সংক্ষিপ্ত
আগামীদিনে কলকাতাকে পরিকাঠামোগতভাবে ঠিক কীভাবে সাজাতে চাইছে তাই তুলে ধরা হবে তৃণমূলের এই ইস্তেহারে। সেখানে থাকতে পারে জলজমা থেকে শহরকে মুক্ত করার পন্থা, নাগরিক পরিষেবাকে আরও কতটা মসৃণ করে তোলা যায় সেই সমস্ত বিষয়ের রূপরেখা।
বিজেপির (BJP) দেখেই পুরভোটে (Kolkata Municipal Election) ইস্তেহার (Manifesto) প্রকাশ করতে চলেছে তৃণমূল (TMC)। পুরভোটেও যে আলাদা করে ইস্তেহার প্রকাশ করা যায়, সেটা বিজেপিই দেখিয়েছে। আর তৃণমূল সেটা অনুসরণ করছে। শনিবার নিউটাউনের ইকোপার্কে (Eco Park) প্রাতঃভ্রমণে গিয়ে এমনটাই দাবি করেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)।
শনিবারই কলকাতা পুরভোটের ইস্তেহার প্রকাশ করতে চলেছে তৃণমূল। দুপুরের দিকে মহারাষ্ট্র নিবাস ভবনে ইস্তাহার প্রকাশিত হবে। কলকাতার (Kolkata) আগামী রূপরেখা নামে এই ইস্তেহার প্রকাশিত হতে পারে। এই ইস্তেহার প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, “ওরা (তৃণমূল) ম্যানিফেস্টো বের করছে খুব ভালো কথা। তবে ওরা সেটাকে ম্যানিফেস্টো বলতে রাজি নয়। কর্পোরেশনেও যে ইস্তেহার হতে পারে সেটা উদাহরণ। বিজেপি তা বের করেছে। ওরাও ভাবছে মানুষকে প্রতিশ্রুতি দেওয়া দরকার। মানুষের জানা দরকার। যদিও বিধানসভা ভোটের আগেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। পালন কিছুই করেনি। এবারও দিক প্রতিশ্রুতি। কমপক্ষে মানুষ বুঝবে কোন পার্টি কী করতে চাইছে, কী বলতে চাইছে।”
আগামীদিনে কলকাতাকে পরিকাঠামোগতভাবে ঠিক কীভাবে সাজাতে চাইছে তাই তুলে ধরা হবে তৃণমূলের এই ইস্তেহারে। সেখানে থাকতে পারে জলজমা থেকে শহরকে মুক্ত করার পন্থা, নাগরিক পরিষেবাকে আরও কতটা মসৃণ করে তোলা যায় সেই সমস্ত বিষয়ের রূপরেখা।
সম্প্রতি কলকাতা পুরভোটের ইস্তাহার প্রকাশ করেছে বিজেপি। আগামীদিনে কলকাতাকে কীভাবে পরিচ্ছন্ন শহরের তালিকায় শীর্ষে নিয়ে যাওয়া যায় তার প্রতিশ্রুতি শোনা গিয়েছে তাদের দলায়। ইস্তাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, শহরের প্রতিটি বাড়িতে যাতে শৌচাগার থাকে তা নিশ্চিত করা হবে এবং শহরে সর্বজনীন শৌচাগারের সংখ্যা দ্বিগুণ করা হবে। এর পাশাপাশি কলকাতায় কঠিন ও তরল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা শুরু করা হবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে ধাপার মাঠ পরিষ্কার করা হবে বলেও আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
বিধানসভা নির্বাচনের (Assembly Election) প্রচারে একাধিকবার রাজ্যে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi), কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) সহ বিজেপির প্রথমসারির নেতারা। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে প্রচার করতে দেখা গিয়েছিল তাঁদের। এমনকী, হায়দরাবাদের পুরভোটের প্রচারেও তাঁদের দেখা গিয়েছিল। সেভাবেই এবার কলকাতা পুরভোটের প্রচারেও তাঁরা আসবেন কিনা জানতে চাওয়া হলে দিলীপ ঘোষ বলেন, "তারকা প্রচার পুরভোটে সাধারণত বিজেপি করে না। হায়দরাবাদের পরিস্থিতি আলাদা ছিল। ওখানে বিজেপি ছিলই না। দলকে দাঁড় করানোর তাগিদ ছিল। তাই সেখানে মোদী, অমিত শাহ গিয়েছিলেন। কিন্তু, কলকাতা পুরভোটে বিজেপির অতীত বেস বা ভিত্তি আছে। লোকাল নেতার প্রচারে আমরা আস্থা রাখি। বাইরে থেকে তারকা এসে কিছু বলে যাওয়ার থেকে লোকাল নেতার কথায় মানুষ পুরভোটের ক্ষেত্রে বেশি বিশ্বাস বা আস্থা রাখে। এই ফর্মুলায় লোকসভায় সাফল্য পেয়েছি। বিধানসভায় তেমন সাফল্য পাইনি। কিন্তু, ফর্মুলা চেঞ্জ করিনি।"