সংক্ষিপ্ত

  • বিশ্ববিদ্যালয়গুলির পরামর্শ মেনে ডি লিট উপাধি দেবেন না রাজ্য়পাল জগদীপ ধনখড়
  • বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যকরী পরিষদের পরামর্শ শুনলেও নিজেও ডি লিট প্রার্থী সুপারিশ করবেন
  •  বিশ্ববিদ্য়ালয়ের আচার্য হয়েও আগে যা করেননি অন্য় কেউ
  • ইতিমধ্যেই সেই বার্তা পৌঁছে গিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির কাছে 

রাবার স্ট্যাম্প হয়ে থাকার দিন শেষ। এবার থেকে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির কর্মকাণ্ডে সরাসরি হস্তক্ষেপ করতে পারেন রাজ্যপাল। অন্তত রাজভবনের গতি প্রকৃতি সেই কথাই বলছে।

হাওয়া বদল হচ্ছে রাজভবনে। এবার থেকে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির পরামর্শ মেনে ডি লিট উপাধি দেবেন না রাজ্য়পাল জগদীপ ধনখড়। সূত্রের খবর, বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যকরী পরিষদের পরামর্শ শুনলেও নিজেও ডি লিট প্রার্থী নির্বাচন করতে পারেন রাজ্যপাল। বিশ্ববিদ্য়ালয়ের আচার্য হয়েও আগে যা করেননি অন্য় কেউ। তবে রাজভবন সূত্রে খবর, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই এই কাজের শুভারম্ভ করতে পারেন ধনখড়। অতীতে ডিনদের মত মেনেই ডি লিট বা ডিএসসি উপাধির প্রার্থী নির্বাচন করত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এখন থেকে সেই পথে নাও হাঁটতে পারে রাজভবন। 

জানা গেছে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কাকে ডি লিট, ডিএসসি দেওয়া হবে তা জানতে চেয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ  ধনখড়। ইতিমধ্যেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্য়ালয়ে ডক্টর অব লিটারেচারের জন্য কবি শঙ্খ ঘোষ , প্রাক্তন বিদেশ সচিব সলমান হায়দরের নাম মনোনীত করা হয়েছে। ডক্টর অব সায়েন্সের জন্য ভারত রত্ন সিএনআর রাও ও ইন্ডিয়ান স্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউটের ডিরেক্টর সংঘমিত্রা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে বাছা হয়েছে। আগামী ১৮ অক্টোবর যাদবপুর বিশ্ববিদ্য়ালয়ের কোর কমিটির বৈঠকে এই নামগুলো নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ধনখড়। সূত্রের খবর,ইতিমধ্যেই রাজ্যপালের সক্রিয়তা চোখে পড়েছে বিশ্ববিদ্যাালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাসের। সূত্রের খবর, বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনের দিনক্ষণ ঠিক করে আচার্যকে নিমন্ত্রণ করতে যান উপাচার্য। যা শুনে এবার থেকে রাজ্যপালের থেকে সমাবর্তনের দিনক্ষণ ঠিক করার কথা বলেছে রাজভবন। 

রাজভবনের এই হাওয়া বদল নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলছেন না বিশ্ববিদ্যালয়ের কেউ। তবে রাজ্যে রাজ্যপালের সক্রিয়তা নিয়ে ইতিমধ্য়েই সরব হয়েছে শাসক দল। নবান্নের সঙ্গে নিত্যদিন রাজভবনের চাপানউতর লেগেই রয়েছে। কদিন আগেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্য়ালয়ে বাবুল সুপ্রিয় উদ্ধারকাণ্ডে নামেন রাজ্য়পাল। সেখান থেকেই ধনখড়ের সঙ্গে সংঘর্ষের সূত্রপাত রাজ্যের। অতি সম্প্রতি জিয়াগঞ্জের শিক্ষক পরিবার খুন নিয়ে মন্তব্য করেন রাজ্যপাল। এই খুন রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি দর্শায় বলে মন্তব্য করেন তিনি। যার পরই রাজ্য়পাল সম্পর্কে মুখ খোলেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়।  পার্থবাবু বলেন, নিত্যদিন রাজ্যাপালের পদে থেকে বিতর্কিত মন্তব্য করে চলেছেন রাজ্য়পাল। যা কখনোই অভিপ্রেত নয়।