সংক্ষিপ্ত
- রাজ্য সরকার নিম্নরুচি ও ছোটলোক সরকার
- ৩০ হাজার চাকরি দিলে বেতন কোথা থেকে আসবে
- রাজ্য সরকারের কোষাগারে টাকা কোথায়
- তোপ রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের
রাজ্য সরকার শিক্ষকদের চাকরি দেবে বলছে। কোথা থেকে টাকা পাবে রাজ্য সরকার? রাজ্য সরকারের কোষাগারে নাকি টাকাই নেই, তাহলে এই শিক্ষকদের বেতন আসবে কোথা থেকে। সরাসরি প্রশ্ন ছুঁড়লেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর কটাক্ষ সরকার একদিকে বলছে টাকা নেই, তাহলে ৩০ হাজার শিক্ষককে কি করে বেতন দেবেন।
মঙ্গলবার সকালে নিউটাউনের ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণে আসেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তোপ দাগেন তিনি রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে। তিনি বলেন গোটা রাজ্যটা চলছে কনট্রাক্ট, পার্টটাইম এসব দিয়ে। একসময় সাত লক্ষ সরকারি কর্মচারী এখন সাড়ে তিন-চার লক্ষতে পৌঁছেছে। লোকের চাকরি নেই, তাই গুজরাট মহারাষ্ট্রে যেতে হচ্ছে বাংলার যুবকদের। কোথায় উন্নয়ন? কিছু দুর্নীতিগ্রস্ত লোক আর কিছু বুড়ো এখান থেকে বাংলার উন্নয়ন করতে পারবে?
দিলীপ ঘোষ বলেন শুধু প্রতিশ্রুতি নয়। এবার কাজের কাজ কিছু করুন। দশ বছর হয়ে গেল, তিনবার মুখ্যমন্ত্রী হলেন শুধু প্রতিশ্রুতি দিয়ে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। এদিন রাজ্য সরকারকে ধোঁকাবাজির সরকার, নিন্মরুচি ও ছোটলোক সরকার বলে তোপ দাগেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি।
মঙ্গলবার সৌমিত্র খাঁয়ের বাংলা ভাগের মন্তব্য প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, বঙ্গভঙ্গের কেউ দাবী করেনি, সবাই বলছে বঞ্চনা হচ্ছে। উত্তরবঙ্গ ও জঙ্গলমহলের লোকজন স্বাধীনতার পর থেকে বঞ্চিত। তাঁদের অধিকার ও মুক্তির জন্য আজ তারা বিরোধী দলকে ভোট দিচ্ছে।
বাংলা ভাগ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দ্বিচারিতা করেছেন বলে দাবি করেছেন দিলীপ। তিনি বলেন পার্বত্য পরিষদের যে এগ্রিমেন্ট হয়, সেই জিটিএতে গোর্খাল্যান্ডের দাবি ছিল, সে দাবি বাঁচিয়ে রেখে উনি সই করেছেন। এখন বিজেপিকে দোষী করছেন। যে নেতার সাথে ওনারা ঘর করছিলেন, তার ৭৪টা কেস চাপা পড়ে আঁচলের তলায় রয়েছে। এসব রাজনীতি বাংলার মানুষ বোধহয় বোঝেন। তাই উত্তরবঙ্গ তার জবাব দিয়েছে।
সেখানকার মানুষের যে ক্ষোভ, প্রতিনিধি হিসেবে একজন একথা বলেছেন বলে দাবি দিলীপের। তিনি বলেন রাজ্য সরকারের প্রতি মানুষের যে বিশ্বাস আস্থা নেই তা বোঝা যাচ্ছে। ওখানকার মানুষ তা বারবার বুঝিয়ে দিয়েছে। রাজ্য সরকার সেই ক্ষোভ আগে প্রশমিত করুক। কাজ করে দেখাক। সেখানকার মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দিক। দিলীপ ঘোষের দাবি ভোটের আগে কিছু উচ্ছিষ্ট ফেলে দিয়ে মহিলাদের মুখ্যমন্ত্রী বললেন ৫০০ টাকা ভাতা দেওয়া হবে। ভোট মিটে যাওয়ার এখন বলছেন টাকা নেই।
এদিন আদিবাসীদের হাজার টাকা ভাতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি। তিনি বলেন এই বঞ্চনা ও ধোঁকাবাজির বিরুদ্ধে মানুষের আওয়াজ তুলবে। নন্দীগ্রাম নিয়ে মামলা প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, মমতা ব্যানার্জি মানুষের বিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছেন। হাইকোর্টের ওপর বিশ্বাস নেই। এরকম একটা দলের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করে দেওয়া উচিত।