সংক্ষিপ্ত

  • বাবা ওছেলের বচসার জেরে
  • ছেলেক লক্ষ্য করে বোমা মারে বাবা
  • বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছে খোদ বাবাক
  • আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ছেলে

দিল্লি বিস্ফোরণের দিনই  কলকাতায় দু জায়গায় বিস্ফোরণের ঘটনায় আতঙ্ক ছড়ায়। প্রথম বিস্ফোরণটি হয় কেষ্টপুরের এক নির্মীয়মান বহুতলে। আচমকাই বিস্ফোরণ ঘটে৷ তাতে এক জন আহত হন৷ পুলিশের প্রাথমিক ধারণা,নির্মীয়মান বহুতলে কেমিক্যাল বা মাটির নিচে গ্যাস তৈরি হয়ে বিস্ফোরণ ঘটেছে৷  অপর যে বিস্ফোরণটি ঘটে তার কারণ অবাক  করেছে সকলকেই। মদ্যপ বাবা ও ছেলের বচসার জের। ছেলেকে লক্ষ্য করে বোমা মারে বাবা। ঘটনায় দুজনেই আহত হন। কিন্তু বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় বাবার। এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে কাশীপুরে।

আরও পড়ুনঃশেষ মুহূর্তে বাতিল হয়ে গেল অমিত শাহ-র বাংলা সফর, ৭ ফেব্রুয়ারি রাজ্যে প্রধানমন্ত্রী

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিনই মদ্যপান করে ঘরে আসতেন বছর ৬৫-র শেখ মাতলাব। মত্ত অবস্থায় বাড়ি ফিরে পরিবারের  সঙ্গে বচসাতেও জড়িয়ে পড়তেন তিনি। বাড়ির লোকেদের মারধরের অভিযোও করেছেন স্থানীয়রা। শেখ মাতলাবের ছেলে শেখ নাজির একটি কারখানয় কাজ করেন। শুক্রবার সন্ধেয় নাজির বাড়ি ফিরতেই থেলের সঙ্গে ঝামেলা শুরু করেন শেখ মাতলাব। দুজনের বচসা চরমে পৌছলে, হঠাৎ ছেলেক লক্ষ্য করে বোমা মারেন মাতলাব। বিস্ফোরণে দুজবনেই গুরুতর আহত হন। খবর পেয়ে ঘটনাসথলে পুলিস গিয়ে তাদের উদ্ধার করে আরজিকর হাসপাতালে ভর্তি করে। কিছুক্ষণের মধ্যেই মৃত্যু হয় শেখ মাতলাবের।

আরও পড়ুনঃবদলির পরই ইস্তফা, পদত্যাগ করলেন পুলিশ কমিশনার, তাহলে কি রাজনীতিতে পা হুমায়ুনের

ঘটনায় বাবার মৃত্যু হলেও, এখনও আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন শেখ নাজির। পরে তাক আরজিকর থেকে এসএসকেএমে স্থানান্তরীত করা হয়েছে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে , ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে আর কোনও বোমা পাওয়া যায়নি। তাহলে প্রয়াত শেখ মাতলাব কি করে বোমা পেলেন তা নিয়েও চলছে তদন্ত। প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে, শেখ মাতলাব আগে দুষ্কৃতীমূলক কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। পুরো ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছে পুলিস।