সংক্ষিপ্ত
দ্বিতীয় দফায় এই কর্মসূচি শুরু করা হবে। আর তার জন্য কর্মসূচির রূপরেখা তৈরি করতে বৈঠকে বসেছিলেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতারা। ছিলেন দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী, মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়, লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ও বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।
কোনও সমস্যার কথা বলতে চাইলে বা কোনও অভিযোগ থাকলে তা সরাসরি জানাতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এই কর্মসূচির নাম দেওয়া হয়েছিল 'দিদিকে বলো'। এই কর্মসূচির দ্বিতীয় দফার প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। সেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। ৫ মে থেকে তিন ধাপে এই কর্মসূচি রূপায়িত হবে বলে জানা গিয়েছে।
দ্বিতীয় দফায় এই কর্মসূচি শুরু করা হবে। আর তার জন্য কর্মসূচির রূপরেখা তৈরি করতে শনিবার দুপুরে ভবানীপুরের দলীয় দফতরে বৈঠকে বসেছিলেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতারা। ওই বৈঠকে ছিলেন দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী, মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়, লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ও বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। তবে বৈঠকে কী কী বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে তা নিয়ে মুখ খুলতে চাননি তৃণমূলের কোনও শীর্ষ নেতাই। জানা গিয়েছে, এই কর্মসূচির যাবতীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। সেই কারণে বৈঠকে কোন কোন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে তা নিয়ে মুখ খুললতে চাননি শীর্ষ নেতারা।
আরও পড়ুন- মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে ডেপুটেশন দিতে গিয়ে আটক ৪ চাকরিপ্রার্থী, উত্তেজনা ধর্মতলায়
৮ মার্চ নজরুল মঞ্চে তৃণমূলের সাংগঠনিক সভায় ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের উপস্থিতিতে 'দিদিকে বলো' কর্মসূচি ফের শুরু করার আভাস দেওয়া হয়েছিল। মার্চ মাসের শেষ সপ্তাহে উত্তরবঙ্গ সফরে শিলিগুড়িতেও এই কর্মসূচি নিয়ে সংক্ষিপ্ত বার্তা দিয়েছিলেন মমতা। বলেছিলেন, "আমি আগামী দু’মাস সময় নেব। তারপর যদি কারও বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ থাকে, কারও বিরুদ্ধে খুনখারাপির অভিযোগ থাকে, অত্যাচারের অভিযোগ থাকে, আমি আর একটা সেট আপ তৈরি করব যেমনটা আমি করেছিলাম ‘দিদিকে বলো’-তে। এই নামটা আমি এখন বলছি না। আমরা ঠিক করে আপনাদের জানাব। একটা মিসড কল দেবেন। আপনার নাম করে বলবেন যে, আপনি কী চাইছেন বা কোথায় কী ঘটছে। সঙ্গে সঙ্গে আমি অ্যাকশন নেব। সে অফিসারই হোক, সে কোনও রাজনৈতিক দলই হোক, সে কোনও সাংবাদিকই হোক, সে কোনও বাইরের লোকই হোক।"
আরও পড়ুন- 'তৃণমূল থেকে শেখার আছে, বহিষ্কৃতদের এবার ফেরানো উচিত', হারের পর বিস্ফোরক সৌমিত্র খাঁ
রাজ্যে ২০১৬ সালে বিপুল ভোট পেয়ে ক্ষমতায় এসেছিল তৃণমূল। কিন্তু, ২০১৯ সালে লোকসভা ভোটে কিছুটা হলেও ভরাডুবি হয়েছিল তৃণমূলের। সেখানে একাধিক আসনে জয়ী হয় বিজেপি। তারপর একুশের বিধানসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোরকে পরামর্শদাতা হিসেবে নিয়োগ করে তৃণমূল। পরামর্শদাতা হিসেবে কাজ শুরু করে প্রথমেই 'দিদিকে বলো' কর্মসূচি শুরু করেন প্রশান্ত। তখন অবশ্য এই কর্মসূচির দায়িত্ব ছিল প্রশান্তের সংস্থা আইপ্যাকের হাতে। তবে এবার আর তা থাকছে না। এবার এটি পরিচালনা করবেন তৃণমূল নেতারাই।