সংক্ষিপ্ত

  • দুর্গোৎসবেও থাবা বসাল করোনাভাইরাস
  • প্যান্ডেলগুলিকে 'নো এন্ট্রি জোন' ঘোষণা হাইকোর্টের
  • সাধারণ দর্শকদের প্রবেশে জারি নিষেধাজ্ঞা
  • আদালতের রায়ের ব্যাখ্যা দিলেন বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য 

দাবি ছিল কন্টেনমেন্ট জোন ঘোষণার। করোনা মোকাবিলায় শেষপর্যন্ত রাজ্যের সমস্ত পুজো প্যান্ডলকে 'নো এন্ট্রি জোন' ঘোষণা করল কলকাতা হাইকোর্টের। দুর্গাপুজো সংক্রান্ত জনস্বার্থ মামলায় আদালতের রায়ের ব্যাখ্যা দিলেন বিশিষ্ট আইনজীবী ও সিপিএম নেতা বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য।

আরও পড়ুুন: 'সরকার কি মানবে', হাইকোর্টের পুজো রায় নিয়ে কী বলল বঙ্গ বিজেপি

আর মাত্র কয়েকদিন। বাঙালি দুর্গাপুজোতেও এবার থাবা বসাল করোনাভাইরাস। স্বাস্থ্যবিধি মেনে পুজোর অনুমতি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতা বিভিন্ন মণ্ডপে গিয়ে যখন পুজোর উদ্বোধন করছেন তিনি, তখন জনস্বার্থ মামলায় নজিরবিহীন রায় শোনাল কলকাতা হাইকোর্ট। পুজোর সদস্যরা ছাড়া রাজ্যের সর্বত্রই পুজো প্যান্ডেলে সাধারণ দর্শনার্থীদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। বিশিষ্ট আইনজীবী ও সিপিএম নেতা বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, 'ছোট পুজোর ক্ষেত্রে প্যান্ডেলের শেষপ্রাপ্ত থেকে পাঁচ মিটার ও বড় পুজোর ক্ষেত্রে ১০ মিটার পর্যন্ত এলাকা ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।  ব্যারিকেডে গায়ে ঝোলাতে হবে নো এন্ট্রি বোর্ড। নির্দিষ্ট ওই এলাকার পুজো কমিটির সদস্য ছাড়া আর কেউ প্রবেশ করতে পারবেন না। কমিটির সদস্যদের নামের তালিকা আগে থেকে দিতে হবে পুলিশকে।'

আরও পড়ুন: 'এবার পুজো হোক পাড়ার-সেরা না হয় হবে আগামী বছর', কোর্টের রায়কে স্বাগত সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের

উল্লেখ্য, করোনা পরিস্থিতিতে মহারাষ্ট্রে গণেশ পুজো ও মহরম নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। তাহলে এ রাজ্যে দুর্গাপুজোর ক্ষেত্রেইবা ব্যতিক্রম ঘটবে কেন? কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেন অজয় কুমার দে নামে এক ব্যক্তি। মামলাকারীর বক্তব্য ছিল, কেরলে ওনাম উৎসবের পর করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এ রাজ্যে সাড়ম্বরে দুর্গাপুজো পালিত হল, তাহলে একইভাবে সংক্রমণের হার বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেই মামলার প্রেক্ষিতেই প্যান্ডেলগুলি 'নো এন্ট্রি জোন' ঘোষণা করল আদালত। এর আগে অন্য একটি জনস্বার্থ মামলার শুনানিতেও পুজো অনুমতি দেওয়াকে কেন্দ্র করে তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পড়ে রাজ্য সরকার।