সংক্ষিপ্ত
টিকাকরণের জন্য ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে নাম নথিভুক্তিকরণ প্রক্রিয়া। কো-উইন ও আরোগ্য সেতু অ্যাপ থেকে নাম রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। ১ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়ে গিয়েছে সেই প্রক্রিয়া।
অবশেষে প্রতীক্ষার অবসান। সোমবার থেকেই কলকাতায় শুরু হয়ে যাচ্ছে ১৫ উর্ধ্বদের টিকাকরণ কর্মসূচি। আর সে কারণেই স্বাস্থ্য দপ্তরের প্রস্তুতি রয়েছে তুঙ্গে। এদিকে কলকাতা পুর এলাকায়(Kolkata Municipal Area) ১ লক্ষ ৭৯ হাজার ১৫ উর্ধ্ব টিকা গ্রহীতা রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এদের সকলকেই আগামী দু-সপ্তাহের মধ্যে ভ্যাকসিন(COVID-19 Vaccine) দেওয়ার লক্ষ্য মাত্রা নেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে। এদিকে কলকাতার ১৫ উর্ধ্বদের টিকা(Corona Vaccines above 15) দেওয়ার জন্য বর্তমানে স্বাস্থ্য দপ্তরের(Department of Health) হাতে দেড় লক্ষ কোভ্যাক্সিন মজুত রয়েছে, এমনটাই জানিয়েছেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম(Kolkata Mayor Firhad Hakim)। সরকারি বা বেসরকারি সিভিসি (Covid Vaccine Center) থেকে টিকা নিতে পারবে বলে জানা যাচ্ছে।
এদিকে টিকাকরণের জন্য ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে নাম নথিভুক্তিকরণ প্রক্রিয়া। কো-উইন ও আরোগ্য সেতু অ্যাপ থেকে নাম রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। ১ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়ে গিয়েছে সেই প্রক্রিয়া। তবে অনলাইন এবং অফলাইন উভয় মাধ্যমেই ভ্যাকসিন স্লটের জন্য নাম নথিভুক্ত করা যাবে বলেও জানানো হয়েছে। টিকা নেওয়ার যোগ্য প্রার্থীরা কো-উইন অ্যাপে তাদের অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে বা একটি মোবাইল নম্বরের মাধ্যমে নতুন অ্যাকাউন্ট তৈরি করে অনলাইনে নিজেদের নাম লেখাতে পারবেন বলে জানানো হয়েছে। পাশাপাশি রাজ্যজুড়ে স্কুল পড়ুয়াদের সুবিধার জন্য প্রায় ৪৭৮টি স্কুল থেকে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে বলে জানা যাচ্ছে। প্রয়োজনে আরও স্কুলকে এই কাজে যুক্ত করা হবে বলে স্বাস্থ্যভবন সূত্রে খবর।
আরও পড়ুন-নতুন বছরে কী ফিরছে কনকনে ঠাণ্ডার আমেজ, পশ্চিমী ঝঞ্ঝা নিয়ে কেন এত চিন্তিত হাওয়া অফিস
একইসাথে ১৫-১৮ বছর বয়সীদের নাম রেজিস্ট্রেশনের জন্য দশম শ্রেণীর স্টুডেন্ট আই কার্ড (Student ID Card) বা স্কুল শংসাপত্র ব্যবহার করার ব্যবস্থা রেখেছে অ্যাপ কর্তৃপক্ষ। সরকারি বা বেসরকারি সিভিসি (কোভিড ভ্যাকসিন সেন্টার) থেকে টিকা নেওয়া যাবে বলে সরকারের তরফে জানানো হয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত ২৫ ডিসেম্বর জাতির উদ্দেশে ভাষণে ১৫ – ১৮ বছর বয়সীদের টিকাকরণ শুরুর কথা ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। কিশোর-কিশোরীদের টিকাকরণের জন্য কোভ্যাক্সিন ও জাইকোভ ডি ভ্যাকসিনকে ছাড়পত্র দিয়েছে কেন্দ্র। মোদীর ঘোষণার পরই টিকাকরণের জন্য জোরকদমে শুরু হয় যায় প্রস্তুতি। রাজ্যের পাশাপাশি তারপর থেকেই টিকাকরণের জন্য জোরদার প্রস্তুতি শুরু করে দেয় কলকাতা পৌরসভাও। ঠিক করা হয় পর্যাপ্ত জায়গা রয়েছে এমন স্কুলগুলিতে খোলা হবে ক্যাম্পগুলি। তারপরেই দ্রুত তৈরি হয়ে যায় তালিকা। ইতিমধ্যেই তৈরিও হয়ে গিয়েছে সম্পূর্ণ রূপরেখাও।