সংক্ষিপ্ত
- দুর্গাপুজোয় মমতার অনুদান নিয়ে কটাক্ষ দিলীপের
- গরু মেরে জুতো দান বললেন রাজ্য় বিজেপির সভাপতি
- বর্ধমানে দিলীপকে কালো পতাকা তৃণমূলের
- ক্ষমতায় এলে রাজ্যেও এনআরসি, জানালেন দিলীপ
২৪ ঘণ্টাও কাটল না। রাজ্যের দুর্গোপুজো কমিটিগুলিকে অনুদান বাড়িয়ে দেওয়া নিয়ে মমতাকে খোঁচা দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণা গরু মেরে জুতো দানের সমান।
শুক্রবারই নেতাজি ইন্ডোরে রাজ্যের পুজো কমিটিগুলিকে পঁচিশ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়ার ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। গত বছর এই অনুদানের পরিমাণ ছিল দশ হাজার টাকা। নতুন করে অনুদানের পরিমাণ বাড়ানোয় রাজ্যের পুজো অনুদান বাবাদ খরচ প্রায় দেড় গুন বেড়ে গিয়ে হল সত্তর কোটি টাকা মতো। শনিবার যা নিয়ে মুখ খোলেন দিলীপ ঘোষ। বর্ধমানে দলের সভার শেষে মেদিনীপুরের সাংসদ বলেন,রাজ্য সরকারি কর্মীদের ৪৮ শতাংশ ডিএ বাকি। এখনও রাজ্য সরকারি কর্মীরা পঞ্চম বেতন কমিশনের হারে বেতন পান। দেশে সারা দেশে যেখানে সপ্তম বেতন কমিশন লাগু হয়েছে। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে লোক দেখানো কাজ করছেন মুখ্য়মন্ত্রী। এক সময় দুর্গোপুজোর বিসর্জন বন্ধ করেছিলেন বলে হাইকোর্টে যেতে হয়েছিল। এখন বুঝতে পেরেছেন বলে জগন্নাথ মন্দিরও তৈরি করতে যাচ্ছেন। দুর্গাপুজোয় অনুদান দিতে যাচ্ছেন। আবার অনুদান বাড়িয়েও দিচ্ছেন। যত করুন গরু মেরে জুতো দান করলে সেই প্রায়শ্চিত্ত হবে না।
গত বছর মহিলা পরিচালিত পুজো কমিটিগুলি ২৫ হাজার টাকা করে অনুদান পেয়েছিল। এবার সেই অনুদান বাড়িয়ে ৩০ হাজার কোটি টাকা করার কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যে সবমিলিয়ে প্রায় ২৮ হাজার পুজো কমিটি রয়েছে। তারা ন্যূনতম পঁচিশ হাজার টাকা করে পাচ্ছেই। এমনকী পুজোর বিদ্যুতের খরচেও রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে পঁচিশ শতাংশ ছাড় দেওয়া হবে পুজো উদ্যোক্তাদের।
শনিবার একটি সাংগঠনিক সভায় বর্ধমানে গিয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ। লায়ন্স ক্লাবের কাছে সভাস্থলে যাবার পথেই কয়েকজন তৃণমূল কর্মী তাঁর কনভয়কে তিনকোনিয়ার মোড়ে কালো পতাকা দেখায়। বাঁশের বেষ্টনীর পিছন থেকে তৃণমূলের পতাকা ও কালো কাপড় নিয়ে জড়ো হন বেশ কয়েকজন। যদিও পরে এই বিষয়টি নিয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে চাননি মেদিনীপুরের এই সাংসদ। তিনি বলেন, 'হাতি চলে বাজার, কুত্তা ভৌকে হাজার।' হাতি রাস্তা দিয়ে চললে কুকুর চিৎকার করতেই পারে। ইচ্ছে করলেই আমাদের ছেলেরা ওদের হাসপাতালের বেডে শুইয়ে দিইয়ে আসত। কিন্তু আমরা এই ধরনের হানাহানির রাজনীতি চাই না।
ঘটনাক্রমে এদিনই জাতীয় নাগরিকপঞ্জীর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। দেখা গেছে, সব মিলিয়ে অসমের নাগরিক তালিকা থেকে নাম বাদ পড়েছে ১৯লক্ষের। এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, অসমে হয়েছে এবার পশ্চিমবঙ্গেও এনআরসি চাই। বাংলায় অনুপ্রবেশকারীরা এসে রাজ্যবাসীর সম্পদ লুটে বেড়াচ্ছে। রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় এলেই এনআরসি লাগু হবে। এখান থেকে অনুপ্রবেশকারী মুসলিমদের বিতারিত করা হবে। পাশাপাশি হিন্দুদের সিটিজেনশিপ বিল এনে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ ও অন্য দেশ থেকে আসা বিদেশিরা এখানকার সুযোগ সুবিধা ভোগ করছেন। তাই নাগরিকপঞ্জী জরুরি। তিনি জানান এদিনের সভা তাদের সাংগঠনিক নির্বাচনের একটি প্রক্রিয়া।
এর পাশাপাশি বৈশাখী শোভন প্রসঙ্গে বলেন গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে কাজ হয় দলে। কারো কোন সমস্যা হলে আলোচনার মাধ্যমে মিটিয়ে নেওয়া হবে। তবে তৃণমূলে শোভন যাচ্ছে কিনা প্রশ্ন করা হলে তিনি এড়িয়ে গিয়ে বলেন সেটা জানেন না।