সংক্ষিপ্ত

অ্যালোপ্যাথির বিরুদ্ধে কুৎসা করেছেন রামদেব

এবার তাঁকে গ্রেফতারের দাবি তুলল মেডিক্যাল সার্ভিস সেন্টার

এদিন কলকাতা মেডিকেল কলেজে পোড়ানো  হল রামদেবের কুশপুতুল

এক সপ্তাহ ধরে চলবে প্রতিবাদ

সম্প্রতি অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসার বিরুদ্ধে কুৎসা ছড়ানোর অভিযোগে, গোটা দেশেই অ্যালোপ্যাথী ডাক্তাররা বাবা রামদেবের উপর যারপরনাই ক্ষুব্ধ। রামদেবের বক্তব্যের প্রতিবাদে এবং তাঁর গ্রেফতারের দাবিতে, শুক্রবার, ৪ জুন থেকে সারা দেশব্যাপী প্রতিবাদ কর্মসূচি নিয়েছে মেডিক্যাল সার্ভিস সেন্টার। চলবে এক সপ্তাহ ধরে, অর্থাৎ  ১০ জুন পর্যন্ত। প্রতিবাদ সপ্তাহের প্রথম দিনে, পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা মেডিকেল কলেজ এবং নর্থ বেঙ্গল মেডিকেল কলেজ - এই দুই হহাসপাতালে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন সংগঠনের সদস্যরা।

কলকাতা মেডিকেল কলেজে বিক্ষোভ প্রদর্শন কর্মসূচির নেতৃত্ব দেন মেডিকেল সার্ভিস সেন্টার, সেন্ট্রাল কমিটি সদস্য ডাক্তার মৃদুল সরকার। রামদেবের একটি কুশপুত্তলিকাতে অগ্নি সংযোগ করা হয়। অন্যদিকে, নর্থ বেঙ্গল মেডিকেল কলেজের বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেন সংগঠনের রাজ্য কমিটির সদস্য ডাক্তার অপূর্ব মন্ডল।

এই প্রসঙ্গে মেডিক্যাল সার্ভিস সেন্টার সংগঠনের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির সম্পাদক ডাক্তার অংশুমান মিত্র বলেন, 'সম্প্রতি রামদেব যেভাবে আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি সম্বন্ধে কুৎসা প্রচার করছেন, অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসকদের প্রতি অবমাননামূলক মন্তব্য করছেন এবং কোনও বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই তাঁর সংস্থা পতঞ্জলির পণ্য, 'কোরোনিল'কে করোনার প্রতিষেধক বলে ব্যবসা চালাচ্ছেন, তারই প্রতিবাদে আজ থেকে সারা দেশজুড়ে প্রতিবাদ সপ্তাহ পালিত হচ্ছে। আমরা জনসাধারণের কাছে আবেদন করছি রামদেবের গ্রেফতারের দাবিতে সকলে সোচ্চার হোন।'

সংগঠনের দাবি, করোনা অতিমারি পরিস্থিতিতে অ্য়ালোপ্যাথি ও আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের বিরুদ্ধে রামদেবের কুৎসা প্রচার, সমাজ-মননে ডাক্তার-নার্স-স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রতি বিরূপ মনোভাব তৈরি করছে। এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের নীরবতা সমস্যা আরও বাড়িয়েছে। দেশের নানা প্রান্তে চিকিৎসক-নিগ্রহের ঘটনা  বাড়ছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের ঘনিষ্ঠতা, রামদেবের ঔদ্ধত্য ক্রমে বাড়ছে এবং সমান তালে সমাজ-মননে কুসংস্কারাচ্ছন্ন চিন্তার কুপ্রভাবও বাড়ছে।

এই অবস্থায়, অবিলম্বে রামদেবকে গ্রেফতার করে, তাঁর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা শুরু করার দাবি জানিয়েছে মেডিক্যাল সার্ভিস সেন্টার।