সংক্ষিপ্ত

  • শহরকে আলোকিত করতে যেন পটাকা-বাজি পোড়ানো না হয় 
  • আর এবার তা ফলপ্রসু করার জন্য আরও কড়া কলকাতা পুলিশ 
  • শহরের মানুষের সুরক্ষায়  এবার হেল্পলাইন চালু করেছে পুলিশ 
  • 'পরপর দু'বছর বড় ক্ষতির সম্মুখীন বাজি বিক্রেতারা' বললেন শুভঙ্কর 

কালীপুজোয় আলোয় ভরে উঠুক শহর। কিন্তু শর্ত একাটাই সে আলো যেন পটাকা-বাজি পুড়িয়ে না হয়। পুজোতে বাজি পোড়ানো নিষিদ্ধ, ইতিমধ্য়েই তা নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। আর এবার তা ফলপ্রসু করার জন্য আরও কড়া কলকাতা পুলিশ।

 

Click and drag to move

 

দিল্লির থেকে কোনও অংশে তাহলে কম যাবে না কলকাতা

পুলিশ জানিয়েছে, কেউ যদি কোনও প্রকার বাজি ফোটাও , তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বুধবার থেকে হেল্পলাইন চালু করেছে পুলিশ। লালবাজার জানিয়েছে, ১০০, ডায়াল কিংবা ৯৪৩৬২১০৪৪৪ এই নম্বরে ফোন করলেও পুলিস ঘটনাস্থলে গিয়ে আইনি ব্যবস্থা নেবে। ইতিমধ্যেই শহরের প্রত্য়েক থানাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, পুজোয় কড়া নজরদারি চালাতে। উল্লেখ্য, শহরে দূষণের মাত্রা দীর্ঘ লকডাউনে যতটা কমেছিল, শহর আনলক হওয়ার পরে দূর্ষণ আগেও থেকেও বেড়েছে। একে দীর্ঘ সাড়ে সাতমাস লোকাল ট্রেন চলেনি। বেশিরভাগ মানুষই বাসের ওঠার পাশাপাশি, নিজের গাড়ি নিয়ে বেরিয়েছে। বেড়েছে দূষণের মাত্রা। তারপর আবার যদি বাজি পোড়ানো হয়, দিল্লির থেকে কোনও অংশে তাহলে কম যাবে না কলকাতা। আর এবার তাই সব দিক থেকেই শহরের মানুষের সুরক্ষায় পাশে থেকে কলকাতা হাইকোর্ট।

 

Click and drag to move

 

'পরপর দু'বছর বড় ক্ষতির সম্মুখীন বাজি বিক্রেতারা'


এদিকে চলতি বছরের এপ্রিল মাসে গোটা দেশবাসীর কাছ থেকে ৯ মিনিট চেয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।  সকলকে ঘরের সমস্ত আলো নিভিয়ে নিজের বাড়ির বারান্দায় বা ছাদে এসে প্রদীপ, মোমবাতি অথবা টর্চের আলো জ্বালানোর নিদান দিয়েছিলেন।  কিন্তু এরই সঙ্গে আমজনতা আরও একধাপ এগিয়ে  তুমুল বাজি পোড়ানোও শুরু করে। যদিও তখন লকডাউনের মধ্যে বাজি পোড়ানোয় কিছুটা হলেও আয়ের মুখ দেখে বাজি বিক্রেতারা। তবে এবার হাইকোর্টের নির্দেশের পর বাজি বিক্রি নিয়ে ভরা ডুবি দেখে রাজ্য সরকারের সঙ্গে বৈঠকও করেন। বাজি ব্যবসায়ী সংগঠনের কর্তা শুভঙ্কর মান্না জানিয়েছেন, 'বর্তমান এই কঠিন সময়ে বিষয়টি অত্যন্ত স্পর্শকাতর। বহু ব্যবসায়ীর কাছে লক্ষাধিক টাকার বাজি মজুত রয়েছে, গত বছর বৃষ্টির কারণে বিক্রির একটা বড় অংশ মার খেয়েছিল। এবছর ভাইরাসের প্রকোপ থাকায় বিক্রি একেবারে না হওয়ার আশঙ্কা। পরপর দু'বছর বড় ক্ষতির সম্মুখীন তারা।' তাই বাজি ব্যবসার সঙ্গে যারা যুক্ত রয়েছেন তাদের যাতে অর্থনৈতিক ভাবে সাহায্য করা  যায় সে বিষয় বিবেচনা করে দেখার জন্য রাজ্য সরকারকে অনুরোধ জানিয়েছেন।

 

Click and drag to move