সংক্ষিপ্ত
- চিকিৎসকের রহস্য় মৃত্যু নিয়ে কৌতূহল ছড়াল সল্টলেকের সিডি ব্লকে
- বাড়িতে একাই থাকতেন বছর ৪৫-এর জয় বসু
- এদিন দরজা খুলতেই তাঁকে বিছানায় পড়ে থাকতে দেখেন পরিচারিকা
- পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন
চিকিৎসকের রহস্য় মৃত্যু নিয়ে কৌতূহল ছড়াল সল্টলেকের সিডি ব্লকে। বাড়িতে একাই থাকতেন বছর ৪৫-এর জয় বসু। এদিন দরজা খুলতেই তাঁকে বিছানায় অস্বাভাবিক অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন পরিচারিকা। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
প্রবীণদের পর এবার একাকীত্ব প্রাণ কেড়ে নিল খোদ চিকিৎসকের। বাড়িতে কেউ না থাকায় কীভাবে তাঁর মৃত্যু হয়েছে তা নিয়েও দানা বাঁধল সন্দেহ। এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বাড়িতে একাই থাততেন ওই চিকিৎসক। প্রায় মাস ছয়েক তাঁকে বাড়ির বাইরে দেখতে পাননি কেউ। এদিন দেহ বের করার সময় তাঁকে দেখে চমকে ওঠেন পাড়াপ্রতিবেশীরা।বড় দাড়ি ফুটে উঠেছে মুখে।
পুলিশ সূত্রে খবর, সোমবার বিকেলে পরিচারিকা কাজ করতে এলে দরজা খোলেননি ডাক্তারবাবু। দীর্ঘক্ষণ ডাকাডাকি করেও সাড়া মেলেনি। পরে দরজা ধাক্কা দিতেই দরজাটি খুলে যায়। দেখা যায়, বিছানায় পড়ে রয়েছেন ওই ডাক্তারবাবু। বহুবার ডাকাডাকি করলেও কোনও সাড়া দেননি জয় বসু। এরপরই বিধাননগর উত্তর থানায় খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে বিধাননগর সাব ডিভিশন হাসপাতালে পাঠায় চিকিৎসককে। সেখানে মৃত বলে ঘোষণা করা হয় ওই চিকিৎসককে। ইতিমধ্য়েই অস্বাভাবিক মৃত্যুর তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
এলাকার এক বাসিন্দা জানান, দীর্ঘক্ষণ খাটে পড়ে থাকার পরও চিকিৎসকের বিষয়ে আগ্রহ দেখাননি তাঁরই এক দিদি। প্রতিবেশীরা এগিয়ে গেলে তাঁদের ঢুকতে বাঁধা দেওয়া হয়। আত্মীয়দের ফোন করার কথা বলা হলেও কোনও গরুত্ব দেননি তিনি। পরিবারের এই কর্মকাণ্ড দেখে হতবাক হয়েছেন অনেকেই। ওই মহিলা জানান, দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন ওই চিকিৎসক। মাঝখানে মাথার কোনও সমস্যা হয়েছিল। সেকারণে হাসপাতালেও ভর্তি ছিলেন তিনি। গতকাল তাঁর ঘরে ঢুকে মনে হয়েছে, বাথরুম থেকে ঢুকেই খাটে শুয়ে এই পরিস্থিতি হয়েছে তাঁর। মাথাটাও বেকে গেছে।