সংক্ষিপ্ত
হাঁসখালির ধর্ষণকাণ্ড নিয়ে এবার মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘটনা ঘটেছিল ৫ তারিখ। তারপর ১০ তারিখ কেন অভিযোগ দায়ের করা হল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। পাশাপাশি কেন অভিযুক্তর বাবার রাজনৈতিক পরিচয় বড় করে দেখা হচ্ছে তা নিয়েও প্রশ্ন তুলতে দেখা গিয়েছে তাঁকে।
হাঁসখালির ধর্ষণকাণ্ড নিয়ে এবার মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘটনা ঘটেছিল ৫ তারিখ। তারপর ১০ তারিখ কেন অভিযোগ দায়ের করা হল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। পাশাপাশি কেন অভিযুক্তর বাবার রাজনৈতিক পরিচয় বড় করে দেখা হচ্ছে তা নিয়েও প্রশ্ন তুলতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। সোমবার বিশ্ববাংলা মেলা প্রাঙ্গণে এনিয়ে তিনি বলেন, "হাঁসখালিতে ধর্ষণ বলবেন না কি প্রেম না অন্তঃসত্ত্বা নাকি লাভ অ্যাফেয়ার্স বলবেন...আমি পুলিশকে বলেছি, ঘটনাটি কী? ঘটনাটা অত্যন্ত খারাপ। গ্রেফতার হয়েছে। কিন্তু, শুনেছি ছেলেটির সঙ্গে মেয়েটির নাকি লাভ অ্যাফেয়ার ছিল।"
৫ তারিখ ঘটনা ঘটার পর কেন ১০ তারিখ অভিযোগ দায়ের করা হল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মমতা। তিনি বলেন, "মেয়েটি মারা গিয়েছে ৫ তারিখে। অভিযোগ জানানো হয়েছে ১০ তারিখে। যদি কারও কোনও অভিযোগ থাকে তবে ৫ তারিখে অভিযোগ দায়ের করলেন না কেন? কাউকে কিছু না জানিয়ে নির্যাতিতার দেহ পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন কী ভাবে এর তদন্ত করবে পুলিশ?" এই ঘটনার সঙ্গে উত্তরপ্রদেশের তুলনা টেনেছেন তিনি। বলেন, "এটা কি উত্তরপ্রদেশ যে আমরা লাভ জেহাদ নিয়ে আলোচনা বসাব? এটা বাংলা। গ্রেফতার করা হয়েছে। কোনওরকম রং না দেখেই গ্রেফতার করা হয়েছে।"
পরিবারের লোকজন তৃণমূলের সদস্য হিসেবে অভিযোগ ওঠার ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "কারও বাবা-দাদা যদি তৃণমূল করে আর সেই ছেলে যদি প্রেম করে তাহলে কার কী করার আছে। বাংলার রাজ্যটায় সবাই তৃণমূল। কী করবেন বলুন। তৃণমূলকে টানার কী দরকার? তৃণমূল শুনলেই চোখে সর্ষে ফুল দেখছে।"
সোমবারই হাঁসখালি ধর্ষণকাণ্ডে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে। আর এ দিনই এ নিয়ে মন্তব্য করলেন মুখ্যমন্ত্রী। এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে কিশোরীর প্রেমিক তথা তৃণমূল নেতার ছেলে ব্রজগোপালকে। আটক করা হয়েছে আরও দু'জনকে। হাঁসখালিকাণ্ডে দুটি জনস্বার্থ মামলা ইতিমধ্য়েই দায়ের করা হয়েছে। ওই দুটি মামলা মঞ্জুর করেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি।
পুলিশ সূত্রে খবর, ৪ এপ্রিল রাতে জন্মদিনের পার্টিতে ডাকা হয়েছিল কিশোরীকে। এরপর জন্মদিনে ডেকে তাকে মদ্যপান করায় ব্রজগোপাল। অভিযোগ, সেখানেই সে এবং তার বন্ধুরা মিলে তাকে গণধর্ষণ করে। যৌন নির্যাতন এতটাই হয়েছিল যে, নির্যাতিতার গোপনাঙ্গ থেকে রক্তপাত শুরু হয়। রক্তে ভিজে যায় অন্তর্বাস। রাতে এক মহিলাকে দিয়ে প্রেমিকাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয় অভিযুক্ত। কিন্তু, বাড়িতে ফেরার পরই অসুস্থবোধ করতে শুরু করে ওই কিশোরী। এদিকে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে বাধা দেয় ব্রজগোপাল। তারপরই অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে কিশোরীর মৃত্যু হয়।