সংক্ষিপ্ত
- প্রশাসক হিসাবে কলকাতা পুরসভার মাথা হতে চলেছেন ফিরহাদ
- 'রিমুভ্যাল অফ ডিফিকাল্টিস অ্যাক্ট' মেনে দায়িত্বে আনা হচ্ছে
- যা ঘিরে ফের করোনা আবহে সরগরম হতে চলেছে রাজ্য় রাজনীতি
মেয়াদ ফুরোনো পদে থাকতে পারবেন না, তাই কলকাতা পুরসভার মেয়র পদ থেকে সরে যেতে হবে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে। যদিও প্রশাসক হিসাবে কলকাতা পুরসভার মাথা হতে চলেছেন ফিরহাদ। সূত্রের খবর,'রিমুভ্যাল অফ ডিফিকাল্টিস অ্যাক্ট' মেনে তাকেই দায়িত্বে আনা হচ্ছে। যা ঘিরে ফের একবার করোনা আবহে সরগরম হতে চলেছে রাজ্য় রাজনীতি।
রাজ্য়ের বর্তমান পরিস্থিতি বলছে, এপ্রিলে পুরভোটের দিনক্ষণ একপ্রকার ঠিক থাকলেও এখন তা অথৈ জলে। করোনার জেরে পুরভোট স্থগিত হয়ে যাওয়ায় কলকাতা পুরসভার ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন দেখা দিয়েছে। যার জেরে নিয়ম মেনে প্রশাসক বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়াটাই রাজ্য সরকারের কাজ। এখানে তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। এমনই জানিয়েছেন কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তবে সরকারি আধিকারিকদের পদে না বসিয়ে কেন তৃণমূলের লোকদের প্রশাসকের পদে বসানো হবে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা।
সূত্রের খবর, সব মিলিয়ে ১৪ জনের প্রশাসক বোর্ড গঠন করা হবে। মেয়র ছাড়াও ডেপুটি মেয়র ও মেয়র পারিষদরা সবাই থাকবেন সেই বোর্ডে। বৃহস্পতিবারই সেই মর্মে নির্দেশিকা জারি করা হবে। ৭ মে মেয়র হিসেবে ফিরহাদ হাকিমের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। তারপরই ৮ মে থেকে বসবেন প্রশাসক। আর প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব নেবেন বর্তমান কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
রাজ্য় নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, এপ্রিলের মাঝামাঝি নাগাদ পুরভোট হওয়ার দিকে এগোচ্ছিল কমিশন। কিন্তু এর মাঝেই করোনা ভাইরাস হানা দেওয়ায় সব পরিস্থিতি বদলে যায়। কোভিড ১৯ ভাইরাসের জেরে দেশজুড়ে ২৪ মার্চ থেকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়। তৃতীয় দফায় ১৭ মে পর্যন্ত জারি থাকছে লকডাউন। নতুন করে আরও লকডাউনের পথে সরকারি হাঁটবে কিনা তাও জানা যায়নি। তাই পুরভোট ঘিরে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। সেই পরিস্থিতিতেই প্রশাসক বসিয়ে পুরসভার কাজ চালাতে চায় রাজ্য় সরকার।