সংক্ষিপ্ত
- প্রয়াত প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ কৃষ্ণা বসু
- শনিবার সকালে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি
- 'শ্রদ্ধার ও কাছের একজনকে হারালাম'
- টুইট করে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন মুখ্যমন্ত্রীর
'শ্রদ্ধার ও কাছের একজনকে হারালাম।' শিক্ষাবিদ ও দলের প্রাক্তন সাংসদ কৃষ্ণা বসুর মৃত্যুতে টুইট করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। টুইটে তিনি লিখেছেন, 'প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ ও স্বাধীনতা সংগ্রাম ডক্টর শিশিরকুমার বসুর স্ত্রী কৃষ্ণা বসুর মৃত্যুর খবর পেয়ে আমি হতবাক ও শোকাহত। তিনি একজন শ্রদ্ধেয় সমাজ সংস্কারক, স্বনামধন্য কবি ও সাহসী শিক্ষাবিদ ছিলেন।'
আরও পড়ুন: একাধারে ছিলেন শিক্ষাবিদ ও রাজনীতিক, মমতার হাত ধরেই এসেছিলেন রাজনীতিতে
বয়স আশি পেরিয়ে গিয়েছিল। শারীরিক অবস্থা খুব একটা ভালো ছিল না কৃষ্ণা বসুর। পরিবার সূত্রে খবর, বছর চারেক আগে একবার স্টোক হয় তাঁর। সেরেও উঠেছিলেন, কিন্তু আর স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারেননি। গত চার-দিন ধরে খুবই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন যাদবপুরের প্রাক্তন সাংসদ। এতটাই অসুস্থ ছিলেন যে, কৃষ্ণা বসুকে ভর্তি করা হয় বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে। শনিবার সকালে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মায়ের শেষসময়ে পাশে ছিলেন কৃষ্ণা বসুর দুই ছেলে সুগত ও সুমন্ত। শেষকৃত্য হবে কেওড়াতলা মহাশ্মশানে।
আরও পড়ুন: শহিদ মিনারে অমিত শাহের সভার অনুমতি দিল না পুলিশ, আদলতের দ্বারস্থ বিজেপি
স্রেফ অধ্যাপক বা শিক্ষাবিদই নয়, যাদবপুর কেন্দ্র থেকে টানা তিনবার তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী হিসেবে সাংসদও নির্বাচিত হয়েছিলেন কৃষ্ণা বসু। প্রথমবার ভোটে জেতেন ১৯৯৬ সালে। সংসদের পররাষ্ট্র বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটি সদস্যও ছিলেন তিনি। শনিবার সকালে কৃষ্ণা বসুর মৃত্যুর খবর পেয়ে হাসপাতালে যান মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, মেয়র ফিরহাদ হাকিম, সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ তৃণমূল কংগ্রেসের আরও অনেকেই।