সংক্ষিপ্ত
- দেশের করোনা পরিস্থিতিতে ক্রমশই কমেছে জিএসটি বাবদ আয়
- রাজ্যগুলিকে জিএসটির ভাগ দেওয়ার অবস্থায় নেই কেন্দ্রীয় সরকার
- সংসদের অর্থ বিষয়ক কমিটির বৈঠকে এমনই জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থসচিব
দেশের করোনা পরিস্থিতিতে ক্রমশই কমেছে জিএসটি বাবদ আয়। তাই কর আদায় না হওয়ায় রাজ্যগুলিকে জিএসটির ভাগ দেওয়ার মতো অবস্থায় নেই কেন্দ্রীয় সরকার। সংসদের অর্থ বিষয়ক কমিটির বৈঠকে এমনই জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থসচিব অজয়ভূষণ পাণ্ডে।
সম্প্রতি আইসিএমআর-এর ল্য়াব উদ্বোধনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে প্রাপ্য টাকা মেটানোর কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গে করোনা মোকাবিলায় দারুণ কাজ হচ্ছে। কিন্তু সেজন্য টাকার চাহিদা মেটাতে মুশকিলে পড়তে হচ্ছে তাঁর সরকারকে। সেই কারণে কেন্দ্রের কাছে পশ্চিমবঙ্গের বকেয়া ৫৩,০০০ কোটি টাকা মিটিয়ে দেওয়া হোক। এমনকী জিএসটির প্রাপ্য বাবদ জুনে যে টাকা পাওয়ার কথা ছিল, তা এখনও পশ্চিমবঙ্গ পায়নি। যদিও কেন্দ্রীয় অর্থসচিব এদিন জানিয়ে দিলেন এখনই জিএসটি-র ভাগ রাজ্য়গুলিকে দেওয়া সম্ভব নয়। সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে কেন্দ্রীয় অর্থসচিব বলেছেন, প্রয়োজনে রাজ্য়গুলির জিএসটি বাবদ অর্থের ভাগ এই মুহূর্তে কমাতে পারে কেন্দ্রীয় সরকার।
অর্থসচিবের এই মন্তব্য়ে স্বাভাবিকভাবেই চিন্তায় পড়বে রাজ্য়গুলি। কীভাবে রাজ্য়ের জিএসটির ভাগ কমানো যায় তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। যার উত্তরও দিয়েছেন অজয়ভূষণ পান্ডে। তিনি জানিয়েছেন, আইনে এর সংস্তান রয়েছে। কোনও কারণে কেন্দ্রীয় সরকারের রাজস্ব আদায় একটা স্তরের কম হলে রাজ্যগুলিকে ভাগ কমানোর বিধান রয়েছে আইনে।
দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বলছে, আগেই কোষাগারের অবস্থা নিয়ে চিন্তায় ছিলেন অর্থমন্ত্রী। নতুন করে কোষাগারের চিন্তা বাড়িয়েছে করোনার থাবা। একে একে প্রতিটি রাজ্য়কে করোনা যুদ্ধে বহু টাকা খরচ করতে হচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারকে। ফলে এখনই নিয়মমাফিক জিএসটির ভাগ দিতে পারছে না তারা।