সংক্ষিপ্ত
- নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস
- বিধায়ক খুনের ঘটনায় নাম জড়ায় মুকুলের
- মুকুলের জড়িত থাকার প্রমাণ আছে, দাবি সিআইডি-র
- কলকাতা হাইকোর্টে চার মাসের জন্য় স্বস্তি পেলেন বিজেপি নেতা
তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস খুনের ঘটনায় বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের স্বস্তি। আগামী ৪ মাস গ্রেফতার করা যাবে না মুকুল রায়কে৷ সোমবার অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশে জানিয়ে দিল বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি এবং বিচারপতি শুভ্রা ঘোষের ডিভিশন বেঞ্চ। মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে ৩ মাস পর। বস্তুত, শীতকালীন ছুটির সময় আগাম জামিন চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মুকুল ।
গত বছর সরস্বতী পুজোর সন্ধ্যায় একটি অনুষ্ঠানে গিয়ে খুন হন নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জের বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস। বিধায়ক খুনে মূল অভিযুক্ত হিসেবে এফআইআর-এ মুকুলের নাম ছিল। খুনের তদন্ত করেছিল সিআইডি। এ দিকে গ্রেফতারি এড়াতে বিজেপি নেতা হাইকোর্টে অগ্রিম জামিন চেয়ে আবেদন করেন। বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি চলাকালীন নিম্ন আদালতে সিআইডি চার্জশিট দেয়৷ চার্জশিট থেকে মুকুলের নাম বাদ যায়৷
ফলে প্রথমবার আগাম জামিনের জন্য আবেদন করা মামলাটির আর প্রয়োজন না থাকায় মুকুল রায় তা প্রত্যাহার করে নেন। কিন্তু নিম্ন আদালতে এবার নিহত বিধায়কের স্ত্রী ন্যায়বিচারের জন্য পুনরায় তদন্তের আবেদন জানান। সিআইডি'ও নিম্ন আদালতে জানায়, এই খুনের ঘটনায় মুকুল রায়ের একটা যোগসূত্র পাওয়া গিয়েছে৷ অভিষেক পুন্ডারি নামে এক যুবকের সঙ্গে মুকুল রায়ের ফোনে কথা হয়েছিল। সেই কল রেকর্ডিং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে তদন্তকারীরা। তাই আরও তদন্তের প্রয়োজন রয়েছে৷ নিম্ন আদালত সিআইডিকে ফের তদন্ত করতে বলে।
ফের তদন্ত শুরু হওয়ায় একই মামলায় দ্বিতীয়বার আগাম জামিন চেয়ে মুকুল হাইকোর্টে আবেদন করেন। সরকার পক্ষ আগাম জামিনের বিরোধিতা করেছিল। তবে এ দিন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চ মুকুলকে ৪ মাসের জন্য স্বস্তি দিয়েছে৷ পাশাপাশি, মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে সিআইডি-কে রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।