সংক্ষিপ্ত
- অভিযুক্ত দেবাঞ্জনের গুণের শেষ নেই
- তাঁর স্বপ্নের কথা জানতেও পারত না কেউ
- অপরাধের তালিকা ফাঁস হচ্ছে শ্রীঘরে
- স্মার্ট অনলাইন ক্লাস প্রোজেক্টও লিস্টে ছিল
কসবার ভুয়ো ভ্য়াকসিনকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত দেবাঞ্জনের গুণের শেষ নেই। ধরা না পড়লে পশ্চিমবঙ্গবাসী জানতেও পারত তাঁর এত বড় স্বপ্নের কথা। বিভিন্ন স্কুলের সঙ্গে স্মার্ট অনলাইন ক্লাস প্রোজেক্ট শুরু করতে চেয়েছিলেন জেনেটিক্সে এমএসসি করা ভুয়ো আইএসএস দেবাঞ্জন।
আরও পড়ুন, ২৪-র লক্ষ্যেই চমক, 'বাংলার যুবরাজ অভিষেক', নতুন গান তৃণমূলের
সিট জানতে পেরেছে, স্পোর্টস অ্যাকাডেমির পাশাপাশি দেবাঞ্জনের স্মার্ট অনলাইন ক্লাস তৈরি করারও একটা পরিকল্পনা নিয়েছিলেন দেবাঞ্জন। বেহালার একটি কোম্পানি থেকে প্রায় ১২ লক্ষ টাকার সামগ্রী কিনেছিলেন। যার মধ্যে ১০ লক্ষ টাকার প্রতারণা করেছিলেন তিনি। কোম্পানি জানাচ্ছে, দেবাঞ্জনের টিম আরও একটি প্রোজেক্ট হাতে চাইছিল। বিভিন্ন স্কুলের সঙ্গে অনলাইন স্মার্ট ক্লাস শুরু করতে চেয়েছিলেন। এক্ষেত্রে একটি প্রতারণার মামলা দায়ের হয়েছে। অভিযুক্তের প্রতারণার জাল আরও বিস্তৃত বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা। শুধু ভ্যাকসিন কেলেঙ্কারি করাই নয়, দেবাঞ্জনের স্বপ্ন ছিল বহু দূর। যা একফোটাও আঁচ করতে পারেননি শাসকদলের কেউই। উল্টে তৃণমূল সরকারের শীর্ষ নের্তৃত্বের সঙ্গে ছবি পাল্টা বিতর্ক উসকে দিয়েছে।
আরও পড়ুন, কী করে প্রশাসনের চোখে ধুলো দিয়ে চলল ভুয়ো ভ্যাকসিনেশন, রহস্যভেদে কমিটি গঠন রাজ্যে
প্রসঙ্গত, ইতিমধ্য়েই কলকাতা পুলিশের হাত ধরে দেবাঞ্জনের একের পর এক অপরাধের লিস্ট প্রকাশ্য়ে এসেছে। দেবাঞ্জনের নীল বাতির গাড়িতে পাওয়া গিয়েছে বিশ্ব বাংলার লোগো। পুরসভার অফিসারদের সই জাল করা ব্যাঙ্ক অ্য়াকাউন্ট, নবান্নের জাল লেটারহেডে ব্য়াক্তিগত রক্ষী নিয়োগ ইতিমধ্যেই পর্দাফাঁস হয়েছে। নিজেকে পুরসভার যুগ্ম কমিশনার হিসেবে পরিচয় দিয়ে এসেছেন এতদিন ধৃত। তবে গল্প এখানেই শেষ নয়, ভ্যাকসিন নিয়ে প্রচুর খেটেছেন ভুয়ো আইএএস। শিয়ালদহ থেকে কোভিশিল্ড, স্পটনিকের জাল লেবেল ছাপানো,কসব সহ একাধিক জায়গায় সরকার ব্যানার টাঙিয়ে ভুয়ো টিকাকরণ শিবির,টিকা দেওয়ার নামে সংস্থার নামে ১.১১ লক্ষ টাকা হাতানো, স্টেডিয়ামের বরাত নেওয়ার নামে ৩৬ লক্ষ টাকা নেওয়া, টেন্ডার পাইয়ে দেবার নামে বেহালার এক ব্যাবসায়ীর থেকে ১০ লক্ষ টাকা নেওয়া-এসবের কীতৃত্ব রয়েছে জেনেটিক্সে এসএসসি করা গুণধর দেবাঞ্জনের।