সংক্ষিপ্ত
- সংসদে কৃষিবিলের বিরোধিতা তৃণমূলের
- তারই কি পাল্টা দিলেন রাজ্যপাল?
- একহাত নিলেন মুখ্যমন্ত্রীকে
- তিনটি টুইট করেছেন তিনি
একটা নয়, পরপর তিনটি টুইট। কেন্দ্রের কিষাণ সম্মান নিধি প্রকল্পে অংশ না নেওয়ার জন্য এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একহাত নিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধানখড়। টুইটে রাজ্যপালের কটাক্ষ, 'মুখ্যমন্ত্রীর কুমিরের কান্না কৃষকদের ব্যাথা উপশম করতে পারবে না।' নবান্ন-রাজভবন সংঘাত বাড়ছে উত্তরোত্তর।
মোদি সরকারের কৃষিবিল নিয়ে সরগরম সংসদ বর্ষাকালীন অধিবেশন। রাজ্যসভায় বিলের বিরোধিতা করতে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন ডেরেক ও'ব্রায়েন, দোলা সেন-সহ তৃণমূল কংগ্রেসের আটজন সাংসদ। সংসদীয় বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে তাঁদের সাসপেন্ড করেছেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান। দলের তরফে তো বটেই, নবান্নে সোমবার কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনায় সবর হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং। তাঁর হুঁশিয়ারি, সংসদের ভিতরে ও বাইরে ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই চলবে। তারই কি পাল্টা দিলেন রাজ্য়পাল জগদীপ ধনখড়? প্রশ্ন উঠেছে রাজনৈতিক মহলে।
মঙ্গলবার সকালে পরপর তিনটি টুইট করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। রীতিমতো পরিসংখ্যা দিয়ে টুইটে তিনি লিখেছেন, 'বাংলা প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধিতে অংশ না নেওয়ায় পশ্চিমবঙ্গের ৭০ লক্ষ কৃষক ৮,৪০০ কোটি টাকার সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। কৃষকরা ১২ হাজার টাকা করে ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পেয়ে যেতেন। কিন্তু তা তাঁরা পাননি৷' শুধু তাই নয়, সরাসরি আক্রমণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়কেও।
রাজ্যপালের আরও বক্তব্য, বাংলা ছাড়া রাজ্যের সমস্ত রাজ্যের কৃষকরাই প্রধানমন্ত্রী কিষাণ নিধি প্রকল্পে অংশ নিয়ে ভীষণভাবে উপকৃত হয়েছেন। সমস্যায় পড়েছেন স্রেফ এ রাজ্যের কৃষকরাই। বাংলার কৃষকদের প্রতি ঘোরতর অন্যায় হয়েছে এবং ক্ষতি হয়েছে অর্থনীতিরও।