সংক্ষিপ্ত
- রাজ্যপাল ও মুখ্যমন্ত্রীর সংঘাত চরমে
- নাম না করে ফের জগদীপ ধানকড়কে নিশানা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
- রাজ্যে সমান্তরাল প্রশাসন চলছে
- কলকাতায় এক অনুষ্ঠানে বিস্ফোরক মন্তব্য মুখ্যমন্ত্রীর
একজন প্রশাসনিক প্রধান, আর সাংবিধানিক প্রধান। কিন্তু কেউ কাউকে ছেড়ে কথা বলছেন না। রাজ্যপাল ও মুখ্যমন্ত্রীর বাকযুদ্ধে সরগরম রাজ্য রাজনীতিতে। বৃহস্পতিবার ফের নাম না করে রাজ্যপাল জগদীপ ধানকড়কে নিশানা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, 'রাজ্যে সমান্তরাল প্রশাসন চলছে। মহারাষ্ট্রের ঘটনার থেকেও বাংলার পরিস্থিতি ভয়াবহ।' কেন্দ্রের মোদীকে সরকারকে তুলোধোনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী।
বুধবার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে বারান্দায় বসে থাকতে হয়েছিল তাঁকে। বৃহস্পতিবার সকালে আবার সটান বিধানসভায় হাজির হন রাজ্যপাল জগদীপ ধানকড়। এদিকে আগামী দু'দিনের জন্য অধিবেশন স্থগিত হয়ে গিয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে যখন সস্ত্রীক বিধানসভায় পৌঁছন রাজ্যপাল, তখন বিধানসভার সবকটি গেটই বন্ধ ছিল। এমনকী, রাজ্যপাল সাধারণত যে গেট দিয়ে বিধানসভায় ঢোকেন,সেই তিন নম্বর গেটটিও খোলা ছিল না। খোদ রাজ্যপালকে দেখেও গেট খুলতে অস্বীকার করেছেন মার্শাল। সাফ জানিয়ে দেন, অনুমতি ছাড়া বিধানসভার গেট খোলা যাবে না। ফলে দীর্ঘক্ষণ বিধানসভার চৌহদ্দিতে অপেক্ষা করতে রাজ্যপাল জগদীপ ধানকড়কে। ঘটনায় অপমানিত বোধ করেন তিনি। ক্ষোভ উগরে দেন রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, বিধানসভায় আসবেন বলে আগেই জানিয়েছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধানকড়। স্পিকার অবশ্য তখন জানিয়ে দিয়েছিলেন, অধিবেশন স্থগিত থাকায় তিনি হয়তো থাকবে পারবেন না। কিন্তু নিজের কর্মসূটিতেই অনড় থাকেন রাজ্যপাল।
এই ঘটনার পর কলকাতায় বণিকসভার অনুষ্ঠানে ফের নাম না করে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে সমান্তরাল প্রশাসন চালানোর অভিযোগ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দেশের আর্থিক পরিস্থিতি নিয়ে সুর চড়ালেন কেন্দ্রের বিরুদ্ধেও। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, 'দেশের অর্থনীতিতে এখন সবচেয়ে অন্ধকারময় সময় চলছে। বেকারত্ব ও মূল্যবৃদ্ধি আকাশ ছুঁয়েছে। ব্যাঙ্কিং নীতির কারণে মানুষের প্রাণ ওষ্ঠাগত। কাজ হারাচ্ছেন মানুষ।' তাঁর আরও মন্তব্য, নোটবন্দির মতো আর্থিক নীতির কারণে শিল্পপতিরা দেশ ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। দেশে শুধু বিভাজনের রাজনীতি চলছে। ঘরে টাকা রাখলে নোটবন্দি। ব্যাঙ্কে রাখলে লুটবন্দি। মানুষ কোথায় যাবে!' এই পরিস্থিতিতেও বাংলা অনেক ভালো করছে বলে বলে দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।