সংক্ষিপ্ত
- ১৪ ফ্রেরুয়ারি সমাবর্তন কোচবিহারের পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ে
- অনুষ্ঠানে 'ব্রাত্য' খোদ রাজ্যপাল তথা আচার্য
- টুইট করে ক্ষোভ উগরে দিলেন জগদীপ ধনখড়
- সমাবর্তনে আমন্ত্রিত রাজ্যের মন্ত্রীরা
আচার্যকে ছাড়াই বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠান! এটাই কি তবে রেওয়াজ হয়ে গেল এ রাজ্যে? কোচবিহারের পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন আমন্ত্রণ পেয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রীরা। আমন্ত্রণপত্রে জ্বলজ্বল করছে তাঁদের নাম। বাদ শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য তথা রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়! টুইট করে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তিনি।
এ রাজ্যে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় তো হাতেগোনা। রাজ্য সরকার অনুমোদিতই হোক কিংবা নিয়ন্ত্রণাধীন, পদাধিকার বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। বাদ দেওয়ার প্রশ্নই নেই। নিয়মানুসারে, আচার্য তথা রাজ্যপালের সম্মতি ছাড়া কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা যায় না। কিন্তু সেই নিয়ম আর মানছে কে! এবার কোচবিহারের পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে 'ব্রাত্য' থাকলেন আচার্য তথা রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। টুইটে তিনি লিখেছেন, '১৪ ফ্রেরুয়ারি কোচবিহারের পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন। মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, গৌতম দেব, রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, এবং বিনয়কৃষ্ণ বর্মনকে সমাবর্তনে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আচার্য, যাঁর সভাপতি হওয়ার কথা, তাঁর কাছেই কোনও খবর নেই! এ আমার কোথা যাচ্ছি!'
সমাবর্তনে রাজ্যপালকে আমন্ত্রণ না জানানোর অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করেছেন পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দেবকুমার মুখোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য, রাজভবনে চিঠি পাঠানো হয়েছিল, কিন্তু উত্তর আসেনি। তাই আমন্ত্রণপত্রে রাজ্যপালের নাম রাখা হয়নি।
উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে গিয়ে পড়ুয়াদের প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়েন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ও। বিক্ষোভের কারণে আটকে যায় নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সাম্মানিক ডিলিট প্রদান অনুষ্ঠানও। শেষপর্যন্ত উপাচার্যের আশ্বাসে পরিস্থিতি শান্ত হয়। একই ঘটনা ঘটে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়েও। সমাবর্তনে যোগ না দিয়েই ফিরে যেতে হয় রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।