সংক্ষিপ্ত

ওই আবাসনে অনেকদিন থেকেই কাজ করছিলেন বেশ কিছু রাজমিস্ত্রি। তাদের মধ্যেই একজন এই কাণ্ড ঘটিয়েছে। ইতিমধ্যেই নাবালিকার পরিবারের তরফে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তবে খোদ পুলিশ আবাসনে এই ধরণের অভিযোগ ওঠায় এলাকায় নারী নিরাপত্তা নিয়ে উঠেছে বড়সড় প্রশ্ন।

পুলিশ যেখানে সমাজে মূল রক্ষকের ভূমিকা পালন করে থেকে সেই পুলিশই কোয়ার্টারেই ১০ নাবালিকার শ্লীলতাহানির(Sexual Harassment of Minors) অভিযোগ সামনে এল। যা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বরানগরে। তবে মূল অভিযোগ ওই আবাসনে কাজ করতে আসা এক রাজমিস্ত্রীর বিরুদ্ধে। সূত্রের খবর, ন-পাড়ায় পুলিশ কোয়ার্টারে আইপিএস অফিসারদের(IPS officers) জন্য নতুন আবাসন তৈরি হচ্ছে। সেই আবাসনে অনেকদিন থেকেই কাজ করছিলেন বেশ কিছু রাজমিস্ত্রি। তাদের মধ্যেই একজন এই কাণ্ড ঘটিয়েছে। ইতিমধ্যেই নাবালিকার পরিবারের তরফে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তবে খোদ পুলিশ আবাসনে(Police Quarters in Baranagar) এই ধরণের অভিযোগ ওঠায় এলাকায় নারী নিরাপত্তা নিয়ে উঠেছে বড়সড় প্রশ্ন।

সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার বিকেলে আবাসনের অন্যান্য বাচ্চাদের সঙ্গে খেলতে বেরিয়েছিল মেয়েটি৷ কিন্তু সন্ধ্যে হওয়ার পরও ঘরে ফেরেনি নাবালিকা। তার মা-বাবা দুজনেই কাজে গিয়েছিলেন। নাবালিকা ঘরে না ফেরায় তার ঠাকুমা খুঁজতে বের হন। ফিরে এসে তিনি আবাসনের দোতলায় বসে নাতনিকে কাঁদতে দেখেন। তখনই ঠাকুরমাকে সব খুলে বলে ওই নাবালিকা। জানানো হয় বাবা-মাকেও। নাবালিকার দাবি, যখন সে খেলার জন্য আবাসনের অন্যান্য বাচ্চাদের জন্য নীচে যায় তখনই আবাসনের ছাদে নিয়ে গিয়ে এক রাজমিস্ত্রি তাকে যৌন হেনস্তা করেছে। তার আরও অভিযোগ, তাকে এই ঘটনার কথা কাউকে না বলার জন্য হুমকিও দেয় অভিযুক্ত। অভিযুক্ত রাজমিস্ত্রির নাম সন্তু মল্লিক। সে ওই আবাসনেই অন্যান্য রাজমিস্ত্রিদের সঙ্গে কাজ করত। কাজ করার সুবাদেই কোথায় কে থাকত সেই বিষয়ে সে পুরোপুরি ওয়াকিবহাল ছিল বলে পুলিশি জেরায় জানিয়েছে। সেই সুযোগেই সুযোগ বুঝে ছাদে নিয়ে গিয়ে বাচ্চাটির শ্লীলতাহানি করে সে।

আরও পড়ুন-বটগাছের পাশে পড়ে রয়েছে অশীতিপর বৃদ্ধের মৃতদেহ, শৈত্যপ্রবাহের জেরে মৃত্যু, অনুমান পুলিশের

এদিকে এই ঘটনা যানা মাত্রই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে বরানগর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয় পরিবারের তরফে। নাবালিকার ঠাকুমা বন্দনা মুখোপাধ্যায়ের তরফে অভিযোগ দায়ের করা হয় বলে জানা যায়। নড়েচড়ে বস এলাকার পুলিশ-প্রশাসন। এরপরই বরানগর থানার পুলিশ(Police of Baranagar police station) অভিযুক্তকে আটক করে। তবে এই ঘটনার পরেই এগিয়ে আসেন আবাসনের অন্যান্য বাসিন্দারাও। শোনা যাচ্ছে, এই ধরনের ঘটনা আবাসনে আরও অনেকের সঙ্গেই ঘটেছে। এমনকী অনেক ক্ষেত্রেই অভিযোগের আঙুল উঠেছে ওই রাজমিস্ত্রির দিকেই। কিন্তু খোদ পুলিশ আবাসনে এই ধরণের ঘটনা ঘটায় হতবাক সকলে। সূত্রের ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত রাজমিস্ত্রির বিরুদ্ধে পকসো আইন মোতাবেক মামলা রুজু করা হয়েছে। পাশাপাশি খেয়াল রাখা হচ্ছে নাবালিকার শারীরিক অবস্থার দিকেও।