সংক্ষিপ্ত
- হাথরসের সময় কেন চুপ করে ছিলেন অমিত শাহ'
- 'দেশের মানুষের কথা বলার অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে'
- 'মোটরবাইক দেওয়ার আগে তেলের দাম কমিয়ে দিন'
- 'মোদী - মমতা উৎখাত করব', বলেন অধীর চৌধুরী
'আগামী দিনে এক সঙ্গে বাংলা থেকে মোদী - মমতাকে উৎখাত করব। বাংলায় আগামী নির্বাচনের জন্য বাম কংগ্রেস জোট তৈরি। আমরা আগামী দিনে এক সঙ্গে লড়াই করে জিতবো।' শুক্রবার গান্ধী মূর্তির পাশে দাঁড়িয়ে এই কথা বললেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী।
'আদিবাসীদের যদি এতই ভালোবাসেন তাহলে হাথরসের সময় কেন চুপ করে ছিলেন অমিত শাহ'
কেন্দ্রের কৃষি আইনের প্রতিবাদে এদিন ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল এর সামনে থেকে গান্ধী মূর্তি পর্যন্ত ট্রাক্টর চালিয়ে মিছিল করেন তিনি। মিছিল শেষে রাজ্য সফরে আসা অমিত শাহকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, 'অমিত শাহ কলকাতায় এসেছেন। কিন্তু এখানে কৃষকদের কথা, শ্রমিকদের কথা বলছেন না। দুই দিন ধরে কোথাও মতুয়া, কোথায় আদিবাসীদের বাড়িতে খাচ্ছেন। তিনি যদি আদিবাসীদের এতই ভালোবাসেন তাহলে কেন হাথরসের সময় চুপ করে ছিলেন।'
'দেশের মানুষের কথা বলার অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে'
পাশাপাশি সামনের বিধানসভা নির্বাচনের কথা তুলে তিনি বলেন, 'দেশের মানুষের কথা বলার অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। দিদি মোদী এক, কেবল তাদের রং আলাদা। তারা দুজনে একই কাজ করছেন। তবে আমরা মানুষকে মিথ্যা কথা বলতে পারবো না।' বিধানসভা নির্বাচনের প্রসঙ্গ উস্কে দিয়ে অধীর বলেন, 'একদিকে দিদি একদিকে মোদী, দুই অপশক্তির বিরুদ্ধে আমরা লড়ছি। তিনি আরো বলেন, বাম - কংগ্রেস বাংলায় এক সঙ্গে লড়বে। আর আমরা দিদি মোদী দু জনকে এক সঙ্গে বাংলা থেকে তাড়াবে। আমরা এক সঙ্গে লড়াই করে জিতবো। এদিন অধীর হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, আমরা আগামী দিনে বিরোধীদের জন্য গর্ত খোঁড়া শুরু করে দিয়েছি।'
' দিদি সবাইকে মোটরবাইক দেবেন বলছেন, তার আগে তেলের দাম কমিয়ে দিক'
একই সঙ্গে রাজ্যের বেকারত্বের প্রসঙ্গ তুলে মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করেন অধীর, তিনি বলেন,' দিদি সবাইকে মোটরবাইক দেবেন বলছেন। তার আগে পেট্রোল - ডিজেলের দাম কমিয়ে দিন তিনি। 'বিহারের প্রসঙ্গ তুলে অধীর বলেন, 'বিহারে নির্বাচনের পর নীতিশ কুমার বুঝতে পেরেছেন কংগ্রেস এর শক্তি। তাই তিনি আর ভোট দাঁড়াবেন না বলছেন। আগামী দিনে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর অবস্থা একই হবে। তিনিও কালীঘাটের বাইরে বেরোবেন না। সঙ্গে তিনি বলেন, বাংলায় রুটি নেই, কাজ নেই। বাংলার মানুষের ধর্ম বর্ণ দেখার দরকার নেই। সবাইকে নিয়ে বাংলার উন্নয়ন করতে চাই আমরা।'
'নতুন আইনে কৃষককে তাদের তৈরি ফসল জলের দরে বিক্রি করতে হবে, সমস্যা আরও বাড়বে'
অন্যদিকে এদিনের মিছিলের মূল্য কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে অধীরের দাবি, 'আমাদের দেশে ৬৪ কোটি মানুষ কৃষির উপর নির্ভরশীল। নতুন এই আইনের জন্য কৃষককে তাদের তৈরি ফসল জলের দরে বিক্রি করতে হবে। তাদের সমস্যা আরও বেড়ে যাবে। এই জন্যেই পাঞ্জাব, হরিয়ানায় কৃষকদের প্রতিবাদ দেখা যাচ্ছে। এই সমালোচনা করতে গিয়ে বাংলাকে ছাড়েননি তিনি, বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করে অধীর জানিয়েছেন, বাংলায় কৃষকদের জন্য মান্ডির সুবিধা নেই। বাংলায় কৃষকদের অবস্থা খুবই খারাপ, সেই কারণে তাদের অন্য রাজ্যে চলে যেতে হচ্ছে কাজের জন্য।'