সংক্ষিপ্ত

রাজ্যের দুই উপনির্বাচনেই ভরাডুবি বিজেপির। আসানসোলে বড় সংখ্যার ব্যবধানে হেরেছে বিজেপি। বালিগঞ্জে তো কথায় নেই। দলের এহেন পরিস্থিতিতে তোপ দাগলেন বিজেপি নেতা সৌমিত্র খাঁ।

রাজ্যের দুই উপনির্বাচনেই ভরাডুবি বিজেপির। আসানসোলে বড় সংখ্যার ব্যবধানে হেরেছে বিজেপি। বালিগঞ্জে তো কথায় নেই। সিপিএমের সঙ্গেও যুজতে পারেনি বিজেপি। একুল ওকূল দুই কূল  গিয়েছে বিজেপি। তার উপর দলের প্রাক্তনী বাবুলের কাছেই শেষ অবধি হারতে হল, এনিয়েও ক্ষোভের অন্ত নেই। ভরাডুবিরা পর দল ককে সতর্কবার্তা দিয়েছেন তিনি। হারের কারণ নিয়ে অনেকেই অনেক ব্যাক্ষা দিয়েছেন তিনি। দলের এহেন পরিস্থিতিতে তোপ দাগলেন বিজেপি নেতা সৌমিত্র খাঁ।

সৌমিত্র খাঁ বলেছেন, অপরিণত রাজ্য নের্তৃত্বে ভালো ফল আশা করা যায় না। অপরিণত নেতাদের জন্য উপনির্বাচনে এই ফল হয়েছে। এরই সঙ্গে তার বিস্ফোরক উক্তি, তৃণমূল থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই করতে আমরা ব্যর্থ হয়েছি। এৎপরেই তিনি আর ওএক ধাপ এগিয়ে বলেন, যাদের বহিষ্কার করা হয়েছিল, তাঁদের ফেরানো উচিত। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে একদিকে হেরে যাওয়ার জ্বালা। তার উপর সৌমিত্র-র বিস্ফোরক মন্তব্যে উত্তাল দলের অন্দরে। আর এখানেই প্রস্ন উঠছে, দলের রাজ্য সভাপতির ভূমিকা নিয়েও কি এবার মোক্ষম প্রশ্ন তুলে দিলেন সৌমিত্র। পাশাপাশি কাদেরকে দলে ফেরানোর সওয়াল করেছেন তিনি। তবে কি জয় প্রকাশ মজুমদারের নের্তৃত্বদেরকে সরানোর জন্যই সেই রাজ্য নের্ত্ত্বকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন তিনি।

আরও পড়ুন, '২০ হাজার মার্জিন মন্দ নয়', মন্তব্য বাবুলের, 'সংখ্যালঘু ভোট কমছে' মনে করালেন সুকান্ত-দিলীপরা

 আরও পড়ুন, বালিগঞ্জে বাবুলের সঙ্গে জোর টক্কর সায়রার, বুদ্ধদেবের ওয়ার্ডে তৃণমূলকে হারালেন এই বাম প্রার্থী

অপরদিকে, হারের পর হারটা স্বীকার করেছেন অগ্নিমিত্রা পাল। হার স্বীকার করে অগ্নিমিত্রা বলেন, 'জনাদেশ মাথা পেতে নিতে হবে। কেন্দ্রীয় বাহিনী কাজ করছে। অজুহাত দেব না। রিগিং হয়েছে বা কিছু হয়েছে বলব না। আত্মসমীক্ষা দরকার। তবে আসানসোল দক্ষিণে একটা অংশে সন্ত্রাস হয়েছে' বলে জানিয়েছেন বিজেপি নেত্রী। তবে তিনি তার সর্বোচ্চ করেও জয়ী হতে পারেননি বলে, প্রধানমন্ত্রীকে দুঃখিতও বলেও জানিয়েছেন।আসানসোলে হেরে যাওয়ার পর দেশের প্রধানমন্ত্রীকে ট্যাগ করে টুইট করে 'সরি স্যার' বলেছেন অগ্মিমিত্রা পাল। 'আমি আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেও , আপনাকে আসনটা দিতে পারলাম না। পশ্চিমবঙ্গের গণতন্ত্রের হত্যা হয়েছে। রাজ্যের গণতন্ত্রকেই রক্ষা করাই আমার অন্যতম লড়াই। আমার যুদ্ধ জারি আছে স্যার।'  

আরও পড়ুন, নাবালিকাকে বাড়িতে ডেকে গোপনাঙ্গ স্পর্শ প্রতিবেশীর, হাঁসখালির পর উত্তাল এবার একাবালপুর

যদিও অন্য ব্যাখ্যা দিয়েছেন সুকান্ত মজুমদার।  বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেছেন,'বালিগঞ্জে তো আমরা প্রতিযোগীতাতেই নেই।' হারের এই কারণ দর্শালেও তৃমমূলকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি। তিনি বলেন, ওখানে ৪০ শতাংশের উপরে সংখ্যা লঘু ভোটার। স্বাভাবিকভাবেই আমরা সেখানে প্রতিযোগীতায় থাকার কথা নয়। যাদের লড়ার তাঁরা লড়েছে। তবে সংখ্যা লঘু ভোটটাও এখন তৃণমূলের জন্য ধীরে ধীরে কমছে। আগামীদিনে আরও কমবে বলে মনে হয়।'