সংক্ষিপ্ত
শহরে অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ জিডি বিড়লা-সহ একাধিক স্কুল। হাইকোর্টের নির্দেশ উপেক্ষা করার অভিযোগ। মাথায় হাত অভিভাবকদের।
শহরে অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ জিডি বিড়লা-সহ একাধিক স্কুল। হাইকোর্টের নির্দেশ উপেক্ষা করার অভিযোগ। মাথায় হাত অভিভাবকদের। আইন শৃঙ্খলার দোহাই দিয়েই আচমকাই অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ করে দিলে জিডি বিড়লা স্কুল কর্তৃপক্ষ। উল্লেখ্য, কোভিড পরিস্থিতিতেও কম ঝক্কি পোয়াতে হয়নি। দীর্ঘ দেড় বছরে করোনা পরিস্থিতিতে চলে গিয়েছে চাকররি। অথচ কেউই তাঁরা পাননি প্রাপ্য় বকেয়া টাকাও। যা নিয়ে কোভিড পেরিয়ে স্কুল খুলতেই একবার বিক্ষোভ দেখান শিক্ষক ও কর্মীরা। তবে শহরে এখন বেতন বৃদ্ধি কিংবা কোভিড পরিস্থিতি কোনও ইস্যুই প্রগাঢ় নয়। তবুও কোন অজুহাতে স্কুল বন্ধ করল কর্তৃপক্ষ, ছাত্র-ছাত্রীদের ভবিষ্যত নিয়ে ছিনিমিনি খেলার কারণ কী, জানতে চায়ে ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ স্কুলে পৌছে পড়ুয়া দেখেন মূল ফটক বন্ধ। সেখানে ঝোলানো রয়েছে নোটিশ।সেখানেই বলা হয়েছে, 'আইন শৃঙ্খলার কথা মাথায় রেখে আপাতত স্কুল বন্ধ রাখা হচ্ছে।' স্বাভাবিকভাবেই এই আচরণে ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা।তবে শুধু জিডি বিড়লাই নয়, শহরের আরও ৫ টি স্কুলেও একই কাণ্ড। ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তুায় পড়ার পরিবার। মূলত আইনশৃঙ্খলা অবনতির কারণ দেখিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হল জি ডি বিড়লা স্কুল পড়ুয়াদের নিরাপত্তার স্বার্থে স্কুল বন্ধ রাখা হচ্ছে বলে বৃহস্পতিবার সকালে নোটিস দিয়ে জানালেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। স্কুলের ফি বৃদ্ধি নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই স্কুলের সামনে অভিভাবকদের আন্দোলন চলছিল। ফি বাড়ানো চলবে না বলে দাবি জানাচ্ছিলেন তাঁরা। তার পর হাইকোর্টও সেই মর্মে নির্দেশ দেয়। সেই প্রেক্ষিতেই স্কুল বন্ধের সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন, শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা সামান্য কম অনুব্রত-র, কেষ্ট-কে দেখতে এসএসকেম-র পথেই কি সিবিআই
বৃহস্পতিবার নিয়ম মাফিকই দক্ষিণ কলকাতার রানিকুঠির ওই স্কুলে পৌঁছয় পড়ুয়ারা। কিন্তু ফটকের সামনে নোটিস ঝুলতে দেখে থমকে যায় সকলে। নোটিস পড়ে অভিযোগরা জানতে পারেন যে, অনির্দিষ্ট কালের জন্য় বন্ধ রাখা হচ্ছে স্কুল। আইনশৃঙ্খলার অবনতি হয়েছে। তাই পড়ুয়াদের নিরাপত্তার জন্যই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয় ওই নোটিসে। কিন্তুু আগে থেকে কিছু না জানিয়ে, এ ভাবে নোটিস ঝুলিয়ে স্কুল বন্ধ করে দেওয়া নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অভিভাবকরা। তাঁদের যুক্তি, যারা ফি জমা দেয়নি, তাদের কথা আলাদা। কিন্তু যারা ফি জমা দিয়েছে, তাদের কেন ক্লাস করতে দেওয়া হচ্ছে না, প্রশ্ন তুলেছেন সকলে। স্কুলের ফটক থেকে এ দিন পড়ুয়াদের নিয়ে ফিরে যেতে হয় অভিভাবকদের।জিডি বিড়লার এক ছাত্রীর অভিভাবক বলেছেন, 'আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করছে স্কুল। কর্তৃপক্ষ এমন সিদ্ধান্ত কখনই নিতে পারে না '
প্রসঙ্গত, দীর্ঘ দেড় বছর পর এবার রাজ্যের সব স্কুল খোলা দিনেও জেডি বিড়লার সামনে বিক্ষোভ দেখা গিয়েছিল। রোজগার হারিয়ে প্ল্যাকার্ড হাতে জিডি বিড়লার সামনে বিক্ষোভ দেখান মোট ১১০ জন শিক্ষক ও কর্মীরা। অভিযোগ, প্রায় ২০ থেকে ৩০ বছর কাজ করার পরেও তাঁদের বরাখাস্ত করেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। এদিকে বকেয়া টাকাও পাননি, পাননি নোটিস পিরিয়ডও। ইতিমধ্য়েই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁরা । জিডি বিড়লায় পুনরায় কাজ এবং বেতনের দাবি বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন তাঁরা। তবে স্কুল-মামলা খারিজ হয়ে গিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। তবে এবার প্রশ্ন উঠেছে, এমনই কি অভ্যন্ত সমস্যা থেকে মুক্তি পেতেই কি এই সিদ্ধান্ত, চাপান উতোর রাজ্যে।