সংক্ষিপ্ত
ভোট পরবর্তী হিংসার তদন্তে আরও দুটি মামলা রুজু করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। পুরভোটের দোরগড়ায় রায়নায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় খুনের মামলা রুজু করা হয়েছে, পাশাপাশি বারাসাতে খুনের চেষ্টার ঘটনায় মামলা রুজু করতে চলেছে সিবিআই।
ভোট পরবর্তী হিংসার তদন্তে (Post Poll violence) আরও দুটি মামলা রুজু করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (CBI)। পুরভোটের দোরগড়ায় রায়নায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় খুনের মামলা রুজু করা হয়েছে। পাশাপাশি বারাসাতে খুনের (Barasat Murder Case) চেষ্টার ঘটনায় মামলা রুজু করতে চলেছে সিবিআই (CBI) ।
ভোট পরবর্তী হিংসায় মৃত অভিজিৎ সরকারের মামলার মূল সাক্ষী দাদা বিশ্বজিৎ সরকারের নিরাপত্তার ভূমিকায় জোর দিয়েছে কলকাতা পুলিশ। সম্প্রতি বিশ্বজিৎকে তাঁর বাড়ির সামনে এসে খুনের হুমকি দেয় দুষ্কৃতিরা। এই হুমকির বিষয়টি আদালতের সামনে নিয়ে আসেন। সিবিআই-র কাছেও এই ঘটনাটি নিয়ে আসেন তিনি। কিছু দিন আগেই প্রাণহানির আশঙ্কা জানিয়ে সিবিআই দফতর আসার পর বিশ্বজিৎ সরকার জানিয়েছিলেন, সিবিআই ডেকেছিল । আমরা এমএলএ পরেশ পাল এবং ওসি নারকেলডাঙা শুভজিত সেনের নামে শিয়ালদহ কোর্টে অভিযোগ করেছিলাম। সেই কেসে কোর্টে অভিযোগ করার সমস্ত ডকুমেন্টস নিয়ে সিবিআই আসতে বলেছিল। এবার ওনারা দেখবেন। যে কপিটা পুলিশ কমিশনারকে দিয়েছিলাম সেটাই ওনাদের দিয়ে গেলাম।' উল্লেখ্য, অভিজিৎ-র দাদা বিশ্বজিৎ যদিও এই মামলায় বরবরাই নারকেলডাঙা থানার বিরুদ্ধে অসহযোগিতা এবং তদন্তের গতিপথ ঘোরানোর দাবি তোলেন। অভিযুক্ত এসআই রত্না সরকারকে গ্রেফতার করার দাবিও তুলেছেন বিশ্বজিৎ। অভিজিৎ খুনের পর তিনিই যে সফট টার্গেট একথা বহু বার বলেওছেন। এদিকে সম্প্রতি নারকেল ডাঙা থানার তরফেই বিশ্বজিৎ-র বাড়িতে সিসিটিভি বসানো হয়েছে।
আরও পড়ুন, KMC Polls 2021: কংগ্রেসের পতাকা লাগানো ইস্যুতে খুনের হুমকি, তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ
এদিকে নির্বাচন পেরিয়ে উপনির্বাচনে তৃণমূলের বিপুল জয়ের পরেও রাজ্যের একের পর এক বিজেপি কর্মী খুনের ঘটনা প্রকাশ্য়ে এসেছে।পূর্ব মেদিনীপুরে খুন হওয়া চন্দন মাইতি এবং বিজেপি কর্মী ভাষ্কর বেরাকে খুনের কথা উল্লেখ করে রাজনৈতিক খুনের অভিযোগে সামনে আনেন শুভেন্দু। শুধু খুনই নয়, মহিলা নির্যাতন বা ধর্ষণের কথা উল্লেখ করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। রাজ্যে যে রাজনৈতিক খুন অব্যাহত, এবিষয় নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের বিবৃতি পেশের দাবি জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ত্রাসে এখনও ঘর ছাড়া বহু বিজেপি কর্মী। এহেন পরিস্থিতিতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন অভিজিৎ-র দাদা।প্রসঙ্গত, মৃত্যুর আগেই অভিজিৎ সরকার তীব্র আর্তনাদের স্বরে ভেজা চোখে জানিয়েছিলেন,আমার বাড়ি, অফিস, এনজিও সব ভেঙে দিচ্ছে। এমনকি ৫ টা বাচ্চা সহ কুকুরকেও ছাড়া হয়নি। পিটিয়ে মেরে দিল, ওরা কি মানুষ। সেই চরম অত্যাচারের কথা ফেসবুক থেকে জানিয়েছিলেন অভিজিৎ। এরপরেই স্বপন সমাদ্দার-পরেশ পালের নের্তৃত্বে নারকেল ডাঙা পুলিশের সামনে তার বাড়ি, অফিস, এনজিও ভাঙা হয় বলে অভিযোগ তুলেছিলেন অভিজিৎ। তিনি আরও বলেন,' যে জিতুত, রাজনৈতিক দিকথেকে আমার কোনও আপত্তি নেই। মুড়ি-মুড়কির মতো বোমা ফেলেছে, বলে ধ্বংসলীলা চালানোর অভিযোগ তুলেছিলেন তৃণমূলের বিরুদ্ধে।' এদিকে তারপর রাতারাতি খুন হয়ে গিয়েছেন অভিজিৎ।