সংক্ষিপ্ত
যে উত্তরবঙ্গ একসময় বাংলায় মাটি শক্ত করে দিয়েছিল পদ্ম শিবিরকে। সেই উত্তরবঙ্গও এবার দিলীপদের ফিরিয়েছে খালি হাতে।
পুরসভা ভোটে গোটা রাজ্যেই কার্যত ভরাডুবি হয়েছে বিজেপি। এমনকি গোটা বাংলায় একটিও পুরসভার দখল নিতে পারেনি তারা। এদিকে যে উত্তরবঙ্গ একসময় বাংলায় মাটি শক্ত করে দিয়েছিল পদ্ম শিবিরকে। সেই উত্তরবঙ্গও এবার দিলীপদের ফিরিয়েছে খালি হাতে। এমতাবস্থায় তৃণমূলের উত্তরবঙ্গে আসন পাওয়া নিয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ বলেন, “বিজেপি কোথাও ছিল না। গত লোকসভা বিধানসভায় এসেছে। তারা কেন আসতে পারেনি। উত্তর বাংলার লোক হিংসার রাজনীতি কখনো পছন্দ করে না। দক্ষিনবাংলার রাজনীতি উত্তর বাংলার লোকেরা চায় না। পুলিশ দিয়ে জোর করে পৌরসভা জিতেছে। ভোট করতে দিচ্ছে না। এই রাজনীতি নিয়ে হয়ত বাংলা দখল করা যাবে বাংলার উন্নয়ন কখনো করা যাবে না।”
আরও পড়ুন- শুরু ফলপ্রকাশের কাউন্টডাউন, কার হাতে যাচ্ছে জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ
আরও পড়ুন- কার দখলে কৃষ্ণনগর, রাত পোহালেই ফলপ্রকাশ
আরও পড়ুন- কার দখলে যাচ্ছে নবদ্বীপ পৌরসভা, শুরু কাউন্টডাউন
পাশাপাশি পৌরসভা ভোটে বামেদের দ্বিতীয়স্থান দখল নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, “আগে বামেদের দখলে কটা পৌরসভা ছিল এখন কটা আছে। বামেরা দ্বিতীয় কেন প্রথম ছিল। এবারের যে ভোট করা হয়েছে সেখানে বামেদের দ্বিতীয় করা হয়েছে। এখন সিপিআইএম এর যা পরিস্থিতি তাদেরকে ওষুধ খাইয়েও কিছু করা যাচ্ছে না। যেটা তৃণমূল চাইছে বাম দ্বিতীয় স্থানে থাকুক। কিন্তু মানুষ বামফ্রন্টকে আর স্বীকার করছেন না। নৈতিকভাবে জয় বিজেপির।” একইসঙ্গে তৃণমূলে নির্দল খোঁচাতেও বিদ্ধ করেন তিনি। এই ইস্যুতে তিনি বলেন, “ভোট যেটা হয়েছে সেটা তো ভোট হয়নি। যারা তৃণমূলের পুরানো লোক বেশিরভাগ যারা সিন্ডিকেট চালায় যারা প্রমোটার যারা টাকা কামিয়েছে তাদেরকে টিকিট দিয়েছে যারা পাইনি তারা জোর করে দাঁড়িয়েছে এবং জিতেছে। যাদের সব লোকবল আছে তারাই ভোট করায়। যাদেরকে তৃণমূল টিকিট দেয়নি বুঝতে পেরেছে লোকবল টাকা তাদের কাছেই আছে তারাই ভোটটা করিয়েছে এবং জয়ী হয়েছে।”
এখানেই না থেমে তিনি আরও বলেন, “দেখতে পাবেন যখন নির্বাচন আসবে। যেভাবে নির্বাচনের পরে ৬০জনকে হত্যা করা হয়েছে। ভুয়ো মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। কর্মীরা সব ভয় পেয়ে গেছেন। ফিফটি পার্সেন্ট কর্মী ইলেকশনে বের হয়নি। স্বাভাবিক ভাবে আবার বের হলে মার খাবেন, মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হবে সেজন্য বের হয়নি। পরবর্তী সময়ে বেরোবেন পার্টি আবার সক্রিয় হবে।” একইসঙ্গে ভোটের ময়দানে মমতাকেও তুলোধনাও করনে তিনি। চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ শানিয়ে তিনি বলেন, “নারী কেন উনি তো বাঘিনী। বাঘিনী আবার নারী হয় নাকি? উত্তরপ্রদেশে গিয়ে তো আবার জেন্ডারও চেঞ্জ হয়ে গেল।”