সংক্ষিপ্ত
শুক্রবার ক্রিসমাস ইভ। আর তাই বিকেল থেকেই অনেকে ভিড় জমাবেন পার্কস্ট্রিটে। আর সেই কারণে বিকেল থেকেই পার্ক স্ট্রিট ও সংলগ্ন এলাকায় নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন ৩ হাজার পুলিশ কর্মী।
করোনা পরিস্থিতির (Corona Situation) মধ্যেই গত বছরের মতো এবছরও বড়দিন (Christmas) ও বর্ষবরণ (New Year) উপলক্ষ্যে সেজে উঠছে পার্কস্ট্রিট। করোনা বিধি মেনেই সেখানে বড়দিন ও বর্ষবরণের উৎসব পালন হতে চলেছে। এই দুটি উৎসবকে ঘিরে ইতিমধ্যেই রংবেরঙের আলোয় সেজে উঠেছে পার্কস্ট্রিট (Park Street) থেকে শুরু করে অ্যালেন পার্ক (Allen Park)। এই দিনগুলিতে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মানুষের ঢল নামে পার্কস্ট্রিট, ভিক্টোরিয়া, সেন্ট পলস ক্যাথিড্রাল চার্চ, চিড়িয়াখানা ও ময়দানে। করোনা পরিস্থিতির জেরে গত বছর ভিড়ের পরিমাণ কিছুটা কম ছিল। তবে গতবছরের তুলনায় এবছর করোনা পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক। ফলে এবার রাস্তায় ভিড় অনেক বেশি হতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। তাই এবারও নিরাপত্তার (Security) উপর বিশেষ জোর দেওয়া হচ্ছে। বড়দিনে শহরজুড়ে মোতায়েন থাকবে ৩ হাজার পুলিশ (Kolkata Police)। মহিলাদের নিরাপত্তা (Woman Security) দিতে থাকবে মহিলা পুলিশের উইনার্স টিম।
শুক্রবার ক্রিসমাস ইভ। আর তাই বিকেল থেকেই অনেকে ভিড় জমাবেন পার্কস্ট্রিটে। আর সেই কারণে বিকেল থেকেই পার্ক স্ট্রিট ও সংলগ্ন এলাকায় নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন ৩ হাজার পুলিশ কর্মী। এছাড়াও থাকবে ৩টি ওয়াচ টাওয়ার, ১০টি পুলিশ সহায়তা কেন্দ্র, ২টি কুইক রেসপন্স টিম। পাশাপাশি সিসিটিভির মাধ্যমেও নজরদারি চালানো হবে। নিরাপত্তা ও ভিড় নিয়ন্ত্রণে পার্ক স্ট্রিট মোড়ের কাছে থাকছে পুলিশের অস্থায়ী কন্ট্রোল রুম। শপিং মল এবং চার্চগুলিতেও থাকছে পুলিশের কড়া নিরাপত্তা।
আরও পড়ুন- অবশেষে উদ্ধার মমতার নিরাপত্তারক্ষীর খোয়া যাওয়া ব্যাগ ও অস্ত্র
তবে শুধুমাত্র রাস্তাতেই নয় মেট্রো স্টেশনেও বাড়তি নজরদারি চালাবে কলকাতা পুলিশ। মেট্রো স্টেশনের ভিতরে থাকবে আরপিএফের নিরাপত্তা আর বাইরে নজরদারি চালাবে কলকাতা পুলিশ। এছাড়া বাইকে করেও পেট্রোলিং চালাবে পুলিশ। পাশাপাশি সাদা পোশাকেও পুলিশ টহলদারি চালাবে বলে জানা গিয়েছে।
এছাড়া বড়দিন ও বর্ষবরণের দিনগুলিতে প্রতিবছরই ভিড় জমে রেস্তরাঁ ও পানশালাগুলিতে। সেক্ষেত্রে পানশালার ভিতরে যাতে করোনা বিধি মানা হয় সেদিকেও নজরদারি চালাবে পুলিশ। একইসঙ্গে, মাইকিং করে কোভিড বিধি মেনে চলার জন্য সাধারণ মানুষকে অনুরোধ জানানো হবে।
করোনা পরিস্থিতির মধ্যে বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে। করোনা সম্পর্কে সতর্ক করা হয়েছে রাজ্যবাসীকে। তবে ক্রিসমাস থেকে বর্ষবরণ পর্যন্ত রাত্রিকালীন বিধি নিষেধের উপর ছাড় দেওয়া হয়েছে। অবশ্য করোনা সতর্কতা হিসেবে ওই এলাকায় যাতে বেশি জমায়েত না হয় তার জন্য পুলিশি নজরদারি চালানো হবে। কারণ ক্রিসমাস ইভ থেকেই পার্কস্ট্রিট চত্বরে ভিড় দেখা যাবে। সেই কারণেই পুলিশের তরফে বাড়তি নজরদারি চালানো হবে। আর এই সব সতর্কতা মেনেই করোনা পরিস্থিতির মধ্যে শহরে বর্ষবরণের কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গিয়েছে।