সংক্ষিপ্ত
- অবশেষে রাজ্য়ের নজরদারিতে বেরোল কেন্দ্রীয় দল
- লকডাউন এলাকা পরিদর্শনে বাইপাস থেকে যাদবপুর
- সকালে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিদর্শনে বাধা পায় দল
- যদিও শেষে মুখ্য়সচিবের সঙ্গে বৈঠকে সমাধানসূত্র
রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে কেন্দ্র থেকে পাঠানো হয়েছে প্রতিনিধি দল।মঙ্গলবার শহরের করোনা আক্রান্ত এলাকাগুলিকে চিহ্নিত করে পরিদর্শন করার সিদ্ধান্ত নেয় দলটি। যদিও পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিদর্শনে বাধা পায় তাঁরা। পুলিশের নির্দেশ মতো এলাকা পরিদর্শনের কথা বলা হলে নাকচ করে কেন্দ্রের প্রতিনিধি দল। কেন্দ্র থেকে যে তালিকা পাঠানো হয়েছে সেই অনুযায়ী এলাকা পরিদর্শনের দাবি রাখে তাঁরা। যদিও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনও আটকে। গুরুসদয় দত্ত রোডের বিএসএফের সদর দফতরেই রয়েছেন তাঁরা। সেখানে আসেন সাউথ ইস্ট ডিভিশনের ডিসি দেবস্মিতা দাস ও স্থানীয় থানার আধিকারিকরা।
রাজ্য়ে করোনা আক্রান্ত ৪০০ ছুঁই ছুঁই, বলছে কেন্দ্রের বুলেটিন..
এ ব্যাপারে ওই প্রতিনিধি দলের প্রধান তথা প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অতিরিক্ত সচিব অপূর্ব চন্দ্র বলেন, কেন্দ্রের তরফে পশ্চিমবঙ্গকে যে নির্দেশ পাঠানো হয়েছিল, সেই মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, রাজস্থান সরকারকেও পাঠানো হয়েছিল। ওই রাজ্যগুলিতেও কেন্দ্রের প্রতিনিধি দল গিয়েছে। তাঁরা রাজ্য সরকারের সাহায্য নিয়ে ভালরকম কাজও করছেন। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে কেন আটকে দিল বুঝতে পারছেন না তিনি।
কেন্দ্রের প্রতিনিধি দলকে জেলা পরিদর্শনে বাধা, নবান্নের নির্দেশে সংঘাতের বার্তা..
সকালে এই অবস্থা হলেও বিকেলে রাজ্য় সরকারের নজরদারিতে কলকাতায় পর্যবেক্ষণ শুরু করে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। বিকেলে পৌনে পাঁচটা নাগাদ কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলটি কলকাতা পরিদর্শনে বের হন। তবে তাদের সঙ্গে রয়েছে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা পুলিশের একটি টিম। সূত্রের খবর তাদের নেতৃত্বেই কেন্দ্রীয় দলটি কলকাতা পরিদর্শন করছে। সবার সামনে রয়েছে কলকাতা পুলিশের টিম। এছাড়া কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সঙ্গে কলকাতা পুলিশ ছাড়াও রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী, বিএসএফ। এই দল প্রথমে বালিগঞ্জ থেকে বেরিয়ে গড়িয়াহাট হয়ে গোলপার্ক যান। পরে সেখান থেকে যাদবপুর হয়ে বাইপাসে লকডাউন পর্যবেক্ষণ করেন তাঁরা।
গাড়ি ঘুরিয়ে বিএসএফ ক্যাম্পে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল, রাজ্য়ের থেকে মিলছে কি অনুমতি..
সকালের দিকে কেন্দ্রীয় দলকে আটকে দেওয়ায় দুপুরেই চিঠি আসে নবান্নে। দ্রুত কেন্দ্রীয় দলের সঙ্গে রাজ্য়কে সহযোগিতা করার কথা বলা হয় চিঠিতে। এরপরই বিএসএফ সদর দফতরে কেন্দ্রীয় দলের সঙ্গে বৈঠক করতে যান মুখ্য়সচিব রাজীব সিনহা। এরপরই মেলে সমাধান।
সোমবারই রাজ্য়ে করোনা পরিস্থিতির মধ্য়েই কেন্দ্র-রাজ্য় সংঘাত লেগে যায়। কেন লকডাউনে রাজ্য়ে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল পাঠাল সরকার তা নিয়ে প্রশ্ন তোলন খোদ মুখ্য়মন্ত্রী। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোয় আঘাত বলে পাল্টা প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। যে পদ্ধতিতে রাজ্য়ে এই টিম পাঠানো হয়েছে নবান্নে তার সমালোচনা করেন খোদ মুখ্য়সচিব রাজীব সিনহা।