সংক্ষিপ্ত

  • লকডাউনের বাজারে কলকাতার বুকে অগ্নিকাণ্ডের অভিশাপ
  • পুড়ে খাক হয়ে গেল মিনি-জয়া সিনেমা হল 
  • লেকটাউনে শুক্রবার রাত ১০টা নাগাদ এই ঘটনা
  • কলকাতার বুকে মিনি-জয়া মানে এক নস্টালজিয়া 
     

অতিমারির এই সময়ে এক অভিশপ্ত অগ্নিকাণ্ড। যার জেরে পুরে খাক জয়া সিনেমা হল। লেকটাউনে মিনি-জয়া সিনেমা হলের ঐতিহ্য এক মিথে পরিণত হয়েছে। কিন্তু, সেই মিথের উপরে এবার করালগ্রাস আগুনের লেলহান শিখা। যার জেরে প্রায় ভস্মিভূত মিনি-জয়া সিনেমা হল। রাত সাড়ে এগারোটা পর্যন্ত যা খবর তাতে মোট ১৫টি দমকলের ইঞ্জিন কাজ করছে। আগুনকে নিয়ন্ত্রণ করা গেলেও তা পুরোপুরি নেবানো সম্ভব হয়নি। গোটা এলাকা কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায়।  

জানা গিয়েছে সন্ধে ৯টা নাগাদ আগুন লাগে মিনি-জয়া সিনেমা হলে। অগ্নিকাণ্ডের বিষয়টি সামনে আসতেই ঘটনাস্থলে ছুটে যান দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। তিনি আবার এই এলাকার বিধায়ক এবং কাছে শ্রীভূমি-তে বসবাস করেন। তাঁর মতোই ছুটে আসেন এলাকার অসংখ্য মানুষ। কারণ, কলকাতার বুকে সিঙ্গল স্ক্রিন সিনেমা হলের ঐতিহ্যে মিনি-জয়া এক জনপ্রিয় নাম। 

অগ্নিকাণ্ডের খবর চাউর হতেই ঘটনাস্থলে ছুটে আসে দমকলের ১ত৫ ইঞ্জিন। অগ্নিকাণ্ডে এক মহিলা আহত হয়েছেন। জানা গিয়েছে ওই মহিলা সিনেমা হলের কেয়ারটেকারের পরিবারের। তার অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানা গিয়েছে। দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু জানিয়েছেন, লকডাউনের জেরে সিনেমা হল আপাতত বন্ধ। সেখানেই রান্না করছিল কেয়ারটেকারের পরিবার। সেখান থেকেই আগুন লাগে সিনেমা হলে। প্রাথমিক তদন্তে দমকলও এটাই অনুমান করছে। আগুনের প্রভাবে গ্যাস সিলিন্ডারে বিস্ফোরণ হয়। এর ফলে আগুন আরও দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। 

কালো ধোঁয়ায়া এলাকা ঢেকে যায়। সন্ধ্যার আকাশে এমন কালো ধোঁয়ায় রীতিমতো আতঙ্ক ছড়ায় লেকটাউন মোড়ে। আগুন নেভাতে ছুটে আসেন অসংখ্য মানুষ। সুদেব নায়েক বলে এক ব্যক্তি মিনি-জয়ার সামনে গাড়ি পার্কিং-এর কাজ করেন। তিনি জানিয়েছেন, আগুন লাগার খবর আসতেই ছুটে আসেন তাঁরা। কিন্তু ততক্ষণে কালো ধোঁয়ায় এলাকা ঢেকে গিয়েছে। এহেন পরিস্থিতিতে হলের ভিতরে থাকা মানুষকে বাইরে বের করে আনার চেষ্টা চলে। জানা গিয়েছে, মিনি-জয়ার স্ক্রিন টু-তে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে। এই হলটির ৯৫ শতাংশই পুড়ে খাক। মিনি-র অংশে আগুনের প্রভাবে সেভাবে পড়েনি। 

মিনি-জয়ার পুনর্গঠনের জন্য রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছেন হলের মলিকপক্ষ। মিনি-জয়ার অডিটোরিয়াম টু-এর ব্যালকনি থেকে শুরু করে পুরো হলেরই বেহাল দশা। বলতে গেলে পুরো হলটাই অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে খাক হয়ে যায়। আগুন নিয়ন্ত্রণ করা গেলেও কালো ধোঁয়া মূল সমস্যা হয়ে দাঁড়ায় দমকলের কাছে। সর্ট সার্কিট থেকে আগুন কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।