সংক্ষিপ্ত
সোমবার সকালে শহরের অন্যতম ব্যস্ত উড়ালপুলের একাংশে আচমকাই লাগল আগুন। ঘটনার খবর প্রকাশ্যে আসতেই ছড়ালো আতঙ্ক।
মা উড়াল পুলে আগুন। সোমবার সকালে শহরের অন্যতম ব্যস্ত উড়ালপুলের একাংশে আচমকাই লাগল আগুন। ঘটনার খবর প্রকাশ্যে আসতেই ছড়ালো আতঙ্ক। জানা গিয়েছে, উড়ালপুলে জমে থাকা আবর্জনা থেকেই আগুন লেগে বিপত্তি ঘটে গিয়েছে। এদিকে অফিস টাইমে এই ঘটনায় যাটযট বেড়ে চূড়ান্ত ভোগান্তি নিত্য যাত্রীদের। উল্লেখ্, এর আগে এহেন অভিজ্ঞতার সামনাসামনি কখনই মুখোমুখি হতে হয়নি যাত্রীদের। একে তীব্র দাবদাহ, তার উপর ঠায় উড়ালপুলের উপর দাঁড়িয়ে নাভিশ্বাস ওঠে নিত্য যাত্রীদের । শেষ অবধি পুলিশের তদারকিকে সমস্যার সমাধান হয়।
দমকল সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার সকাল ৯ টা নাগাদ আগুন লাগে। উড়ালপুলের একাংশে জমে ছিল আবর্জনা। সেই আবর্জনার স্তুপেই আগুন লাগে। প্রায় ঘন্টাখানেক ধরে জ্বলেছে আগুন। তবে ঠিক কী কারণে আগুন লেগেছে, তা এখনও স্পষ্ট হয়নি। ঘটনাস্থলে রয়েছেন ট্রাফিক পুলিশের আধিকারিকরা। আগুন লাগার কারণ খতিয়ে দেখছে পুলিশ। সকাল ১০ টার একটু আগে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এদিকে সপ্তাহের প্রথম কর্মব্যস্ত দিনে ততক্ষণে ফ্লাইওবারে একের পর এক গাড়ি দাঁড়িয়ে পড়ে। তাতে তীব্র যানযট তৈরি হয়।
আরও পড়ুন, পরপর পদত্যাগ, 'ঠিকই বলেছেন', অনুপমকেই কি সমর্থন করলেন দিলীপ
প্রসঙ্গত, আগুন লাগার ঘটনা না হলেও মা উড়াল পুলে এই নিয়ে কম অঘটন ঘটেনি। এর আগে এই উড়াল পুল থেকেই ঝাপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন।আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে গিয়েও শেষ রক্ষা হয়নি। পুলিশি সূত্রে খবর, লেকটাউনের শ্রীভূমির বাসিন্দা বছর ৫৮-র ওই মৃত ব্যক্তির নাম প্রণব কুণ্ডু। দিনটা ছিল রবিবার। তখন ঘড়িতে সকাল ৬ টা ৩০ হবে। রাস্তায় গাড়ির আওয়াজ ততটা নেই। প্রায় যানজট শূন্য শহর। রবিবারের সকালে অনেকেই হাঁটতে বেরিয়েছেন। এমনই সময় বড় কিছু নীচে পড়ার আওয়াজ পান। কিন্তু তখনও কিছু বুঝে উঠতে পারেনি স্থানীয়রা। পরে যতক্ষণে চোখে পড়েছে, ততক্ষণে প্রায় শেষ।
পুলিশ সূত্রে খবর, প্রগতি ময়দান থানার উল্টোদিকে মা উড়ালপুল এর সবচেয়ে উঁচু অংশ থেকে ঝাঁপ দেন লেকটাউনের শ্রীভূমির বাসিন্দা প্রণব কুণ্ডু নামের ওই ব্যাক্তি। প্রত্যক্ষদর্শীরা আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে আসেন। কিন্তু মেলেনি চিকিৎসার সুযোগ। চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছয়। মৃতের পরিচয়পত্র থেকেই ঠিকানা পাওয়া গিয়েছে। পাশাপাশি বাড়ির লোকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তবে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান ছিল সেসময়, এটি দুর্ঘটনা নয়। না হলে বাইকটি অক্ষত অবস্থায় থাকতো না। চটিও সেভাবে রাখা থাকত না।