সংক্ষিপ্ত
বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের পাশে থাকার বার্তা ছাত্র পরিষদের। একই সঙ্গে উপাচার্যের তীব্র সমালোচনা।
কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের পর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর তীব্র সমালোচনা করল পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য ছাত্র পরিষদ। ছাত্র সংগঠনের পক্ষ থেকে সৌরভ প্রসাদ একটি বিবৃতি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন। সেখানে স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বিশ্ব ভারতীতে যে ছাত্র আন্দোলন চলছে তাতে পূর্ণ সমর্থন রয়েছে ছাত্র পরিষদের।
পাশাপাশি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান হয়েছে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের তিন পড়ুয়াকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত ছিল সম্পূর্ণ স্বৈরতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত। তিন পড়ুয়াকে ক্লাসে ফিরিয়ে দিতে হবে বলেও দাবি করা হয়েছে। একই সঙ্গে উপাচার্যকে আরএসএস-এর দলদাস হিসেবেই চিহ্নিত করা হয়েছে। ছাত্র পরিষদের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান হয়েছে এদিন হাইকোর্ট যে সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে, তা উপাচার্যের স্বৈরতান্ত্রিক সিদ্ধান্তকে সরাসরি আঘাত করেছে। ছাত্র-ছাত্রীদের আন্দোলনের নৈতিক জয় হয়েছে।
BRICS শীর্ষ সম্মেলনের সভাপতিত্ব করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, আলোচনাতেই জোর ভারতের
প্রেম বা বিয়ে, যেকোনও সম্পর্ক বাঁচাতে ভুলেও ১২টি এই জিনিস উপেক্ষা করবেন না
বুধবার আন্দোলনরত পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের করা মামলার দ্বিতীয় দিনের শুনানিতে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারক রাজাশেখর মান্থা পড়ুয়াদের বহিষ্কারের উপর অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দিয়েছেন এবং সেই সঙ্গে বহিষ্কৃত পড়ুয়াদের অবিলম্বে ক্লাসে ফেরানোর ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি উপাচার্যের উদ্দেশ্যে বিচারকের স্পষ্ট পর্যবেক্ষন, ‘উপাচার্য যদি নিজেকে আইনের উর্দ্ধে মনে করেন তাহলে তা ঠিক নয়।’ এদিন আদালতে পড়ুয়াদের হয়ে সওয়াল করেছিলেন আইনজীবি বিকাশ ভট্টাচার্য ও শামিম আহমেদ। আদালতের নির্দেশ ও সওয়াল জবাব প্রসঙ্গে আইনজীবি বিকাশ ভট্টাচার্য বলেছেন, ‘‘বিচারককে পরিস্কার বলেছি ছাত্রদের সাজা যদি উপাচার্য প্রত্যাহার না করেন তাহলে আন্দোলন থামানো যাবে না। এই সাজা যদি প্রত্যাহার করা হয় তবেই শান্তি ফেরাবার উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে। বিচারক এই বক্তব্য গ্রহণ করেছেন। বিচারক এক্ষুনি পড়ুয়াদের ক্লাসে ফেরানোর ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়েছেন এবং বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত আপাতত স্থগিত করেছেন। বিচারক বলেছেন আন্দোলন প্রত্যাহার করা হোক, আদালত সব দেখবে। তাই যদি হয়, আদালত যদি সবটা দেখে তাহলে আমাদের আন্দোলন করার প্রয়োজন নেই।’’ তিন পড়ুয়া উপাচার্যের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করায় তাদের বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছিল বলেও বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর।