সংক্ষিপ্ত
১৬ বছরের নাবালিকাকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল বাবার বন্ধু বিরুদ্ধে। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে রাজারহাট থানার পুলিশ।
ন্যাশান্যাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর(National Crime Records Bureau) তথ্য বারবার প্রশ্নের মুখে পড়ছে বাংলার নারীদের নিরাপত্তা। শ্লীলতাহানি থেকে ধর্ষণ প্রতিক্ষেত্রেই গোবলয়ের একাধিক রাজ্যকে জোরদার টক্কর দিচ্ছে বাংলা। প্রশাসনের তরফে এই বিষয়ে বারবার সচেতনতামূলক প্রচরাভিযান চালানো হলেও এখনও বদলাচ্ছে না পরিস্থিতি। উল্টে নাবালিকা নিগ্রহের(Minor abuse) পরিমাণও আগের থেকে কয়েকগুন বেড়ে গিয়েছে গোটা রাজ্যে। এমতাবস্থায় এবার ১৬ বছরের নাবালিকা শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল নাবালিকার বাবার বন্ধুর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে রাজারহাট থানার(Rajarhat police station) অন্তর্গত বাগু এলাকায়। এই ঘটনার খবর প্রকাশ্যে আসতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ওই এলাকায়।
সূত্রের খবর, রাজারহাট থানার অন্তর্গত বাগু এলাকার বাসিন্দা অরুণ বিশ্বাসের স্ত্রী মামনি বিশ্বাস গত ২২ তারিখ সকালে হাসপাতালে যান। স্বামী অরুণ বিশ্বাস বেরিয়ে যান কাজে। সেই সময় ফাঁকা বাড়িতে একাই ছিল নাবালিকা। সেই সুযোগেই বাড়িতে আসে নাবালিকার বাবার বন্ধু নিমাই নস্কর। তার বাড়ি রাজারহাট থানার অন্তর্গত উত্তর নয়াবাদ এলাকায়। অভিযুক্ত যকন বাড়িতে ঢোকে সেই সময় সে মদ্যপ অবস্থায় ছিল বলে খবর। একপ্রকার বলপূর্বক নাবালিকার গায়ে হাত দেয় অভিযুক্ত। সেই সঙ্গে চলে গালিগালিজ। বাধা দিতে গেলে নাবালিকাকে মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ। এদিকে বিকেলে নাবালিকার মা বাড়ি ফিরে কাউকে দেখতে না পেয়ে ডাকাডাকি শুরু করেন। প্রথমে খোঁজ মেলেনি মেয়েরও।
আরও পড়ুন- পুলিশ কোয়ার্টারে ১০ বছরের এক নাবালিকার শ্লীলতাহানি, ব্যাপক চাঞ্চল্য বরানগরে
পরে ঘরে গিয়ে দেখতে পান তাদের ঘরে ইতিউতি ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে মদের বোতল, সিগারেটের প্যাকেট। ছাদে গিয়ে দেখেন অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছে তার মেয়ে। তখনই তার সন্দেহ হয়। অসুস্থ অবস্থায় ঘরে নিয়ে আসা হয় নাবালিকাকে। তারপরই মায়ের কাছে পুরো ঘটনা খুলে বলেন নিগৃহীতা। এই ঘটনার পরেই অভিযুক্তের নামে রাজারহাট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে নাবালিকার পরিবার। ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত নিমাই নস্করকে গ্রেফতার করেছে রাজারহাট থানার পুলিশ। ধৃতকে আজ বারাসাত আদালতে পেশ করা হয়। অন্যদিকে বরানহরে পুলিশ আবাসনে এক ১০ বছরের নাবালিকার যৌন নিগ্রহের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় গোটা এলাকায়। খোদ পুলিশ আবাসনের নিরাপত্ত বলয় ভেদ করে কীকরে এই ঘটনা ঘটল তা জেনেই হতবাক হয়ে যান সকলে। ওই আবাসনে কর্মরত এক রাজমিস্ত্রি এই কাণ্ড ঘটিয়েছে বলে জানা যায়। দীর্ঘদিন থেকেই সে ওই আবাসনে কাজ করত বলে জানা যায়। ইতিমধ্যেই তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ওই নাবালিকা ছাড়াও আবাসনের আরও অনেক মেয়ের সাথেই সে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।