সংক্ষিপ্ত

  • খড়গপুরের ২৭টি বুথে পুননির্বাচনের দাবি জানাল বিজেপি
  •  পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ দিলীপ  ঘোষের
  •  বাইরে থেকে লোক নিয়ে এসে ভোট লুঠের চেষ্টা করেছিল তৃণমূল
  • স্থানীয় বিজেপি কর্মী সমর্থকরা সেই কাজ আটকে দিয়েছে বললেন দিলীপ

খড়গপুরের ২৭টি বুথে পুননির্বাচনের দাবি জানাল বিজেপি। দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানালেন, এই ২৭টি বুথে ছাপ্পা ভোট করেছে তৃণমূল। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে মেদিনীপুরের সাংসদ বলেন, বাইরে থেকে লোক নিয়ে এসে ভোট লুঠের চেষ্টা করেছিল তৃণমূল। স্থানীয় বিজেপি কর্মী সমর্থকরা সেই কাজ আটকে দিয়েছে । 

দিলীপবাবুর অভিযোগ, এদিন তৃণমূলের হয়ে ভোট করেছে পুলিশ বাহিনী। বিজেপিকে রুখে দিয়ে ভোট করানোর  চেষ্টা করেছে তাঁরা। কিন্তু শেষপর্যন্ত তারা সফল হয়নি। দুপুরের পর থেকেই ভোট দিতে পেরেছেন সাধারণ মানুষ। প্রায় ৭০ শতাংশ ভোট পড়েছে খড়গপুরে। যদিও বিজেপির রাজ্য সভাপতির  অভিযোগ  উড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর পাল্টা দাবি, দিলীপবাবু প্রেসের সামনে কথার সুর শুনে বোঝা যাচ্ছে, বিজেপি সেখানে কিছু করতে পারেনি।

এদিকে করিমপুর উপ নির্বাচনে বিজেপির প্রার্থীকে লাথি মারা নিয়ে তোলপাড় দেশ। এই ঘটনার জন্য তৃণমূলের দিকে আঙুল তুলেছে বিজেপি। যদিও এই ঘটনার জন্য পাল্টা বিজেপিকেই কাঠগড়ায় তুললেন পার্থবাবু। তাঁর দাবি, সহানুভূতি পাওয়ার জন্য বিজেপির কেউ এই কাজ করে থাকতে পারে। এদিন  রাজ্যের তিন বিধানসভা উপনির্বাচনের পর পার্থবাবু বলেন, আজ বিজেপি উপনির্বাচনে করিমপুর ও খড়গপুরে নিজেদের দলের লোকেদের সাথে মারপিট করেছে। মানুষের কাছে সহানুভূতি পাওয়ার জন্য অন্যরকম ভাবে নিজেদের সবার সামনে তুলে ধরেছে। যাতে মানুষ সহানুভূতিশীল হয়ে তাদের ভোট দেয়। কিন্তু সারা বাংলার মানুষ এখন বুঝে গেছে বিজেপি কী । রাজ্য়ে নানা রকম ঝামেলা করার চেষ্টা করছে বিজেপি। 

অত্যধিক পরিমাণে সামরিক বাহিনী নিয়ে এসে ভোটে একটা আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি করতে চেয়েছে। তাতে কোনও লাভ হয়নি। মানুষ ভোট দিতে পেরেছে। মানুষ মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের সাথে আছে। আজ বিজেপি নিজের ভোট লুঠ করার মতলব করেছিল ,সেটা সফল হয়নি । উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে এদিন চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয় নদিয়ার করিমপুরে।  ভোট চলাকালীন করিমপুরের পিপুলখোলায় রাস্তার উপরই সজোরে লাথি মারা হয় বিজেপি প্রার্থী জয়প্রকাশ মজুমদারকে। লাথি খেয়ে ঝোপের মধ্যে গিয়ে পড়েন বিজেপি প্রার্থী। পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর হস্তক্ষেপে তাঁকে উদ্ধার করা হয়। মারার পাশাপাশি বিজেপি প্রার্থীকে কিল, চড়, ঘুষিও মারা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় রিপোর্ট তলব করেছে নির্বাচন কমিশন। ঘটনার সময় সাংবাদিকরাও আক্রান্ত হয় বলে অভিযোগ।