সংক্ষিপ্ত
- সব্যসাচী দত্ত কাণ্ডে দলকে বার্তা পুরমন্ত্রীর
- দলের কাছে ক্ষমা চাইলেন ফিরহাদ
- স্নেহের কারণেই সব্যসাচীক আড়াল করেছেন
- সেই কারণেই ক্ষমা প্রার্থনা
সব্যসাচী কাণ্ডে এবার দলের কাছে প্রকাশ্যেই ক্ষমা চাইলেন পুরমন্ত্রী ফিহাদ হাকিম। পুরমন্ত্রী জানিয়েছেন, বিধাননগরের মেয়রের বিরুদ্ধে অনেকদিন আগেই ব্যবস্থা নিতে চেয়েছিল দল। কিন্তু সব্যসাচীর প্রতি স্নেহের কারণেই তিনি তা আটকে রেখেছিলেন বলে দাবি করেছেন পুরমন্ত্রী।
আরও পড়ুন- পদত্যাগ করলেন না, সব্যসাচীকে সরিয়ে দিতে এবার অনাস্থা আনছে তৃণমূল
ফিরাহদ হাকিম এ দিন বলেন, 'দল অনেক দিন আগেই সব্যসাচীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চেয়েছিল। কিন্তু আমি যেহেতু ওকে খুবই স্নেহ করতাম, তাই বোঝানোর চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু ব্যক্তিগত স্নেহের থেকে দলের অনুশাসন অনেক বেশি। সেটা অনেক পরে আমি উপলব্ধি করেছি। এর জন্য দলের কাছে আমি ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।'
প্রসঙ্গত লোকসভা নির্বাচনের আগেই মুকুল রায়কে নিজের বাড়িতে লুচি- আলুর দম খাইয়ে বিতর্কে জড়ান বিধাননগরের মেয়র সব্যসাচী দত্ত। তার পরে ফিরহাদ হাকিমের নেতৃত্বেই মধ্যস্থতা বৈঠক হয় তৃণমূলের মেয়রকে নিয়ে। তার পর লোকসভা ভোট পর্যন্ত সবকিছু ঠিকঠাক চললেও ভোট মিটতেই আবারও দলবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগ ওঠে সব্যসাচীর বিরুদ্ধে পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে ফোন করে সব্যসাচীকে মেয়রের পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার নির্দেশ দেন পুরমন্ত্রী। কিন্তু সেই নির্দেশও মানেননি সব্যসাচী দত্ত। উল্টে পুরমন্ত্রীর সঙ্গে কথা লড়াইতে জড়ান তিনি। ফিরহাদ তাঁকে 'মীরজাফর' বলায় পাল্টা তাঁকে 'বেইমান' বলে আক্রমণ করতে ছাড়েননি বিধাননগরের মেয়র।
দীর্ঘ সময় ধরেই সব্যসাচী দত্ত দলবিরোধী নানা মন্তব্য বা দলের পক্ষে অস্বস্তিকর অবস্থান নিলেও কেন তৃণমূল তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করছে না, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলেও কৌতূহল তৈরি হয়েছিল। পুরমন্ত্রীর দাবি অনুযায়ী অবশ্য এতদিন সব্যসাচীর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওযা থেকে তিনিই দলকে বিরত করেছিলেন।