সংক্ষিপ্ত
- দ্রুত গতিতে এগোচ্ছে সারদা কাণ্ডের তদন্ত।
- এবার নারদ কাণ্ডের জাল গোটাতে চায় সিবিআই।
- তাই আর দেরি না করে ফের সক্রিয় হল সিবিআই-এর কর্মকর্তারা।
দ্রুত গতিতে এগোচ্ছে সারদা কাণ্ডের তদন্ত। এবার নারদ কাণ্ডের জাল গোটাতে চায় সিবিআই। তাই আর দেরি না করে ফের সক্রিয় হল সিবিআই-এর কর্মকর্তারা। এবার দ্বিতীয় দফার জেরার প্রথমেই ডাকা হল নারদা স্টিং অপারেশন যার মস্তিষ্কপ্রসূত সেই ম্যাথু স্যামুয়েল কে।
আগামী ২৪ শে জুন সকাল সাড়ে দশটার সময় নিজাম প্যালেস এ ম্যাথু স্যামুয়েলের জিজ্ঞাসাবাদ হবে। সংবাদমাধ্যমকে ঘটনার সত্যতার কথা জানান দিয়েছেন ম্যাথু নিজেই। তিনি বলেছেন, 'সিবিআইয়ের ডাকে আমি সাড়া দিতে তৈরি'।
প্রসঙ্গত গত ৬ জুন আই পি এস এস এম এইচ মির্জাকে তলব করেছিল সিবিআই। সিবিআই সূত্রে খবর অনেক প্রশ্নের উত্তরেই অসংগতি ধরা পড়েছে। মির্জার জিজ্ঞাসাবাদের সময় বেরিয়ে এসেছে একাধিক সূত্র। মির্জাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল নারোদা কাণ্ডে কেন টাকা নিলেন তিনি? সেই টাকা কিভাবে খরচ হল? কাদের তিনি ভাগ দিয়েছেন, এই সমস্ত বিষয়। এবার জাল গোটাতে তৎপর সিবিআই ২০১৪ সালের স্টিং অপারেশন নিয়ে কথা বলতে চায় খোদ ওই অপারেশনের মাথা ম্যাথু স্যামুয়েলের সঙ্গেই।
ম্যাথুর পরিকল্পনা অনুযায়ী, ইমপেক্স কনসাল্টেন্সি নামক একটি কাল্পনিক সংস্থার নাম করে নারদা নিউজের কর্মচারীরা তৃণমূলের নেতানেত্রীদের কাছে পৌঁছেছিলেন। নারদার প্রধান দাবি করেছিলেন রাজ্যে সুষ্ঠুভাবে ব্যাবসা চালানোর জন্যে মোট ৭২ লক্ষ টাকা ঘুষ নেয় তৃণমূল নেতানেত্রীরা। তবে সবার আগে উঠে এসেছিল এই বরিষ্ঠ পুলিশ আধিকারিক এম এইচ আহমেদ মির্জার নামও। এর সঙ্গেই ছিল তৎকালীন রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ মুকুল রায়, সুলতান আহমেদ, সৌগত রায়, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, ফিরহাদ হাকিম-দের মতো পরিচিত নেতানেত্রীর নামও।