সংক্ষিপ্ত

 নতুন বছর পড়তে না পড়তেই জাঁকিয়ে বসেছে করোনা ভাইরাস। বিশ্বব্যাপী করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন ছড়িয়ে পড়েছে ডেল্টার চেয়েও দ্রুত হারে। কেন্দ্রের পক্ষ থেকেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল কোভিড পজিটিভ হলেই ওমিক্রণ ভ্যারিয়েন্ট কিনা  জানতে হবে। কিন্তু কীভাবে? জিনোম সিকোয়েন্সিং পরীক্ষা করেই তা জানতে হবে।

সারা দেশ জুড়ে চোখ রাঙাচ্ছে করোনা ভাইরাস। কলকাতায় করোনার বাড়বাড়ন্ত যেভাবে বাড়ছে তাতে অবস্থা খুবই শোচনীয়। গোটা শহরকেই যেন গ্রাস করে নিয়েছে করোনা ভাইরাস। একের পর এক তারকা থেকে সাধারণ মানুষ  আক্রান্ত হচ্ছেন এই  করোনা ভাইরাসে। তৃতীয় ঢেউ চলেই এসেছে। প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা।  করোনা ভাইরাস নিয়ে ত্রাহি ত্রাহি রব চারিদিকে। নতুন বছর পড়তে না পড়তেই জাঁকিয়ে বসেছে করোনা ভাইরাস। বিশ্বব্যাপী করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন ছড়িয়ে পড়েছে ডেল্টার চেয়েও দ্রুত হারে। কেন্দ্রের পক্ষ থেকেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল কোভিড পজিটিভ হলেই ওমিক্রণ ভ্যারিয়েন্ট কিনা  জানতে হবে। কিন্তু কীভাবে? জিনোম সিকোয়েন্সিং পরীক্ষা করেই তা জানতে হবে।

ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যেই কেন্দ্রের এই নির্দেশ পৌঁছে যায় পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত রাজ্যে। কিন্তু  করোনা যেহারে বাড়ছে তাতে ওমিক্রণ ভ্যারিয়েন্ট জানতে জিনোম সিকোয়েন্সিং পরীক্ষার যৌক্তিকতা নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত বিশেষজ্ঞ মহল। প্রথমত জিনোম সিকোয়েন্সিং পরীক্ষার জন্য যে কিটের দরকার তার সরবরাহ খুবই কম। সেই কারণে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর থেকে নমুনার পাহাড় জমছে কল্যাণীর জিনোম সিকোয়েন্স ল্যাবরেটরিতে। যা প্রায় ৭ দিনেরও বেশি সময় পার হয়ে যাচ্ছে কিন্তু নমুনার কোনও উত্তর পাওয়া যাচ্ছে না। 

 

 

স্বাস্থ্যভবনের এক শীর্ষকর্তা জানিয়েছেন, কেন্দ্র গাইডলাইন দিলেও কিটের সরবরাহ নেই। তাই সব নমুনার পরীক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে না।রাজ্যে নতুন করে সংক্রমিত হয়েছে হাজার হাজার মানুষ। এবং শুধু তাই নয় সকলের জিনোম সিকোয়েন্সিং পরীক্ষার জন্য কয়েক লক্ষ টাকার দরকার। এত টাকা কে দেবে। এবং দ্বিতীয়ত, ওমিক্রন  বা ডেল্টা বা ডেল্টা প্লাস সবক্ষেত্রেই চিকিৎসার কোনও পার্থক্য নেই। তবে রিপোর্ট পেতে দেরি হচ্ছে। তবে বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের ওমিক্রন পরীক্ষা করানোর কথা বলা হয়েছে।   জিনোম সিকোয়েন্সিং পরীক্ষার খর গড়ে সাড়ে তিন হাজার টাকা। রিপোর্ট আসতে চার থেকে পাঁচদিন সময় লাগছে তাতে রোগী অনেকটাই সুস্থ।  তবে যেহারে করোনা বাড়ছে তাতে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, মোট পজিটিভ বা আক্রান্তের অর্ধেকাংশ ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট আক্রান্ত। এই নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই করোনা সংক্রমণ যে হারে বাড়ছে তাতে লাগাম টানতে কড়াকড়ি পথে হাঁটছে রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যেই বন্ধ হয়েছে স্কুল-কলেজ, পার্লার, পার্ক, সুইমিং পুল। অফিসেও কড়াকড়ি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কোভিড পরিস্থিতিতে।  সরকারি-বেসরকারি অফিসে ৫০ শতাংশ হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। চলতি মাসের ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত থাকবে এই বিধিনিষেধ।