সংক্ষিপ্ত
ঘিঞ্জি এলাকায় থাকায় কিছুটা বেগ পেতে হয় দমকলকে। ঘটনাস্থলে পুলিশ আধিকারিকরা পৌঁছে যান। ব্যারিকেড দেওয়া হয় গোটা এলাকয়।
সপ্তাহের প্রথম দিন ব্যস্ততম এলাকা কলুটোলা স্ট্রিট (Kolutola Street) বাগরি মার্কেট কাছে একটি বহুতলে ভয়াবহ আগুন (Fire) লাগে। সকাল ১০টা ৫০ মিনিট নাগাদ আগুন লেগেছে বলে জানা গিয়েছে। ঘটনাস্থলে দমকলের (Fire Brigade) ৮টি ইঞ্জিন। এদিকে ঘিঞ্জি এলাকা হওয়ায় আগুন নেভাতে গিয়ে রীতিমতো সমস্যায় পড়তে হয় দলকল কর্মীদের। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় গোটা এলাকা। ভিতরে থাকা দাহ্য পদার্থের থেকেই আগুন ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ে বলে দাবি দমকলের। বহুতলের ভিতরে একাধিক গোডাউন, দোকান ও কারখানা রয়েছেন। বহুতলের পিছন দিকে একাধিক পরিবারের বাস। তবে হতাহত বা ওই বহুতলে কেউ আটকে থাকার কোনও খবর পাওয়া যায়নি।
সোমবার সকালে ওই বহুতলের চারতলা আগুন লাগে। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। ব্যারিকেড দেওয়া হয় এলাকায়। যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেদিকে নজর রাখছিল পুলিশ।
এক দমকলকর্মী জানান, বহুতলের একতলা ও দোতলায় মূলত আগুন লাগে। ভিতরে প্লাস্টিক, কাঠ সহ বিভিন্ন দাহ্য পদার্থ ছিল। আশেপাশে জলের ব্যবস্থা নেই। তাই আগুন (Fire) নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে বেশ কিছুটা সময় চলে যায়। সরু রাস্তা হওয়ায় দমকলের গাড়ি ঠিক মতো যেতে পারছিল না। তাই আগুন নেভাতেও অনেকটা সময় লেগে যায়। প্রথমে যেহেতু বহুতলের ভিতরে দমকল কর্মীরা প্রবেশ করতে পারেননি তাই আগুনের উৎস ঠিক কোথায়, তা বুঝতে পারছিলেন না তাঁরা। বাইরে থেকে জল ভিতরে ঠিক মতো যাচ্ছিল না। পরে পরিস্থিতি একটু ঠিক হয়। তখন ভিতরে ঢুকে জল দেন তাঁরা।
আর বহুতলের ঠিক উল্টোদিকেই একটি মসজিদ ছিল। আগুন নেভানোর জন্য সেখানে যান দমকল কর্মীরা। সেখান থেকেই জল দেওয়া হয়। বহুতলের চারিপাশেই আগুন লেগে যায়। এর ফলে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করছেন দমকলকর্মীরা।
আরও পড়ুন- জ্বলল পুলিশের গাড়ি, 'গ্রেফতার' প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, বিক্ষোভে কৃষকরা
কলকাতায় এর আগে একাধিকবার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আর তার জেরে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে দিয়েছে। সব সুরক্ষা বিধি আদৌ মানা হচ্ছে কি না, রাজ্য সরকারের তরফে এই ধরনের বহুতলের অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা খতিয়ে দেখা হচ্ছে কি না, সেই প্রশ্নও উঠছে। সবথেকে বড় বিষয় হল এলাকাগুলি ঘিঞ্জি হওয়ায় আগুন নেভাতে গিয়ে আরও বেশি সমস্যা হয় দমকলের।