সংক্ষিপ্ত
সোমবার থেকে শর্তসাপেক্ষে খুলছে জিডি বিড়লা সহ শহরের ৫ টি স্কুল। কিন্তু বকেয়া বা সম্পূর্ণ ফি না মেটালে ক্লাস করতে পারবে না পড়ুয়ারা।
সোমবার থেকে শর্তসাপেক্ষে খুলছে জিডি বিড়লা সহ শহরের ৫ টি স্কুল। কিন্তু বকেয়া বা সম্পূর্ণ ফি না মেটালে ক্লাস করতে পারবে না পড়ুয়ারা। স্কুল ফি নিয়ে যে জটিলতা তৈরি হয়েছিল, তা নিয়ে আইন শৃঙ্খলার দোহাই দিয়ে ৭ এপ্রিল মহাদেবী বিড়লা, জিডি বিড়লা, অসোক হল , নোটিশ দিয়ে জানায় স্কুল অর্নিদিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে। এরপরেই শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যত নিয়ে মাথায় হাত অভিভাবকদের। শনিবার কর্তৃপক্ষ বৈঠকে বসে। এরপরেই তারা জানায় সোমবার ১১ এপ্রিল থেকে ৩ টি স্কুলের ৬ টি ক্যাম্পাসই খুলবে। তবে বকেয়া বেতন না দিয়ে থাকলে পড়ুয়ারা ক্লাস করতে পারবে না। স্কুলের এই নোটিশের জেরে ফের ক্ষুব্ধ অভিবাবকরা।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ স্কুলে পৌছে পড়ুয়া দেখেন মূল ফটক বন্ধ। সেখানে ঝোলানো রয়েছে নোটিশ।সেখানেই বলা হয়েছে, 'আইন শৃঙ্খলার কথা মাথায় রেখে আপাতত স্কুল বন্ধ রাখা হচ্ছে।' স্বাভাবিকভাবেই এই আচরণে ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা।তবে শুধু জিডি বিড়লাই নয়, শহরের আরও ৫ টি স্কুলেও একই কাণ্ড। ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তুায় পড়ার পরিবার। মূলত আইনশৃঙ্খলা অবনতির কারণ দেখিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হল জি ডি বিড়লা স্কুল পড়ুয়াদের নিরাপত্তার স্বার্থে স্কুল বন্ধ রাখা হচ্ছে বলে বৃহস্পতিবার সকালে নোটিস দিয়ে জানালেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। স্কুলের ফি বৃদ্ধি নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই স্কুলের সামনে অভিভাবকদের আন্দোলন চলছিল। ফি বাড়ানো চলবে না বলে দাবি জানাচ্ছিলেন তাঁরা। তার পর হাইকোর্টও সেই মর্মে নির্দেশ দেয়। সেই প্রেক্ষিতেই স্কুল বন্ধের সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হয়।
আরও পড়ুন, 'বিজেপিকে হারালে জিনিসপত্রের দাম কমবে', শুভেন্দুর ভিডিও আপলোড করে 'রিটার্ন গিফট' কুণালের
বৃহস্পতিবার নিয়ম মাফিকই দক্ষিণ কলকাতার রানিকুঠির ওই স্কুলে পৌঁছয় পড়ুয়ারা। কিন্তু ফটকের সামনে নোটিস ঝুলতে দেখে থমকে যায় সকলে। নোটিস পড়ে অভিযোগরা জানতে পারেন যে, অনির্দিষ্ট কালের জন্য় বন্ধ রাখা হচ্ছে স্কুল। আইনশৃঙ্খলার অবনতি হয়েছে। তাই পড়ুয়াদের নিরাপত্তার জন্যই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয় ওই নোটিসে। কিন্তুু আগে থেকে কিছু না জানিয়ে, এ ভাবে নোটিস ঝুলিয়ে স্কুল বন্ধ করে দেওয়া নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অভিভাবকরা। তাঁদের যুক্তি, যারা ফি জমা দেয়নি, তাদের কথা আলাদা। কিন্তু যারা ফি জমা দিয়েছে, তাদের কেন ক্লাস করতে দেওয়া হচ্ছে না, প্রশ্ন তুলেছেন সকলে। স্কুলের ফটক থেকে এ দিন পড়ুয়াদের নিয়ে ফিরে যেতে হয় অভিভাবকদের।জিডি বিড়লার এক ছাত্রীর অভিভাবক বলেছেন, 'আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করছে স্কুল। কর্তৃপক্ষ এমন সিদ্ধান্ত কখনই নিতে পারে না '