সংক্ষিপ্ত

কলকাতা পুরভোটের সব সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। পুরভোটের একাধিক অশান্তির অভিযোগে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে কড়া বার্তা দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।  

কলকাতা পুরভোটের সব সিসিটিভি (CCTV) ফুটেজ সংরক্ষণের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। পুরভোটের একাধিক অশান্তির অভিযোগে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে (WB State Election Commission)  কড়া বার্তা দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। মামলায় কমিশনকে সাফ জানিয়েছে হাইকোর্ট যে, পুরভোটের ব্যবহৃত সব সিসিটিভি ফুটেজ  সংরক্ষণ করতে হবে। এখানেই শেষ নয়, প্রিসাইডিং অফিসারের ডাইরি সহ ভোটারদের সই এবং হাতের ছাপও সংরক্ষণের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। 

প্রসঙ্গত, রবিবার কলকাতায় পুরভোট চলাকালীন একাধিক বুথের সামনে ঝামেলা হয়, বোমাবাজির ঘটনা ঘটে। অসংখ্য বুথে ছাপ্পা রিগিংয়ের অভিযোগ ওঠে। এর মধ্যে একটি বুথের সিসিটিভি ফুটেজ ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে। যেখানে ভিডিওতে দেখা গিয়েছে একজন ইভিএমের মেশিনের বোতাম পরপর অনেকবার টিপে গিয়েছেন। এই ছবি প্রকাশ্যে আসতেই  ইভিএম মেশিনে কারচুপির অভিযোগে গৌরব দাস নামে এক ব্যাক্তিকে গ্রেফতার করেছে বড়তলা থানার পুলিশ ।তবে কোন দলের হয়ে তিনি এই কাজটি করছিলেন, এনিয়ে ইতিমধ্যেই তদন্তে নেমেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে ওই ব্যাক্তিকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ভিডিও দেখার পর, ইভিএম মেশিনে কী কারণে তিনি বারবার ওই কাজটি করছিলেন জানতে চাওয়া হয়েছে। কীভাবেই সে ওখানে প্রবেশ করেছিল, পুরোটাই খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এই ঘটনাটি ইতিমধ্যেই বড়তলা থানা লালবাজারকে জানিয়েছে।

আরও পড়ুন, গোয়ার প্রাক্তন বিধায়ক তৃণমূল ছাড়তেই তোপ, 'মমতার সাম্প্রদায়িক'-র ইস্যুতে নিশানা BJP-র

উল্লেখ্য এই মামলায় প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্শ্রী ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, সংরক্ষণ করতে হবে ইভিএম কন্ট্রোলের ইউনিট এবং ইভিএম ভোটিং রেকর্ড। রাজ্যে বকেয়া পুরভোটের দিনক্ষণ বৃহস্পতিবারই হলফনামায় হাইকোর্টকে জানিয়েছে কমিশন। তাই বকে পুরভোটে যাতে ঠিক করে সিসিটিভি লাগানো হয় এবং ভোটের পর তা সংরক্ষণ করা হয়, রাজ্য কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। প্রয়োজনে ব্যবহার করা ক্যামেরাও অডিট করা হতে পারে বলে জানিয়েছে আদালত।  উল্লেখ্য, 'ইভিএম পর্যাপ্ত নয় বলে একইসঙ্গে সব পুরভোট করা যাবে না', বলে জানিয়েছিল কমিশন। সেই ইভিএম মেশিন নিয়ে প্রকাশ্যে এল কারচুপি বিতর্ক।   বিজেপির দায়ের করা মামলায় হাইকোর্টকে জবাবদিহি করেছিল রাজ্য কমিশন। জানিয়েছিল, একইসঙ্গে পুরভোট হওয়ার মতো ইভিএম মজুত নেই। উত্তরে সন্তুষ্টও ছিল আদালত। তবে মোটেই সন্তুষ্ট ছিল না বিজেপি। প্রথম থেকেই তাঁরা একাধিক অভিযোগ নিয়ে সরব ছিল। একেই পুরভোটের দিনই দুপুর থেকে বিজেপির সঙ্গে বাম-কংগ্রেসও যোগ দেয় বেনিয়েমের অভিযোগ তুলে বিক্ষোভে। বিরোধীরা রিগিং, ছাপ্পা ভোট সহ একাধিক বেনিয়মের ইস্যুতে পুর্নির্বাচনের দাবি তুলেছে।