সংক্ষিপ্ত
এলপিজির দাম বাড়তেই শহরে অটোয়ালাদের একাংশ যাত্রীভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছে। আর বাকিরা এখন চারিদিকে চোখ-কান খোলা রেখে রয়েছে অপেক্ষায়।
এলপিজির দাম বাড়তেই শহরে অটোয়ালাদের একাংশ যাত্রীভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছে। আর বাকিরা এখন চারিদিকে চোখ-কান খোলা রেখে রয়েছে অপেক্ষায়। শহর কলকাতার প্রায় ৬টি রুটে যাত্রীভাড়া ইতিমধ্যেই বাড়িয়ে দিয়েছে কিছু অটোচালক। মূলত অটো গ্যাসের রিফিলিংয়ে প্রতিলিটারে আগে লাগত ৭৪ টাকা ৮২ পয়সা। এখন সেই দাম বেড়ে হয়ে গিয়েছে ৭৭.৭৮ টাকা। ব্যাস মাথায় বাজ। এলপিজি-র দামে আগুন লাগতেই ধৈয্য হারিয়ে কলকাতার অটোয়ালাদের একাংশ যাত্রীভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছে। তবে বাকিরাও বাড়াবে বাড়াবে করছে, এখন শুধুই চারিপাশের অপেক্ষায়।
বেহালা-রাসবিহারি রুট, বেহালা-ঠাকুরপুকুর, হাজরা-খিদিরপুর, কবরডাঙা-টালিগঞ্জ, শখের বাজার-টালিগঞ্জ রুটের অটোয়ালাদের একাংশ ইতিমধ্যেই যাত্রীভাড়া বাড়ানো শুরু করেছে। তবে অন্যান্যরা যাত্রী হারাবার ভয়ে এখনও পরিস্থিতির সঙ্গে যতটা সম্ভব মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে। গড়িয়া-গোলপার্ক রুটের সমর সাহা নামে এক অটোয়ালা বলেছেন, 'কিছু রুটে ন্যায্য ভাড়া বৃদ্ধিতে যাত্রীরা কী প্রতিক্রিয়া দিচ্ছে, আমরা তা খেয়াল রাখছি।'
কিছু রুটে স্বল্প দূরত্বের মাঝেই যাত্রী ভাড়া বৃদ্ধিতে বিপরীত দৃশ্য দেখা গিয়েছে। ভাড়া বাড়ানো সত্ত্বেও লোকসানের মুখোমুখি অটোয়ালারা। কিছু কিছু রুটে যাত্রী সংখ্যা প্রায় একই রয়ে গিয়েছে। একইভাবে বেশিরভাগ রুটি দুটি ভাড়া চার্ট বজায় রাখে। দিনের ভাড়া এবং সন্ধ্যার ভাড়া। দিনের ভাড়ার তুলনায় সন্ধ্যাবেলার ভাড়া উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। যেহেতু সূর্যাস্তের পর বাসগুলি রাস্তা থেকে বন্ধ হয়ে যায়, তাই যাত্রীদের কাছ থেকে অটো নেওয়া ছাড়া আর কোনও বিকল্প থাকে না। যার পুরো সুযোগটাই নেয় অটোয়ালারা, বলে জানিয়েছেন শহরেরই পেশায় এক বিমা সংস্থার এজেন্ট।যিনি ঠাকুরপুকুরে নিজের বাড়ি পৌঁছানোর সময় এই অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন। অটো অপারেটর ওয়েল ফেয়ার অ্যাসোসিয়শনের সদস্য বিক্রম ঘোষ জানিয়েছেন, একজন অটো অপারেটর এখন একই পরিমাণ এলপিজি কেনার জন্য আরও বেশি অর্থ ব্যয় করছে।
আরও পড়ুন, সপ্তাহান্তে সস্তা হল কি পেট্রোল-ডিজেল কলকাতায় ? লংড্রাইভে যাবার আগে জানুন জ্বালানীর দর
প্রসঙ্গত, দেশের বাজারে একমাসের বেশি সময় ধরে একশো টাকার উপরে থমকে রয়েছে পেট্রোলের দর। অনেক শহরে ডিজেলের দাম ১০০ পার করেছে। অনেক জায়গায় আবার সেঞ্চুরি হাঁকানোর অপেক্ষায়। গত ৬ এপ্রিল শেষবার পেট্রোল-ডিজেলের দাম ৮০ পয়সা করে বেড়েছিল। এদিকে আবার গত কয়েকদিন ধরেই বিশ্ব বাজারে ব্রেন্ট ক্রুড অয়েলের দাম উর্ধ্বমুখী। তবে এখনও বাসের ভাড়া বৃদ্ধির সাহস কেউ দেখায়নি। এদিকে এার একধাক্কায় দাম বাড়ল রান্নার গ্যাসের। মে মাসের শুরুতেই হেঁশেলে উদ্বেগের মুখে মধ্যবিত্তে। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম হু হু করে বেড়েই চলেছে। অগ্নিমূল্য বাজারে হেঁশেলে আগুন লাগল মধ্যবিত্তের। মধ্যবিত্তের নাভিশ্বাস বাড়িয়ে ফের ৫০ টাকা বাড়ল রান্নার গ্যাসের দাম। একলাফেই ১০০০ টাকার গন্ডি পার করল এলপিজি গ্যাস। কলকাতায় ১৪.২ কেজি ভর্তুকিহীন গ্যাস কিনতে এবার দিতে হবে ১০২৬ টাকা। গ্যাসের দাম বাড়তেই মধ্যবিত্তের ফের নাভিশ্বাস হবার জোগাড়।
আরও পড়ুন, ঘূর্ণিঝড় নিয়ে সতর্কতা জারি, ঝড়-বৃষ্টি কি বলছে হাওয়া অফিস