সংক্ষিপ্ত


ডিএ নিয়ে হাইকোর্টে রীতিমত ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য সরকার। রাজ্যের পুনর্বিবেচনার আবেদন খারিজ করে দিয়েছে  কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। সিঙ্গেল বেঞ্চের রায়ই বহাল রেখেছেন বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও রবীন্দ্রনাথ সামন্ত। তবে এই রাজ্যে সরকার সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে সূত্রের খবর। রায় নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে শাসক ও বিরোধীরা। 

ডিএ নিয়ে হাইকোর্টে রীতিমত ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য সরকার। রাজ্যের পুনর্বিবেচনার আবেদন খারিজ করে দিয়েছে  কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। সিঙ্গেল বেঞ্চের রায়ই বহাল রেখেছেন বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও রবীন্দ্রনাথ সামন্ত। তবে এই রাজ্যে সরকার সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে সূত্রের খবর। রায় নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে শাসক ও বিরোধীরা। 

তৃণমূলের বক্তব্য 
রায় নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, 'গোটা বিষয় নিয়েটি এই মুহূর্তে প্রশাসনিক ও সরকার বিষয়। এই বিষয়ে রাজ্য সরকার গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেবে।' এর সঙ্গে দলের কোনও যোগ নেই। তিনি আরও বলেন বিজেপি ইতিমধ্যেই বলতে শুরু করেছে তারা রাজ্যের ক্ষমতায় এলে কেন্দ্র সরকারের হারে ডিএ দেবে। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারই রাজ্যের একাধিক প্রকল্পের টাকা আটকে রেখেছে। তৃণমূল কংগ্রেস নেতা সৌগত রায়  বলেন এই মুহূর্তে রাজ্যের যা অবস্থা তাতে কেন্দ্রীয় সরকারি হারে ডিএ দেওয়া সম্ভব নয়। তিনি আরও বলেন 'হাইকোর্টের সিদ্ধান্তে তিনি দুঃখিত। রাজ্যের সত্যি আর্থিক সমস্যা রয়েছে। আর সেই জন্যই এই রায় পুনর্বিবেচনার জন্য জানান হয়েছিল।' তিনি আরও বলেন মেলা খেলায় অল্পটাকা খরচ হয়। কিন্তু রাজ্যের সরকারি কর্মীদের ডিএ দিতে প্রচুর খরচ হয়। তিনি বলেন পুজোর ২৫০ টাকা অনুদান দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ডিএ দিতে অনেক টাকা লাগবে।

বিজেপির মন্তব্য
বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন এই রাজ্য প্রত্যাশিত। তৃণমূল কংগ্রেস সরকার একটি অমানবিক আচরণ করেছে রাজ্যের সরকারি কর্মীদের সঙ্গে। তিনি আরও বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস অত্যান্ত পরিকল্পতিভাবেই রাজ্যের সরকারি কর্মীদের বঞ্চনা করেছে। তিনি হাইকোর্টের রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন।  অন্যদিকে সুকান্ত মজুমদার বলেন, রাজ্য সরকার খেলা-মেলা করছেন। কিন্তু রাজ্যের সরকারি কর্মীদের ডিএ থেকে বঞ্চিত করছেন। বেকার যুবকরা কর্মসংস্থান পাচ্ছেন না। ডিএ নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে প্রায় ৩০ শতাংশ ফারাক রয়েছে। এটা রাজ্য সরকারের বিবেচনা করা উচিৎ বলেও জানিয়েছেন তিনি।