সংক্ষিপ্ত

এসএসসি দুর্নীতি মামলায় এবার চরম অস্বস্তিতে তৃণমূল সরকার। এবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে বিকেল ৫ টার মধ্যে সিবিআই দফতরে হাজিরার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। 
 

এসএসসি দুর্নীতি মামলার পারদ ক্রমশ চড়তে শুরু করেছিল। সোমবার অনুসন্ধান কমিটির রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পরই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ওপর চাপ বাড়ছিল। এসএসসি দুর্নীতি মামলায় গ্রুপ-ডি নিয়োগের ক্ষেত্রে চরম দুর্নীতি হয়েছে বলে উল্লেখ করেছিল অনুসন্ধান কমিটি। রিপোর্টে স্পষ্ট বলা হয়েছিল যে  গ্রুপ ডি-তে চাকরি হওয়া ৬০৯ জনের নিয়োগই বেআইনি। এবার ২৪ ঘণ্টা পেরোতে না পেরোতে আশঙ্কাই হল সত্যি। পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সিবিআই দফতরে হাজিরা দিতে বলল কলকাতা হাইকোর্ট। 

এদিন কলকাতা হাইকোর্টের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে 'পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে বিকেল ৫টার সিবিআই দফতর অর্থাৎ নিজাম প্যালেসে হাজিরার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। পাশপাশি হাইকোর্টের তরফে এও জানানো হয় যে, হাজিরার আগে কোনওভাবে এসএসকেমের উডবার্ন ওয়ার্ডে ভর্তি হতে পারবেন না। প্রয়োজন মনে করলে সিবিআই গ্রেফতার ও করতে পারেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে, এমনটাই জানিয়েছেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। 

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি কিছুদিন আগেই গরু পাচার কাণ্ডে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে হাজিরার জন্য ডেকে পাঠিয়েছিল সিবিআই। কিন্তু সেইসময় তিনি আচমকাই অসুস্থতার খবর জানিয়ে এসএসকেমের উডবার্ন ওর্য়াডে ভর্তি হন তিনি। তবে এবার আগাম নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের যে তিনি কোনোভাবেই উডবার্ন ওয়ার্ডে ভর্তি হতে পারবেন না। এরপরই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্চ করে ডিভিশন বেঞ্চে মামলা দায়ের করে। এবং অবশেষে ডিভিশন বেঞ্চে মেলে সুস্থ, বুধবার সকাল ১০.৩০টা পর্যন্ত পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হাজিরায় স্থগিতাদেশ দিল ডিভিশন বেঞ্চ। যেহেতু এখন ও সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশনামা কোর্টের ওয়েবসাইটে আপলোড হয় নি তাই সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল ডিভিশন বেঞ্চ। 

 এই প্রসঙ্গে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ জানান 'এটি বিচারাধীন বিষয় তাই আমি এই বিষয় এই মুহূর্তে একটি কথা ও বলবো না।' তবে বিষয়টি নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েন নি বিরোধীরা। বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেছেন 'আরেকটা বেড অনুব্রত মণ্ডলের পাশে আগে থেকেই তৈরি করে রাখা ছিল শুধু হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে উডবার্ন ওয়ার্ডে ভর্তি হওয়া যাবে না তাই, অসুস্থ বোধ করলে দিল্লির AIIMS - এ চলে যেতে পারেন ওখানে খুব ভালো চিকিৎসা হয়। সুর চড়িয়েছেন অধীর চৌধুরিও, এই প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, 'বাংলার মুখ্যমন্ত্রী এই লুঠের ভাগিদার, তিনি এই বিষয়গুলোকে প্রশ্রয় দিয়েছেন। ওনার কাছে ভালো কিছু আশা করে উচিত নয়।'