সংক্ষিপ্ত
দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার প্রশাসনিক পর্যালোচনা বৈঠক জেলার একাধিক ক্ষেত্রে নতুন কর্মসংস্থান তৈরি উপরেও বিশেষ ভাবে জোর দেন মুখ্যমন্ত্রী। একইসাথে জয়নগরে যাতে দ্রুত মোয়া হাব তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে পর্যালোচনা করতে প্রশাসনিক আধিকারিকদের বিশেষ নির্দেশ দেন তিনি।
পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুসারে গঙ্গাসাগরে প্রশাসনিক বৈঠকে(administrative meeting at Gangasagar) যোগ দিলেন মমতা বন্দোপাধ্যায়(CM Mamata Banerjee)। আর বৈঠকের শুরুতেই করোনা(Coronavirus) নিয়ে বিশেষ ভাবে উদ্বেগ প্রকাশ করতে দেখা গেল মমতাকে। ওমিক্রমণের(Omicron Virus) বাড়াবাড়ন্ত নিয়েও সতর্ক করলেন প্রশাসনিক আধিকারিকদের। একই সাথে যারা এখনও পর্যন্ত ২টি ডোজ পাননি তাদের দ্রুত টিকা দেওয়ার উপর জোর দিতে বললেন মুখ্যমন্ত্রী(Chief Minister)। অন্যদিকে টিকার বুস্টার ডোজ নিয়ে মোদী সরকারকে সরাসরি আক্রমণ করতে দেখা গেল মমতাকে(Mamata Banerjee)। মমতার দাবি, “৪০ শতাংশ মানুষ এখনও রাজ্যের দুটি ডোজ পাননি, সেখানে আলাদা ভাবে আরও একটি বুস্টার ডোজের দেওয়ার গ্রহণ যোগ্যতা কোথায়?” অন্যদিকে স্কুল-কলেজের পাশাপাশি গণ-পরিবহনে সঠিক ভাবে কোভিড বিধি পালন হচ্ছে কিনা সেই বিষয়ে নজরদারি বাড়ানোর উপর জোর দিতে বলেন তিনি। একইসাথে গঙ্গাসাগর মেলায়(Gangasagar Mela) মাস্ক পরা যেন বাধ্যতামূলক হয় তা নিশ্চিত করতে বলেন মুখ্যমন্ত্রী।
তবে স্কুল-কলেজ গুলিতে যাতে করোনার বাড়বাড়ন্ত ঠেকানো যায় তার উপরে নজরদারি আগের থেকে আরও বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন শিক্ষা সচিবকে(Secretary of Education)। পাশাপাশি সংক্রমণ বাড়লে স্কুল-কলেজ(School-college) বন্ধ রাখাও হতে পারে বলে ইঙ্গিত দেন তিনি। এমনকী নতুন করে সংক্রমণ মাথাচাড়া দিলে সরকারি কর্মচারীদের ক্ষেত্রে প্রয়োজনে ওয়ার্ক ফ্রম হোম মোড চালু করা হতে পারে বলে জানান মমতা। অন্যদিকে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার প্রশাসনিক পর্যালোচনা বৈঠক জেলার একাধিক ক্ষেত্রে নতুন কর্মসংস্থান তৈরি উপরেও বিশেষ ভাবে জোর দেন মুখ্যমন্ত্রী। একইসাথে জয়নগরে যাতে দ্রুত মোয়া হাব তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে পর্যালোচনা করতে প্রশাসনিক আধিকারিকদের বিশেষ নির্দেশ দেন তিনি। একইসাথে দ্রুত জয়নগরের মোয়ার জিআই ট্যাগের জন্য রাজ্যের তরফে আবেদন করা হবে বলেও জানান তৃণমূল সুপ্রিমো।
আরও পড়ুন-পুর-নির্বাচনে করা পাপ ধুতেই গঙ্গাসাগর গিয়েছেন মমতা, তোপ দিলীপের
এদিকে গঙ্গাসাগরে প্রশাসনিক বৈঠক নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই প্রশাসনিক মহলে তৎপরতা ছিল তুঙ্গে। এদিনের বৈঠকে রাস্তা, নতুন অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র, স্টেডিয়াম–সহ একাধিক প্রকল্পে প্রায় আড়াইশো কোটি টাকার লগ্নি হতে পারে শোনা যাচ্ছিল। এদিন বৈঠকের শুরুতেও মমতার মুখে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় পর্যটন শিল্পের উন্নতির উপর বিশেষ ভাবে জোর দেন। বিশেষ করে সুন্দরবনে নতুন করে পর্যটন খাতের উন্নতির দিকগুলি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক কালে দফায় দফায় ঘূর্ণিঝড়ের মুখে পড়ে সুন্দরবন। যার ফলে ব্যাপক ক্ষতি হয় বিস্তৃর্ণ এলাকার। তাই ধাক্কা সামলে যাতে নতুন করে সুন্দরবনের হৃত গৌরব ফেরানো যায় সেই বিষয়েও বিশেষ ভাবে নজর দিতে দেখা যায় মমতাক।