সংক্ষিপ্ত

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিলেন রাজ্যপাল। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্যই সেই চিঠি দেওয়া হয়েছে। এনিয়ে আজই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তিনি কথা বলতে চান বলে জানিয়েছেন।  

হাঁসখালি গণধর্ষণ কাণ্ড নিয়ে কথা বলার জন্য রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং পুলিশের ডিজিকে তলব করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। আর এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও চিঠি পাঠালেন তিনি। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্যই সেই চিঠি পাঠিয়েছেন তিনি। এনিয়ে আজই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তিনি কথা বলতে চান বলে জানিয়েছেন। টুইটারে চিঠি তুলেও ধরেন রাজ্যপাল। 

ঠিক কী লিখেছেন রাজ্যপাল? লিখেছেন, ‘‌কলকাতা হাইকোর্টে যে বিশৃঙ্খলা হয়েছে তা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করতে চাই। আর রাজ্যে সাম্প্রতিক সময়ে যেভাবে নারীদের উপর বর্বরোচিত অপরাধের ঘটনা ঘটছে তা নিয়েও আলোচনা করতে চাই। কারণ রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে।’‌

চিঠিতে আরও কড়া কথা লিখেছেন রাজ্যপাল। লেখেন, "‌আপনি নিশ্চয়ই সম্মত হবেন যে, সংবিধান এবং আইনের শাসন দ্বারা পরিচালিত ব্যবস্থায় আইনের দ্বারস্থ হওয়ার পথ রুদ্ধ হলে তা গণতন্ত্রের কফিনে শেষ পেরেক হয়ে ওঠে।" 

 

 

আরও পড়ুন- আরও ৪ সপ্তাহের স্বস্তি, এসএসসি দুর্নীতি মামলায় আপাতত সিবিআই দফতরে হাজিরা দিতে হবে না পার্থকে

তবে শুধুমাত্র হাঁসখালির ঘটনাই নয়, কলকাতা হাইকোর্টে যে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছে তা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রাজ্যপাল। এনিয়েও মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তিনি কথা বলতে চান বলে জানিয়েছেন। আর আজকেই যাতে এই আলোচনা সম্ভব হয় তার জন্যও মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করেছেন। অবশ্য এই আলোচনা ঠিক কোথায় হবে সেই বিষয়টি স্পষ্ট করে উল্লেখ করা হয়নি। চিঠিতে। মুখ্যমন্ত্রী রাজভবনে যাবেন নাকি ফোনে তাঁদের দু'জনের মধ্যে কথা হবে তা জানা যায়নি। আর এনিয়ে এখনও পর্যন্ত নবান্ন বা রাজভবন কোনও তরফেই কিছু জানানো হয়নি। তবে এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা রাজ্যপালের এই চিঠি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। 

আরও পড়ুন- ড্যামেজ কন্ট্রোলে মমতা, হাইকোর্টের তৃণমূলের আইনজীবীদের অন্তর্দ্বন্দ্ব মেটাতে বিশেষ বৈঠক

এদিকে এসএসসি দুর্নীতি মামলায় রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম জড়ানোর পর তাঁকে সিবিআই দফতরে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চ। এৎপর সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে যান পার্থর আইনজীবী। সেখানে এই রায়ের উপর স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে। এরপর আজ কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস বয়কট করতে চেয়ে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল কংগ্রেসের আইনজীবীদের একাংশ। এই পরিস্থিতি বরদাস্ত করা হবে না বলেও জানান বিচারপতি। এমনকী পছন্দ না হলে রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার নিদান দেন তিনি। হাইকোর্টের এই বিশৃঙ্খল অবস্থা ও রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দ্রুত আলোচনা চান রাজ্য়পাল।