সংক্ষিপ্ত

এদিকে গঙ্গাসাগর মেলার জাতীয়করণ নিয়ে বরাবরই সরব মমতা। কিন্তু তাঁর দাবি এই বিষয়ে রাজ্যের সঙ্গে কোনোরকম সহযোগিতা করছে না কেন্দ্র সরকার। এমনকী কুম্ভমেলার প্রসঙ্গও টেনে আনতে দেখা যায় তাঁকে।  

মমতার গঙ্গাসাগর সফর(Mamata's Gangasagar tour) ঘিরে গত কয়েকদিন ধরেই প্রশাসনিক তৎপরতা ছিল তুঙ্গে। দুর্যোগ কবলিত সুন্দরবনে একাধিক উন্নয়নমূলক কর্মসূচির(Multiple development programs in the Sundarbans) উদ্বোধনের পাশাপাশি প্রশাসনিক বৈঠকের উদ্দেশ্যেই মূল গঙ্গাসাগর গিয়েছেন মমতা। এবার তার সাগরকে নিয়েই তোপ দাগতে দেখা গেল বিজেপি-র সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষকে(BJP's all-India co-president Dilip Ghosh)। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মঙ্গলবার দুপুরে গঙ্গাসাগর পৌঁছানোর পরেই কপিলমুনির আশ্রমে(Kapilmuni's Ashram) পুজো দিতে দেখা যায় মমতাকে। তা নিয়ে কটাক্ষবাণ শানিয়ে দিলীপের দাবি কলকাতা পুরভোটে(KMC election) যে পাপ করেছেন তা ধুতে গিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। প্রত্যেক নির্বাচনের পরেই এটা করেন তিনি।  বুধবার সকালে ইকো পার্কে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে এই ভাষাতেই তৃণমূল সুপ্রিমোকে(Trinamool supremo) আক্রমণ শানাতে দেখা গেল পদ্ম নেতাকে।

এদিকে গঙ্গাসাগর মেলার জাতীয়করণ নিয়ে বরাবরই সরব মমতা। কিন্তু তাঁর দাবি এই বিষয়ে রাজ্যের সঙ্গে কোনোরকম সহযোগিতা করছে না কেন্দ্র সরকার। এমনকী কুম্ভমেলার প্রসঙ্গও টেনে আনতে দেখা যায় তাঁকে।  “কুম্ভমেলা যদি ওয়ান হয়, এটা টু পাওয়া উচিৎ। এটা কুম্ভের মেলা থেকে কোনও অংশে কম নয়।একই সঙ্গে গতকালই মমতা দাবি করেন গঙ্গাসাগর মেলাকে জাতীয় মেলার তকমা দেওয়ার জন্য বহুবার কেন্দ্রকে চিঠি লিখেছেন, কিন্তু কেন্দ্র তাঁর চিঠির কোনোরকম সদুত্তর দেয়নি। এদিকে মমতার এই মন্তব্য নিয়ে গতকাল থেকেই বিস্তর চাপানউতর শুরু হয়ে যায় রাজনৈতিক মহলে। এবার মমতার এই মন্তব্যের পর দিলীপের পাল্টা আক্রমণ নিয়ে শুরু হয়েছে চর্চা।

আরও পড়ুন-Round Up 2021: বারেবারে মুখ থুবড়ে পড়ছে বামেরা, ‘রেড ভলান্টিয়ার্স’ পালে হাওয়া লেগেও শূন্য কেন ভোট বাক্স

এদিন চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ শানাতে গিয়ে দিলীপ বলেন, মুখ্যমন্ত্রী যে পাপ করেছেন তা ধুতেই গঙ্গাসাগরে গিয়েছেন তিনি। কপিলমুনি আশ্রমের মোহন্ত তো রাজনীতি বোঝেন না, তাই আশীর্বাদ করেছেন মুখ্যমন্ত্রীকে। প্রতি ভোটের পরই খুন হিংসা হলেই মমতার এই খেলা আমরা দেখতে পাই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এটা একটা কৌশল। বাংলার বাইরে কোথাও একটা দল তো শুরু করুক। তারপরে দেখা যাবে। মা-বাবা ছেলেকে বলে শতায়ু হোক। কিন্তু কতজন ছেলে ১০০ বছর বাঁচে? ” এখানেই না থেমে তৃণমূল জমানায় সুন্দরবনের উন্নয়ন নিয়েও একগুচ্ছ প্রশ্ন তোলেন দিলীপ। সমস্যা সমাধানের জন্য কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনা প্রয়োজন বলে তাঁর মত। একইসঙ্গে গঙ্গাসাগর মেলায় বাইরে থেকে যে সমস্ত পুন্যার্থীরা আসেন তাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করা হয় বলে অভিযোগ করেছেন দিলীপ। তাঁর সাফ দাবি বাইরে থেকে আসা মানুষের কাছে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া হয়, ভেঙে পড়ে জেটি। আর এসবই হয় প্রশাসনের অপদার্থতার জন্যই।