সংক্ষিপ্ত
হাঁসখালি গণধর্ষণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজ্যে বাড়ছে উত্তেজনার পারদ। আর তার মধ্যে আজ এই ঘটনা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য উত্তেজনার পারদ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতেই এবার মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করলেন দিলীপ ঘোষ।
হাঁসখালি গণধর্ষণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজ্যে বাড়ছে উত্তেজনার পারদ। আর তার মধ্যে আজ এই ঘটনা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য উত্তেজনার পারদ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। সোমবার বিশ্ববাংলা মেলা প্রাঙ্গণে হাঁসখালি প্রসঙ্গে মন্তব্য করার সময় অভিযুক্ত যুবকের সঙ্গে নির্যাতিতা কিশোরীর সম্পর্ক কী ছিল তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। আর তার ভিত্তিতেই এই ঘটনাকে ধর্ষণ বলা হবে কিনা তা নিয়েও মন্তব্য করেন তিনি। যা বিতর্ক আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। আর এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতেই এবার মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষ।
একটি টুইট করে নিজের ক্ষোভ উগরে দেন বিজেপি নেতা। তিনি লেখেন, "রাজ্যে নিরীহ শিশু, মহিলাদের পুড়িয়ে মারা হচ্ছে, তা নিয়ে কখনও শোকপ্রকাশ করেননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নির্বাচন পরবর্তী হিংসায় অনেকের মৃত্যু হয়েছে, মহিলাদের ধর্ষণ করা হয়েছে, জেসিবি দিয়ে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বাড়ি। কিন্তু, তখনও তিনি চুপ ছিলেন। বলেছিলেন, কিছুই হয়নি।" এরপর আরও একটি টুইটে তিনি লেখেন, "কাজেই এহেন অমানবিক সরকারের থেকে রাজ্যে ঘটে চলা ঘটনাগুলি নিয়ে সমবেদনা আশা করা বৃথা। আর এখন যদি তিনি তা করার চেষ্টা করেন, তাহলে বুঝতে হবে যে সেটা শুধুমাত্র ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতির জন্য নাটক করছেন।"
আরও পড়ুন- 'হাঁসখালিতে ছেলেটির সঙ্গে নাকি মেয়েটির লাভ অ্যাফেয়ার ছিল', বললেন মমতা
সোমবার হাঁসখালির ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছে। আর আজই এই ঘটনা নিয়ে মুখ খোলেন মমতা। তিনি বলেন, "হাঁসখালিতে ধর্ষণ বলবেন না কি প্রেম না অন্তঃসত্ত্বা নাকি লাভ অ্যাফেয়ার্স বলবেন...আমি পুলিশকে বলেছি, ঘটনাটি কী? ঘটনাটা অত্যন্ত খারাপ। গ্রেফতার হয়েছে। কিন্তু, শুনেছি ছেলেটির সঙ্গে মেয়েটির নাকি লাভ অ্যাফেয়ার ছিল।" এরপর মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন, "মেয়েটি মারা গিয়েছে ৫ তারিখে। অভিযোগ জানানো হয়েছে ১০ তারিখে। যদি কারও কোনও অভিযোগ থাকে তবে ৫ তারিখে অভিযোগ দায়ের করলেন না কেন? কাউকে কিছু না জানিয়ে নির্যাতিতার দেহ পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন কী ভাবে এর তদন্ত করবে পুলিশ?
আরও পড়ুন- 'আরশোলা বের হলেও এখানে খবর হয়', হাঁসখালিকাণ্ড প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে মিডিয়াকে নিশানা মমতার
উল্লেখ্য, ৪ এপ্রিল রাতে জন্মদিনের পার্টিতে ডাকা হয়েছিল কিশোরীকে। এরপর জন্মদিনে ডেকে তাকে মদ্যপান করায় ব্রজগোপাল। অভিযোগ, সেখানেই সে এবং তার বন্ধুরা মিলে তাকে গণধর্ষণ করে। যৌন নির্যাতন এতটাই হয়েছিল যে, নির্যাতিতার গোপনাঙ্গ থেকে রক্তপাত শুরু হয়। রক্তে ভিজে যায় অন্তর্বাস। রাতে এক মহিলাকে দিয়ে প্রেমিকাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয় অভিযুক্ত। কিন্তু, বাড়িতে ফেরার পরই অসুস্থবোধ করতে শুরু করে ওই কিশোরী। এদিকে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে বাধা দেয় ব্রজগোপাল। তারপরই অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে কিশোরীর মৃত্যু হয়। তারপরই তড়িঘড়ি সৎকার করা হয় নির্যাতিতার দেহ। এই ঘটনায় ব্রজগোপালকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।