীকাল তৃণমূল কংগ্রেস ডিভিশন বেঞ্চে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। 

৩৫ আসনের ভাটপাড়া পুরসভা প্রথমে তৃণমূলের দখলে থাকলেও পরে তা বিজেপি দখল করে। বিজেপির হয়ে পুরপ্রধান হন অর্জুন সিং ঘনিষ্ঠ সৌরভ সিংহ। কিন্তু বৃহস্পতিবার তৃনমূল ফের দাবি করে ভাটপাড়া পুরসভা তারা পুনর্দখল করেছে ১৯-০ ভোটে জয়লাভ করে। তৃনমূলের ৩ জন কাউন্সিলর চেয়ারম্যান সৌরভ সিংহ'র বিরুদ্ধে অনাস্থা দেখিয়ে গত ৩০ ডিসেম্বর ভোটাভুটির জন্য নোটিশ দেয়৷ এদিন সকালে ভোটাভুটি হয়। তৃণমূল দাবি করে, ১৯-০ ভোটে তারা বোর্ড পুনর্দখল করেছে৷ 

এদিকে, ৩ জন তৃণমূল কাউন্সিলরের অনাস্থা প্রস্তাবের নোটিশের বিরুদ্ধে সকাল সাড়ে  হাইকোর্টে আসে বিজেপি। আদালত বেলা সাড়ে বারোটায় প্রথম মামলাটি শোনে। এরপর বিকেল ৪ টেয় ফের শুনানি হয়। বিজেপির আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য এবং সপ্তাংশু বসু বলেন, তৃণমূল কাউন্সিলররা প্রথমে সৌরভ সিংহ'র প্রতি অনাস্থা জানায়৷ তখন ওই পুরপ্রধান তা গ্রহণ করেন এবং তাঁর প্রতি কাউন্সিলরদের আস্থা রয়েছে কিনা তা জানার জন্য  আগামী ২০ জানুয়ারি বিশেষ বৈঠক বা আস্থা ভোট হবে বলে গত ৬  জানুয়ারি জানিয়ে দেন। 

অথচ চেয়ারম্যানের দেওয়া নোটিশকে অগ্রাহ্য করে ৩ জন তৃণমূল কাউন্সিলর কী করে ভোটাভুটির জন্য নোটিশ দেয়? ৩ কাউন্সিলরের এই পদক্ষেপ  অবৈধ এবং অসাংবিধানিক। আদালত যেন তা খারিজ করে। কিন্তু  রাজ্যের হয়ে এডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত বলেন, চেয়ারম্যান গত ৬ ডিসেম্বর নোটিশ দিয়েছিলেন তাঁর প্রতি কাউন্সিলরদের আস্থা রয়েছে কিনা ২০ জানুয়ারি তা জানার জন্য। নিয়ম অনুযায়ী নোটিশ দেওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে আস্থা ভোট করাতে হয়৷ তা হয়নি বলেই ৩ তৃণমূল কাউন্সিল নোটিশ দিয়েছিল। চেয়ারম্যান অকারণে ভোটাভুটি করাতে দেরি করেছেন। চেয়ারম্যানের প্রতি কাউন্সিলরদের যে আস্থা নেই তা ১৯-০ ভোটের ফলে দেখা গেছে। আসলে গণতন্ত্রের সংখ্যাগরিষ্ঠতাই হল মূলকথা।