সংক্ষিপ্ত
চব্বিশ ঘন্টা মিটতে না মিটতেই শহরে ফের দলীয় পতাকা ফেলে দেওয়া এবং পুড়িয়ে ফেলার ইস্যুতে অভিযোগ সিপিআইএম প্রার্থীর। বেহালা ১৩২ নম্বর ওয়ার্ডের পর এবার উত্তেজনা ১২১ নম্বরে।
চব্বিশ ঘন্টা মিটতে না মিটতেই শহরে ফের দলীয় পতাকা ফেলে দেওয়া এবং পুড়িয়ে ফেলার ইস্যুতে অভিযোগ সিপিআইএম প্রার্থীর (CPIM Candidate )। বেহালা ১৩২ নম্বর ওয়ার্ডের পর এবার উত্তেজনা ১২১ নম্বরে। তৃণমূলের (CPIM) বিরুদ্ধে ফের অভিযোগ তুলেছে সিপিআইএম। কলকাতা পুরভোটের বেহালা ১২১ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিআইএম মনোনীত প্রার্থী আশিষ মন্ডলের (CPIM Candidate Asish Mondal) অভিযোগ, রবিবার রাতের অন্ধকারে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা হোডিং পোস্টার ও দলীয় পতাকা ছিঁড়ে ডাস্টবিনে ফেলে দিয়েছে।
সিপিআইএম প্রার্থী আশিষ মন্ডল জানিয়েছেন, গতকাল ১২১ নাম্বার ওয়ার্ডে যে সমস্ত হোডিং, পোস্টার ও দলীয়ও পতাকা লাগানো হয়েছিল। কিন্তু দলীয় পতাকা ও হোডিং পোস্টার ছিড়ে ডাস্টবিন ও বিভিন্ন জায়গায় ফেলে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও আরও অভিযোগ করছে দলীয় পতাকা পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আশীষ মন্ডল জানিয়েছেন, বেহালা থানা ও নির্বাচন কমিশনারের কাছে তিনি এই বিষয়ে অভিযোগ করবেন।১৯ ডিসেম্বর রবিবার কলকাতা পুরভোট। পুরভোটের দিন যতোই এগিয়ে আসছে, ততই একের পর এক অভিযোগ নিয়ে প্রকাশ্যে আসছেন রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা। উল্লেখ্য, রবিবারই পতাকা-হোর্ডিং ছিড়ে ফেলে দেওয়ার ইস্যুতে উত্তপ্ত হয় বেহালা ১৩২ নম্বর ওয়ার্ড। বেহালা ১৩২ নম্বর ওয়ার্ডের মনোনীত সিপিআইএম প্রার্থী মিতা ঘোষের অভিযোগ, এখানকার স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা শনিবার রাতে বিশালক্ষী তলা সিপিআইএম-এর পোস্টার হোডিং ছিড়ে ফেলে। পাশাপাশি তাদের ফ্ল্যাগ রাস্তায় খুলে ফেলে দেয়। এবং তিনি আরও বলেন যে, এই এলাকায় তৃণমূল দীর্ঘদিন ধরে অত্যাচার চালিয়ে যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই পুরো ঘটনা নিয়ে মিতা ঘোষ পর্ণশ্রী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। সিপিএমের তরফ থেকে এই ঘটনা নিয়ে বিশালক্ষী তলায় বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, পুরভোটের আগে বেশিরভাগ ঘটনাই ঘটছে বেহালা চত্ত্বরে। বেহালার ১৩১ নং ওয়ার্ডে এই একই অভিযোগ সম্প্রতি উঠে আসে। কিন্তু সেবার কাঠগড়ায় ছিল বামেরা। অভিযোগ তুলেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। কলকাতা পুরসভার এলাকায় বেহালা ১৩১ নম্বর ওয়ার্ডের পল্লীশ্রী পল্লীতে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় পতাকা বেশ কিছু পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। তৃণমূল কংগ্রেসের হোডিং ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ আনেন বেহালা পূর্ব বিধানসভার বিধায়ক ১৩১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল মনোনীত প্রার্থী রত্না চট্টোপাধ্য়ায়। বামপন্থী সমর্থকরাই এই কাজটি করেছে বলে অভিযোগ তোলেন তিনি। আর এই ঘটনার পরপরই বামেদের একের পর এক অভিযোগ প্রকাশ্যে আসে। এই ঘটনায় রত্না চট্টোপাধ্যায় বলেন, 'আমরা একটা শান্তিপূর্ণ ভোট করেছি। এখানে বিজেপি, সিপিএম কিংবা তৃণমূল যাই বলুন, কেউ আমরা কোনও প্রার্থীই কারো বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত আক্রমণ করছি না। একে অপরের দলের স্ট্যান্ড পয়েন্ট তুলে ধরেছি। দলে সংষ্কৃতি এটা আসা উচিত নয়। মানুষ ভোট দেবে। দলের পতাকা পুড়িয়ে তো আর ভোট পাওয়া যাবে না। আমাদের এখানে ক্ষমতা বেশি। সারা বাংলায় ক্ষমতা বেশি। কিন্তু আমরা এখানে এমনটা করছি না। বামপন্থীরা এই কাজটা করেছেন। আমি অনুরোধ করব বামপন্থী প্রার্থীকে, তাঁর দলের কর্মীরা যেনও এই কাজ না করেন।'