সংক্ষিপ্ত
শহরের বিভিন্ন জায়গায় ইতিমধ্যেই একাধিক ওয়াচ টাওয়ার এবং ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারির ব্যবস্থা করা হয়েছে। কলকাতায় ঢোকার মূল প্রবেশ পথগুলিতে থাকা কড়া নিরাপত্তা। এছাড়াও থাকছে পেট্রোলিংয়ের ব্যবস্থা। অন্যদিকে চালু রয়েছে হেল্প লাইন নম্বরও। অন্যদিকে বিধাননগরেও নেওয়া হয়েছে নিরাপত্তার বাড়তি ব্যবস্থা।
করোনা ফাঁস আলগা হতেই দুর্গাপুজোর(Durga Puja) পর থেকেই ধীরে ধীরে উত্সবের মেজাজে ফিরতে শুরু করেছিল বাংলা। যদিও তারপরেও কমেনি করোনা উদ্বেগ। অনেকটাই বেড়েছিল করোনা গ্রাফ। অবশেষে করোনা বিধি মেনেই অপেক্ষার প্রহর শেষে অবশেষে বড়দিনের(Christmas 2021) আনন্দে মেতে উঠেছে কলকাতা। এদিকে প্রতিবারের মতো এবারও মধ্যরাতে তিলোত্তমার গির্জায় উপস্থিত হতে দেখা গেল মুখ্যমন্ত্রীর মমতা বন্দোপাধ্যায়কে(CM Mamata Banerjee)। রাজ্যবাসীর জন্য প্রার্থনার পাশাপাশি উৎসবের আবহেও করোনা বিধি যথাযথ ভাবে পালনের উপর বিশেষ জোর দেন তিনি। ২৪-র মধ্যরাতে গির্জায় উপস্থিত হয়ে উপাসনা করতে দেখা যায় তাঁকে। এদিকে দুদিন আগেই বিপুল সংখ্যা গরিষ্ঠতায় কলকাতায় ক্ষমতায় ফিরেছে তৃণমূল-কংগ্রেস(Trinamool-Congress)। পুরভোটে(KMC Polls) ১৪৪টির মধ্যে ১৩৪টি আসনই গিয়েছে তৃণমূলের দখলে। যা নিয়ে খুশির আবহ রয়েছে ঘাসফুল শিবিরের অন্দরে। তবে প্রতি বছরই বড়দিন(Christmas in Kolkata) উপলক্ষে বিশেষ উৎসব পালনে গির্জায় যান মুখ্যমন্ত্রী। অন্য বার তাঁকে সেন্ট পলস ক্যাথিড্রালে মাঝরাতের ক্যারলে অংশ নিতে দেখা যায়। তবে এবার তাতে খানিক বদল দেখা যায়।
এদিন মধ্যরাতে তাঁকে বড়বাজারে ব্রেবোর্ন রোডের পর্তুগিজ গির্জায় যান তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দোপাধ্যায়। সেখানে চলে উপাসনা। এদিকে মুখ্যমন্ত্রীর আগমণকে ঘিরে ওই এলাকায় কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে কলকাতা পুলিশ। ব্রেবোর্ন রোডের পর্তুগিজ গির্জায় ফিতে কেটে উৎসবের সূচনা করেন তিনি। সেখানে পৌঁছাতেই আর্চ বিশপ তাঁকে স্বাগত জানান। তারপরেই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানান। এদিকে এর আগে ২০ ডিসেম্বর পার্ক স্ট্রিটের ক্রিসমাস কার্নিভালের উদ্বোধন করেন মমতা। তারপর থেকেই কার্যত উত্সবের মোডে চলে গিয়েছে পার্কস্ট্রিট। গত সপ্তাহ থেকেই পার্কস্ট্রিট সহ গোটা এলাকাই কড়া নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে।
আরও পড়ুন- কলকাতার পর পুরভোটের দামামা বেজেছে বাকি জেলায়, রানাঘাটে শুরু তৃণমূলের প্রচারাভিযান
শহরের বিভিন্ন জায়গায় ইতিমধ্যেই একাধিক ওয়াচ টাওয়ার এবং ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারির ব্যবস্থা করা হয়েছে। কলকাতায় ঢোকার মূল প্রবেশ পথগুলিতে থাকা কড়া নিরাপত্তা। এছাড়াও থাকছে পেট্রোলিংয়ের ব্যবস্থা। অন্যদিকে চালু রয়েছে হেল্প লাইন নম্বরও। অন্যদিকে বিধাননগরেও নেওয়া হয়েছে নিরাপত্তার বাড়তি ব্যবস্থা। এদিকে বড়দিনের দুদিন আগে থেকেই উন্মাদনার ছবি ধরা পড়ছিল গোটা রাজ্যজুড়েই। এদিকে বড়দিনের আবহে বহুজাতিক সংস্থার কেকের পাশাপাশি বেকারির কেকের চাহিদা অনেকটাই বেড়েছে রাজ্যজুড়ে। বিশেষত জেলাগুলিতে বেকারির কেকের চাহিদা রয়েছে তুঙ্গে। অন্যদিকে পার্ক, রেস্টুরেন্টগুলিতেও বেড়েছে মানুষের ভিড়।